স্বাক্টর অধিকার যা হব বলে পৃথিবীতে এলুম তাই যে হলুম না, সেই হবার সংকল্প ষে জোর করে নিতে পারলুম না। আমার পথ আমি নেব, আমার যা হবার আমি তাই হব’ এই কথাটি জোর করে বলতে পারলুম না বলেই এই বেদনা জেগে উঠছে যে, হয় নি, হয় নি, দিন আমার বৃথাই বয়ে যাচ্ছে । গাছকে পশুপক্ষীকে তো এ সংকল্প করতে হয় ন!— মানুষকেই এই কথা বলতে হয়েছে যে ‘আমি হব । যতক্ষণ পর্যন্ত এ সংকল্পকে সে দৃঢ়ভাবে ধরতে পারছে না, এই কথা সে জোর করে বলতে পারছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ পশুপক্ষী-তরুলতার সঙ্গে সমান । কিন্তু, ভগবান তাকে তাদের সঙ্গে সমান হতে দেবেন না, তিনি চান যে তার বিশ্বের মধ্যে কেবল মানুষই আপনাকে গড়ে তুলবে, আপনার ভিতরকার মনুষ্যত্বটিকে অবাধে প্রকাশ করবে। সেইজন্যে তিনি মানুষের শিশুকে সকলের চেয়ে অসহায় করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন— তাকে উলঙ্গ ক’রে দুর্বল ক’রে পাঠিয়েছেন। আরসকলেরই জীবনরক্ষার জন্যে যে-সকল উপকরণের দরকার তা তিনি দিয়েছেন – বাঘকে তীক্ষু নখদন্ত দিয়ে সাজিয়ে পাঠিয়েছেন। কিন্তু, এ কী তার আশ্চর্য লীলা যে মানুষের শিশুকে তিনি সকলের চেয়ে দুর্বল অক্ষম ও অসহায় করে দিয়েছেন– কারণ, এরই ভিতর থেকে তিনি র্তার পরমা শক্তিকে দেখাবেন । যেখানে তার শক্তি সকলের চেয়ে বেশি থেকেও সকলের চেয়ে প্রচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে সেইখানেই তো তার আনন্দের লীলা। এই দুর্বল মকুন্যশরীরের ভিতর দিয়ে যে একটি পরম। শক্তি প্রকাশিত হবে এই তার আহবান । ” х ... * বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে আর-সব তৈরি, চন্দ্রস্থর্য তরুলতা সমস্তই তৈরি— কেবল মাকুষকেই তিনি অসম্পূর্ণ করে পাঠিয়েছেন । সকলের চেয়ে Woo & 3. o
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৬
অবয়ব