পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোতিলাল তোড়ে জলের তিনহােত উচু বঁকা ফোয়ারা তুলে দেয়। রামসুখ এবার মনের সুখে দাড়িয়ে দাড়িয়ে স্নান করে, ময়লা গামছা দিয়ে ঘষে ঘষে গায়ের ময়লা তুলতে চেষ্টা করে। স্নানার্থী একজন বলে ওঠে : —আরে রাম রাম, রামসুখ । তেওয়ারী ব্ৰাহ্মণ রামসুখ নীচু জাতের একজনের পা-ধোয়া জলে স্নান করছে।--মন্ত্র পড়তে পড়তে সুমান করছে। বেচারার কঁাচা শহুরে প্রাণটাকে এরা নাড়া দিয়েছে ভীষণভাবে। মানুষটা মেটে রঙের, মাঝবয়সী । কপালে গতকালের চলকাওঠা চন্দন-তিলকের চিহ্ন । কব্জিতে গোটা তিনেক মাদুলি, ন্যাড়া মাথার টিকি থেকে ফুলটা খসে পড়ে গেছে। কিন্তু গিটটা ঠিক আছে। পরনের নতুন আধখানা হেঁটো কাপড়টি কুচকুচে কালো । মোতিলালও ওইভাবেই কাপড় পরে, একখানা কাপড় কিনে দু, খণ্ড করে চালায় । কাপড়ের যা দাম ! মাত্র কি মাস আগে দেশ থেকে চাষবাস ছেড়ে কলকাতায় এসেছে শিউশরণ । সেও ব্ৰাহ্মণ । ব্ৰাহ্মণ-হৃদয়টি তার এই কা মাসে কত বার কতভাবে যে বিদীর্ণ হয়ে যাবার উপক্রম করেছে, কিন্তু বিদীর্ণ হয় নি। কারণ তার হৃদয়টাই ব্ৰাহ্মণ্য বজায় রাখার চেয়ে প্ৰাণটা বজায় রাখা পছন্দ করেছে বেশি। অভয়াপদ দাসের স্থানীয় ছোটাে কয়লার গুদোমটিতে সে কুলি খাটে-মুফতে। লরি ভরে চালান এলে কয়লা নামায়, খদের এলে কয়লা মেপে দেয়-পাচ সেরা থেকে এক মণ পৰ্যন্ত এক-এক বারের মাপ। এজন্য মজুরি পায় না । পায় দু-বেলা আধ পো SFS 岔5侃一?