| >Q 闘 পিতার বোধ যা প্রাণের জিনিস তাকে প্রথার জিনিস করে তোলার যে কত বড়ো লোকসান সে কথা তো প্রতিদিন মনে পড়ে না। কিন্তু, আপনার ক্ষুধাতৃষ্ণাকে তো ফাকি দিয়ে সারি নে ; অন্নজলকে তো সত্যকারই অন্নজলের মতো ব্যবহার করে থাকি ; কেবল আমার ভিতরকার এই-যে মানুষটি, ধনে যাকে ধনী করে না, খ্যাতিপ্রতিপত্তি যার ললাটে কোনো চিহ্ন দিতে পারে না, সংসারের ছায়ারেীন্দ্রপাতে । বার ক্ষতিবৃদ্ধি কিছুই নির্ভর করে না— সেই আমার অন্তরতম চিরকালের মানুষটিকে দিনের পর দিন বস্তু না দিয়ে, কেবল নাম দিয়ে বঞ্চনা করি— তাকে আমার মন না দিয়ে, কেবল মন্ত্র দিয়েই কাজ চালাতে থাকি ! সে বা চায় তা নাকি সকলের চেয়ে বড়ো, এইজন্তে সকলের চেয়ে শূন্ত দিয়ে তাকে থামিয়ে রেখে অন্ত-সমস্ত প্রয়োজন সারবার জন্যে ব্যস্ত হয়ে বেড়াই ! আমাদের এই বাইরের মানুষের এই সংসারের মানুষের সঙ্গে সেই জামাদের অস্তরের মামুষের একটা মস্ত তফাত হচ্ছে এই যে, এই বাইরের লোকটাকে আমরা আদর করে বা অবজ্ঞা করে উপহারই দিই আর ভিক্ষাই দিই-না কেন, সে সেটা পায়— আর সত্যকার ইচ্ছার সঙ্গে, শ্রদ্ধার সঙ্গে বা না দিই সে আমার সেই অস্তরের মানুষটির २t*१
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৮
অবয়ব