পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড ১৯০৮)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মসথমাজের সার্থকতা টিকৃতে এবং টেকতে পারবে না। যা প্রবল অথচ প্রশান্ত, ব্যাপক অথচ গভীর, আত্মসমাহিত অথচ বিশ্বানুপ্রবিষ্ট সেই আধ্যাত্মিক জীবনস্বত্রের দ্বারা না বেঁধে তুলতে পারলে অন্ত কোনো কত্রিম জোড়াতাড়ার দ্বারা জ্ঞানের সঙ্গে জ্ঞান, কয়ের সঙ্গে কৰ্ম্ম, জাতির সঙ্গে জাতি যথার্থভাবে সম্মিলিত হতে পারবে না। সেই সন্মিলন যদি না ঘটে তবে আয়োজন যতই বিপুল হবে তার সংঘাত-বেদনা ততই দুঃসহ হুয়ে উঠতে থাকবে । মে সাধনী সকলকে গ্ৰহণ করতে ও সকলকে মিলিয়ে তুলতে পারে, যার দ্বার জীবন একটি সৰ্ব্বগ্রাহী সমগ্রের মধ্যে সৰ্ব্বতেভাবে সত্য হয়ে উঠতে পারে সেই ব্রহ্মসাধনার পরিপূর্ণ মূৰ্ত্তিকে ভারতবর্ষ বিশ্বজগতের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করবে এই হচ্চে ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাস। ভারতবর্ষে এই ইতিহাসের আরম্ভ হয়েছে কোন মুদুর দুর্গম গুহার মধ্যে । এই S > *