পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎসাহিত্যসংগ্ৰহ আপ্তবাবু বলিলেন, বস্তুতঃ তার কথা শুনে মনে হ’ল সে সব জানে। আমরা যে সেদিন তার স্বামীকে অপমান করে বিদায় করেছিলাম এ ঘটনা শিবনাথ তার কাছে গোপন করেনি। খুব গোপন করে চলবার লোকও শিবনাথ নয়। অধিনাশ স্বীকার করিয়া কহিলেন, স্বভাবতঃ সে তাই বটে ! কিন্তু *একটা জিনিস সে নিশ্চয়ই গোপন করেচে। এই মেয়েটি যেই হোক একে ত সত্যিই বিবাহ করেনি। আশুবাবু কহিলেন, শিবনাথ বলেন, মেয়েটি তার স্ত্রী, মেয়েটি পরিচয় দিলেন র্তাকে স্বামী বলে । অবিনাশ কহিলেন, দিন পরিচয় । কিন্তু এ সভ্য নয়। এর মধ্যে যে গভীর রহস্য আছে, অক্ষয়বাবু সন্ধান নিয়ে একদিন তা উদঘাটিত করবেনই করবেন। আশুবাবু বলিলেন, তাতে আমারও সন্দেহ নেই, কারণ অক্ষয়বাবু শক্তিমান পুরুষ । কিন্তু এদের পরস্পরের স্বীকারোক্তির মধ্যে সত্য নেই, সত্য আছে যে রহস্য গোপনে আছে তাকেই বিশ্বের স্বমুখে অনাবৃত করায়। অবিনাশবাবু, আপনি ত অক্ষয় নন, এ ত আপনার কাছে আমি প্রত্যাশা করিনে । অবিনাশ লজ্জা পাইয়াও কহিলেন, কিন্তু সমাজ ত আছে। তার কল্যাণের 将魂 マー কিন্তু বক্তব্য র্তার শেষ হইতে পাইল না, পাশ্বের দরজা ঠেলিয়া মনোরম প্রবেশ করিল। অবিনাশকে নমস্কার করিয়া কহিল, বাবা, আমি বেড়াতে যাচ্ছি, তুমি বোধ হয় বার হতে পারবে না ? না মা, তুমি যাও। অবিনাশ উঠিয়া দাড়াইলেন, কহিলেন, আমারও কাজ আছে। বাজারের কাছে একবার নামিয়ে দিতে পারবেন না মনোরমা ? নিশ্চয় পারব, চলুন। যাইবার সময় অবিনাশ বলিয়া গেলেন যে, অত্যন্ত বিশেষ প্রয়োজনে তাহাকে কালই দিল্লী যাইতে হইবে এবং বোধ হয় এক সপ্তাহের পূৰ্ব্বে আর ফিরিতে পারিবেন না । ՀԵ