শরৎসাহিত্য-সংগ্ৰহ বোধ হয় ভাবে ঠাট্টা করছি। ? m. কিন্তু আপনাকে যে চেনে সে কি অন্য কিছু ভাবতে পারে ? বলুন ? এবার কমল চুপ করিয়া রহিল। জবাব না পাইয়া হরেন্দ্র বলিল, আজ আপনার যে কি হয়েচে জানিনে, সমস্তই দুৰ্ব্বোধ্য। কমল বলিল, যা বোঝবার নয় সে না বোঝাই ভাল। রাজেনকে যে ভুলতে পারিনে—এ সবচেয়ে বেশি টের পাই আপনি এলে। তার আশ্রমে স্থান হ’লো না, কিন্তু গাছতলায় থাকলেও তার চলে যেতো, শুধু আমিই থাকতে দিইনি, আদর করে ডেকে এনেছিলুম। আমার ঘরে এলো, কিন্তু কোথাও মন বাধা পেলে না । হাওয়া আলোর মত সব দিক খালি পড়ে রইলো—পুরুষের যেন একটা নূতন পরিচয় পেলাম। ভাল কি মন্দ, ভেবে দেখবার সময় পাইনি—হয়ত বুঝতে দেরি হবে । হরেজ কহিল, এ মস্ত সাত্বনা । সাত্বনা ? কেন ? তা জানিনে । কেহই আর কথা কহিল না—উভয়েই কেমন একপ্রকার বিমনা হইয়া রহিল। হরেন্দ্র ইচ্ছা করিয়াই বোধ করি একটু ঘুর-পথ লইয়াছিল, আপ্তবাবুর বাটতে আসিয়া যখন তাহার পৌছিল তখন সন্ধ্যা অনেকক্ষণ উত্তীর্ণ হইয়া গেছে। খবর দিয়া ঘরে ঢুকিবার প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু দিন পাঁচ-ছয় হরেন্স আসিতে পারে নাই বলিয়া বেয়ারাকে স্বমুখে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, বাবু ভাল আছেন ? সে প্রণাম করিয়া কহিল, হঁl, ভালই আছেন। ॐांव्र घरब्रहे श्रांरछ्न ? না, উপরের সামনের ঘরে বসে সবাই গল্প করচেন। সিড়িতে উঠিতে উঠিতে কমল জিজ্ঞাসা করিল, সবাইট কারা ? হরেন্দ্র কহিল, বৌদি-আর বোধ হয় কেউ—কি জানি। পর্দা সরাইয়। ঘরে ঢুকিয়া দুজনেই একটু আশ্চৰ্য্য হইল। এসেন্স ও চুক্লটের কড়া গন্ধ একত্রে মিশিয়া ঘরের বাতাস ভারী হইয়া উঠিয়াছে। নীলিমা উপস্থিত নাই, আপ্তবাবু বড় চেয়ারের হাতলে দুই পা ছড়াইয়া দিয়া চুরুট টানিতেছেন, এবং অদূরে সোফার উপরে সোজা হইয়া বসিয়া একজন অপরিচিত মহিলা। ঘরের কড়া আবহাওয়ার মতই কড়া ভাব-বাঙালীর মেয়ে, কিন্তু বাঙলা বলায় রুচি নাই। হয়ত >b*e