পাপের মার্জন তার হৃদয়ের সমস্ত নাড়ি ছিন্ন হয়ে যাবে। যার চিত্ততন্ত্রীতে আঘাত করলে সব চেয়ে বেশি বাজে পৃথিবীর সমস্ত বেদনা তাকেই সব চেয়ে বেশি করে বাজবে। তাই বলছি যে, সমস্ত মানুষের সুখদুঃখকে এক করে যে একটি পরম বেদন, পরম প্রেম আছেন, তিনি যদি শূন্ত কথার কথা মাত্র হতেন তবে বেদনার এই গতি কখনোই এমন বেগবান হতে পারত না । ধনী-দরিদ্র জ্ঞানী-অজ্ঞানী সকলকে নিয়ে সেই এক পরম প্রেম চিরজাগ্রত আছেন বলেই এক জায়গার বেদন সকল জায়গায় কেঁপে উঠছে। এই কথাটি আজ বিশেষভাবে অনুভব করে । -- তাই এ কথা আজ বলবার কথা নয় যে ‘অন্যের কর্মের ফল আমি কেন ভোগ করব । হা, আমিই ভোগ করব, আমি নিজে একাকী ভোগ করব, এই কথা বলে প্রস্তুত হও । নিজের জীবনকে শুচি করে, তপস্যা করো,দুঃখকে গ্রহণ করে । তোমাকে যে নিজের পাপের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ করতে হবে, নিজের রক্তপাত করতে হবে, দুঃখে দগ্ধ হয়ে হয়তো মরতে হবে। কারণ, তোমার নিজের জীবনকে যদি পরিপূর্ণরূপে উৎসর্গ না কর তবে পৃথিবীর জীবনের ধারা নির্মল থাকবে কেমন করে ? প্রাণবান হয়ে উঠবে কেমন করে ? ওরে তপস্বী, তপস্তায় প্রবৃত্ত হতে হবে, সমস্ত জীবনকে আহুতি দিতে হবে, তবেই 'যদুভদ্রং তৎ— যা ভদ্র তাই— আসবে । ওরে তপস্বী, দুঃসহ দুর্ভর দুঃখভারে তোমার হৃদয় একেবারে নত হয়ে যাক, র্তার চরণে গিয়ে পৌছোক। নমস্তেহস্ত । বলো, ‘পিতা, তুমি যে আছ সে কথা এমনি আঘাতের মধ্য দিয়ে প্রচার করো। তোমার প্রেম নিষ্ঠুর— সেই নিষ্ঠুর প্রেম তোমার জাগ্রত হয়ে সব অপরাধ দলন করুক। পিতা নো বোধি। আজই তো সেই 8 a o
পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৮
অবয়ব