বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্রীর উৎসব বীণা যে তোমার বুকের কাছে তুমি ধরে রেখেছ। যতই ক্ষীণ স্বরে সে বাজুক সে তোমার বুকের কাছেই বাজে। কিন্তু, তোমার আমার মাঝখানে যেখানে জনতার ব্যবধান, নীরবে হোক সরবে হোক অস্তরে অস্তরে যেখানে কোলাহল তরঙ্গিত, সেই ব্যবধান ভেদ করে আমার এই సౌ কণ্ঠের সংগীত যে জাগবে, আমার পূজার দীপালোক যে অনির্বাণ হয়ে থাকবে— এ বড়ো কঠিন। বড়ো কঠিন। মানুষ গোড়াতেই যে প্রশ্ন করে, কে হে, তুমি কোন দলের ? এ যে উৎসব— এ তো কোনো এক দল নয়, এ যে শতদল ৷ এ কাদের উৎসব আমি কেমন করে তার নাম দেব ? এক-একজন করে কত লোকের নাম বলব ? হৃদয়ের ভক্তির প্রদীপ জালিয়ে, সমস্ত কোলাহল পার হয়ে, স্তন্ধ শাস্ত হয়ে যারা এসেছেন আমি তো তাদের নাম জানি না। যারা যুগে যুগে এই উৎসবের দীপ জালিয়ে গেছেন এবং র্যারা অনাগত যুগে এই দীপ জালাবেন, তাদের কত নাম করব আর কেমন করেই বা করব ? আমি এই জানি যে, সম্প্রদায় আপনার বাইরে আসতে চায় না ; সে নিজের ছাপ মেরে তবে আত্মীয়তা করতে চায়। তার দক্ষিণ মুখের যে অমান জ্যোতি অনন্ত আকাশে প্রকাশমান, যে জ্যোতি মনুষ্যত্বের ইতিহাসের প্রবাহে ভাসমান, সম্প্রদায় সেই জ্যোতিকেই নিজের প্রাচীরের মধ্যে অবরুদ্ধ করতে চায় । 疊 উৎসব তো ভক্তির, উৎসব তো ভক্তেরই । সে তো মতের নয়, প্রথার নয়, অনুষ্ঠানের নয়। এ চিরদিনের উৎসব, এ লোকলোকান্তরের উৎসব। সেই অনস্ত কালের নিত্য উৎসবের আলো থেকে ষে একটুখানি ফুলিঙ্গ এখানে এসে পড়ছে, যদি কেউ হৃদয়ের দ্বীপমুখে \O& S