শান্তিনিকেতন বলেছেন, “আর-সব জায়গায় আমি রয়েছি, কিন্তু তোমার ঘরে নিমন্ত্রণ না করলে আমি যাব না।’ তিনি বলেছেন, ‘তোমরা কি আমাকে ডাকবে না ? তোমরা যা ভোগ করছ আমাকে তার একটু অংশ দেবে না ? যারা কেড়ে নেবার লোক তারা কেড়ে নেয়, তারা অনাদর সইতে পারে না । , আর, যিনি দ্বারের বাইরে প্রতীক্ষা করে দাড়িয়ে রয়েছেন তাকেই বলেছি, ‘তোমাকে দিতে পারব না।” দিনের পর দিন কি এই কথা বলে আমরা সব ব্যর্থ করি নি ? একদিন আমাদের এ সংকল্প নিতেই হবে, বলতে হবে, ‘আমার ধন জন মান, আমার সমস্ত খ্যাতিপ্রতিপত্তি জীবনযৌবন তোমারই জন্যে। প্রতিদিন যদিবা ভুলে থাকি, আজ একদিন অন্তত বলি, “তোমারই জন্য আমার এই জীবন হে স্বামী ! তোমাকে না দিয়ে কি আমি আমাকে ব্যর্থ করলেম, ন তোমাকেই ব্যর্থ করলেম ? তুমি যে বলেছিলে আমরা ‘অমৃতস্য পুত্রাঃ, আমরা অমৃতের পুত্র । তুমি যে বলেছিলে, ‘তুমি বড়ো, তোমার জীবন সংসারের মুখের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে থাকবে না।’ সেই পিতৃসত্য যে আমাদের পালন করতেই হবে, তাকে ব্যর্থ করলে যে তোমার সত্যকেই ব্যর্থ করা হবে।’ সেইজন্যে, সেই সত্যকে স্বীকার করবে বলে এক-একটা দিনকে মানুষ পৃথক করে রাখে। সে বলে, ‘রোজ তো ঘানি টেনেছি, আর পারি নে— একটা দিন অন্তত বুঝি যে আনন্দলোকে অমৃতলোকেই আমি জন্মগ্রহণ করেছি, কারাগারের মধ্যে নয়।’ সেই দিন উৎসবের দিন, সেই দিন মানুষের আপনার সত্যকে জানবার দিন । সেই দিনকে প্রতিদিনকার দিন করতে হবে। প্রতিদিন নিজেকে কত অসত্য করে দেখেছি, কত অসত্য করে জেনেছি— একদিন আপনাকে অনন্তের WE e dy
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৯
অবয়ব