শাস্তিনিকেতন চেষ্টা করেছে। বর্মে চর্মে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অন্যের চেয়ে নিজে বেশি শক্তিশালী হবার জন্য তারা ক্রমাগতই তলোয়ারে শান দিয়েছে। পীস কনফারেনস্— শাস্তিস্থাপনের উদযোগ চলেছে ; সেখানে কেবলই নানা উপায় উদ্ভাবন করে নানা কৌশলে এই মারকে ঠেকিয়ে রাখবার জন্য চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, কোনো রাজনৈতিক কৌশলে কি এর প্রতিরোধ হতে পারে ? এ যে সমস্ত মানুষের পাপ পুঞ্জীভূত আকার ধারণ করেছে— সেই পাপই যে মারবে এবং মেরে আপনার পরিচয় দেবে। সে মার থেকে রক্ষা পেতে গেলে বলতেই হবে ; মা মা হিংসীঃ । পিতা, তোমার বোধ না দিলে এ মার থেকে আমাদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না। কখনো এটা সত্য হতে পারে না যে, মানুষ কেবলমাত্র আপনার ভিতরেই আপনার সার্থকতাকে পাবে। তুমি আমাদের পিতা, তুমি সকলের পিত!— এই কথা বলতেই হবে। এই কথা বলার উপরেই মানুষের পরিত্রাণ । মানুষের পাপের আগুন এই পিতার বোধের দ্বারা নিববে— নইলে সে কখনোই নিববে না, দাবানলের মতো সে ক্রমশ ব্যাপ্ত হতে হতে সমস্ত ছারখার করে দেবে। কোনো রাজমন্ত্রী কুট কৌশলজাল বিস্তার করে যে সে আগুন নেবাতে পারবে, তা নয় । মার খেতে হবে, মানুষকে মার খেতেই হবে। 證 মানুষের এই-যে প্রচও শক্তি এ বিধাতার দান। তিনি মানুষকে ব্ৰহ্মাস্ত্র দিয়েছেন এবং দিয়ে বলে দিয়েছেন, যদি তুমি একে কল্যাণের পক্ষে ব্যবহার কর তবেই ভালে— আর যদি পাপের পক্ষে ব্যবহার কর তবে এ ব্রহ্মাস্ত্র তোমার নিজের বুকেই বাজবে ।’ আজ মানুষ মানুষকে পীড়ন করবার জন্য নিজের এই অমোঘ ব্রহ্মাস্ত্রকে ব্যবহার 8е 3
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৩
অবয়ব