পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ যে, বাস্তবিক তাহার শরীররক্ষক-পদে নিযুক্ত হইবার যোগ্য ! শুদ্ধ ইহাই নহে, রাজপ্রহরীর যে-সকল গুণ থাকা আবশ্বক, সে-সকলও তাহদের জাতির সাধারণ ধৰ্ম্ম বলিয়া গণ্য। কাপ্তেন ম্যাকফাসন লিখিয়াছেন,—“মিথ্যা কথা, প্রতিজ্ঞাভঙ্গ, গোপনীয় কথার প্রকাশ, এ-সকল কন্দের অধৰ্ম্ম এবং বীরের ন্যায় যুদ্ধে প্রাণত্যাগ ও যুদ্ধে শত্রুনাশ ধৰ্ম্ম বলিয়া গণ্য করে।" বেশ কথা। এই জন্য আমিও ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি, থোনের কানানাইটদের মত পরের ছেলে চুরি করিয়া বলি দিত না। কিন্তু খোন্দেরাই কি কানানাইটদের গোষ্ঠী, ফিনীসিয়রা নয় ? ঋতেন্দ্রবাবুও ইতিপূৰ্ব্বে দেখাইয়াছেন, এবং আমিও তাহার প্রতিবাদ করি নাই যে, কণনানাইটরা ফিনীসিয়দের উপশাখা মাত্র । এবং এইজন্যই তিনি লাল রং-প্রিয়তা, লাল রং তৈরীর ক্ষমতা, তালগাছ বা খেজুর গাছে স্নেহ, ফিইনস' শব্দ ইত্যাদি প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়া ফিনীসিয়দের সহিত অভিন্ন তা প্রমাণ করিতে যত্ব করিয়াছেন । বস্তুতঃ ফিনীসিয় ও কানামাইটে প্রভেদ নাই | প্রবন্ধের শেষে তিনি নিজেও স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন, “ফিনীসিয়ুর কানানাইট জাতির অন্যতম শাখা ।” কিন্তু এই ফিনীসিয়দের নৈতিক চরিত্রট কিরূপ ? ইস্কুলের ছেলেরাও জানে, ফিনীসিয়রা চুরি-ডাকাতি, বিশ্বাসঘাতকতা, নরহত্যা প্রভৃতি সৰ্ব্বপ্রকার পাপেই সিদ্ধহস্ত ছিল। বাণিজ্য করিতে বিদেশে গিয়া নিজেদের নৌকা বা জাহাজ কোথাও লুকাইয়া রাখিয়া মাল-মসলা বিদেশী ক্রেতাদের সন্মুখে খুলিয়া ধরিত এবং যখন তাহারা নিঃসন্দিগ্ধ চিত্তে কেনা-বেচায় মগ্ন থাকিত, সুবিধা বুঝিয়া এই ফিনীসিয় ডাকাত বণিক তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়া লুটপাট করিয়া লইত এবং যাহাকে পারিষ্ঠ ধরিয়া লইয়া নিজেদের জাহাঙ্গে উঠিয়া পাল তুলিয়া দিত। ইহাদিগকেই অন্তত্ব দাসরূপে বিক্রয় করিয়া অর্থ অর্জন করি ত। বাস্তবিক, এমন অন্যায়, এমন অধৰ্ম্ম, এমন নিষ্ঠুরতা ছিল না, যাহা এই ফিনীসিয়রা না করিত। দিনে যাহাদের অতিথি হইত, রাত্রে তাহাদের গলাতেই ছুরি দিত। এসব ইতিহাসের প্রমাণ করা কথা। অনুমান বা কল্পনা নহে। এমন জাতির জ্ঞাতি হইয়াও উড়িষ্যার কনাকাটার এত বড় ধাৰ্ম্মিক হইল কিরূপে । এবং এই ফিনীসিয় শীররক্ষী উড়িয়াই বা এমন যুধিটির হইলেন কি মনে করিয়া ? ঋতেন্দ্রবাবু যদি এতটুকু বৈজ্ঞানিক বিচারপদ্ধতি অবলম্বন করিতেন, তাহ হইলে দেখিতে পাইতেন, ফিনীসিয়র বা কানানাইটরা উড়িষ্কার খোঙ্গ জাতি হইলে নৈতিক চরিত্রে এমন আকাশ-পাতাল ব্যবধান হইত না। ইহার পরে তিনি রথের প্রসঙ্গ তুলিয়া বলিয়াছেন, "ইঞ্জেলরাজ ( সলোমন ] যে-সকল বিষয়ে কলিঙ্গবাসীদের অনুসরণ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে রথ ও মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণই । প্রধান উল্লেখযোগ্য "কলিঙ্গবাসীরা চিরদিন রখের আড়ম্বরে আরষ্ট রথের ধুমধাম, রখের জাকজমক কবিদের চারিদিকে। সলোমনের এক সহস্ৰ চাৰি শত রথ নিধিত্ব Øፃፀ