পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামঞ্জস্ত করিনে এবং আমাদের সর্ব প্রকার চিরপ্রচলিত আচাব বিচারে মুঢ়তার এমন কোনো সীমা নেই যার থেকে কোনো যুক্তিতর্কে কোনো শুভবুদ্ধি দ্বারা আমাদের নিবৃত্ত করতে পারে। সেই জন্তে আমরা দুৰ্গতির ভয়সস্কুল সুদীর্ঘ অমাবস্তার রাত্রিতে তুঃপদারিদ্র্য অপমানের ভিতর দিয়ে পথলষ্ট হয়ে কেবলি নিজের অন্ধ তার চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্চি । হে শাস্ত, হে মঙ্গল, আজ আমাদের পূৰ্ব্বাকাশে তোমার অরুণরাগ দেখা দিয়েছে, আলোক বিকাশের পূৰ্ব্বেই দুটি একটি করে ভক্ত বিহঙ্গ জাগ্রত হয়ে সুনিশ্চিত পঞ্চম স্বরে আনন্দবাৰ্ত্ত ঘোষণা করচে, অজি আমরা দেশের নব উদ্বোধনের এই ব্রাহ্মমুহূর্তে মঙ্গল পরিণামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকে শিরোধাৰ্য্য করে নিয়ে তোমার জোতিৰ্ম্ময় কল্যাণস্বৰ্য্যের অভু্যদয়ের অভিমুখে নবীন প্রাণে নবীন আশায় তোমাকে আনন্দময় অভিবাদনে নমস্কার করি। ዓ R