পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--ইয়ার্কি রাখুন। ডাক্তারবাবু। আমায় ঘুম পাড়িয়ে কী হবে ? ছেলে উড়োজাহাজে সুইসাইড করতে যাচ্ছে—ওকে বরং, 6 ।। বিদেশ যাত্রার জরুরী আয়োজনের জন্যই কুমারকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাইরে যেতে হয়েছিল। বাড়ি ফিরে শোনে যে, আধ ঘণ্টা আগে নলিনী অজ্ঞান হয়ে গেছে। তার জ্ঞান ফিরে এলে, একটু সুস্থ হয়ে উঠে বসলে কুমার বলে : -একেবারে মরণ পণ করে আমাকে ঠেকাবার চেষ্টা শুরু করলে মা ? তুমি এমন করলে আর কি আমার যাওয়া হয় ? জীবনে কোনো দিন ছেলেকে একটা কড়া ধমকও দেয়নি। নলিনী। আজ সে গলা ফাটিয়ে চীৎকার করে বলে : — আমি মরি বঁচি তাতে তোর কী রে বজাত ? তোকে যেতেই হবে। না গেলে জীবনে কোনো দিন আমি তোর মুখ দেখব না- কাশীতে গিয়ে থাকব। কুমার বলে : --তা হলে একটু শান্ত হও । তোমায় এ অবস্থায় রেখে আমি কী করে যাব ? না গেলে কিন্তু চাকরি খতম হবে মা ! নলিনী দৃঢ় স্বরে বলে : —বললাম তো তুই যাবি। উড়োজাহাজেই যাবি। কুমার আশ্চর্য হয়ে মার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। যে আতঙ্কে কদিন দিশেহারা হয়ে থেকে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল, এমনিভাবে আপনা থেকে সে আতঙ্ক মিলিয়ে গেল! কিছুক্ষণ অজ্ঞান হয়ে থেকে এমন শক্ত হয়ে গেল নলিনীর মন যে br) tfiels