বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটো ও বড়ো আমার সমস্ত সীমার মধ্যে সীমার অতীত সেই অচেনাকে ক্ষণে ক্ষণে জানতে পারছি, সেই অসীমকেই আমার করতে পারবার জন্তো প্রাণের ব্যাকুলতা — অামি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে ! অসীমের মধ্যে যে একটি ছন্দ দূর ও নিকট -রূপে আন্দোলিত, যা বিরাট হৃৎস্পন্দনের মতো চৈতন্ত্যধারাকে বিশ্বের সর্বত্র প্রেরণ ও সর্বত্র, হতে অসীমের অভিমুখে আকর্ষণ করছে, এই গানের মধ্যে সেই ছন্দের দোলাটুকু রয়ে গেছে। 喹 অনস্তস্বরূপ ব্ৰহ্ম অন্য জগতের অন্য জীবের সঙ্গে আপনাকে কী সম্বন্ধে বেঁধেছেন তা জানবার কোনো উপায় আমাদের নেই, কিন্তুএইটুকু মনের ভিতরে জেনেছি যে মানুষের তিনি মনের মানুষ । তিনিই মানুষকে পাগল করে পথে বের করে দিলেন, তাকে স্থির হয়ে ঘুমিয়ে থাকতে দিলেন না। কিন্তু, সেই মনের মানুষ তো আমার এই সামান্য মানুষটি নয় ; তাকে তো কাপড় পরিয়ে, আহার করিয়ে, শয্যায়। শুইয়ে, ভোগের সামগ্ৰী দিয়ে ভুলিয়ে রাখবার নয়। তিনি আমার মনের মানুষ বটে, কিন্তু তবু দুই হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলতে হচ্ছে— অামার মনের মানুষ কে রে! 瞳 আমি কোথায় পাব তারে । সে যে কে তা তো আপনাকে কোনো সহজ অভ্যাসের মধ্যে স্থল রকম করে ভুলিয়ে রাখলে জানতে পারব না— তাকে জ্ঞানের সাধনায় জানতে হবে ; সে জানা কেবলই জানা, লে জানা কোনো খানে এসে বদ্ধ হবে না। কোথায় পাব তারে ? কোনো বিশেষ্ণ VNR ! f