পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেকে উড়োজাহাজে বিদেশে পাঠানোর ভয়কে এমন তেজের সঙ্গে জয় করতে পারল ! শুভ বলে : —এ রকম হয়। আনন্দ বেদনা ভয় এ সব একটা সীমা ছাড়িয়ে গেলে মানুষ আর সইতে পারে না, একটা শক লাগার মতো। ব্যাপারটা ঘটে এই যে, মনটা ভোতা হয়ে যায়। অ্যাকসিডেন্টটা চোখে দেখে একটা হিস্টিরিয়ার ভাব এসেছিল, সেটা চরমে উঠে কেটে গেছে। তাই হবে। নতুবা নলিনী যে ভাবে সামলে নিয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, উড়োজাহাজে যাত্ৰা বাতিল করার কথা একবার উচ্চারণও করে না। —তার কোনো মানে হয় না। দুর্ঘটনা প্ৰত্যক্ষ করার আঘাতে মনটা বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেটা কেটে গেছে। যাত্রা করার দিন ঘনিয়ে আসে। কারও টের পেতে বাকী থাকে না যে প্ৰাণপণ চেষ্টায় নলিনীকে প্ৰাণের ব্যাকুলত চেপে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু সেটা কিছুমাত্র অস্বাভাবিক মনে হয় না। ছেলের সুদূর বিদেশ যাত্রার দিন কাছে এলে মায়ের প্রাণ তো ব্যাকুল হবেই। শুভ বলে : -কান্না পেলেও কাদবেন না । তোমার যে অমঙ্গল হবে। - তুমি ? —আমি কঁাদলে দোষ হবে না। গুরুজন তো নই-ই, আপনअन७ नशे । ԵՀ