পাতা:শান্তিলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাত বাধা, ঘাড় বাকিয়ে ধারালো দুপাটি দাত দিয়ে বঁাধনদাড়ির যেখানটা নাগাল পায় সেখানটা কামড়ে কামড়ে কেটে ফেলে শান্তিলতা । সময় লাগে খানিকটা । অধীর সুখেন্দু দু-তিন বার জিজ্ঞাসা করে : -কী করছিস ? পারছিস না ? —এই হল বলে। আর একটু। এক জায়গায় কাটা পড়তেই প্যাচানো দড়ি ঢিলে হয়ে যায়, হাত আলগা করে গিট খুলে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। ঘরে গিয়ে আগে আলো জালে শান্তিলতা । সুখেন্দুর চােখ টকটকে লাল। যেন ভূত দেখছে এমনিভাবে চোখ বড় বড় করে মেলে শান্তিলতার মুখের দিকে চেয়ে সে বলে ; —মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে তোর! মুখে মেরেছিলাম নাকি রে ? -७ किंठून । কলসী থেকে জল গড়িয়ে কয়েকবার কুলকুচে করে শান্তিলতা কড়া ধমকের সুরে জিজ্ঞাসা করে : —এমন দশা হল কেন তোমার ? সুখেন্দু দুহাতে পেটটো চেপে ধরে রেখেছিল। কয়েকবার হঁাপিয়ে গিয়ে জড়িয়ে জড়িয়ে বলে : —বজাতি করতে চাই নি বলে পিটিয়ে লাশ করে দিয়েছে। পিলে লিভার একটা কিছু ফেটে গেছে নিশ্চয়। দু-তিন বার রক্তবমি করেছি। শান্তি আর একবার কুলকুচে করে মুখের রক্ত ধুয়ে ফেলে শান্ত সুরেই বলে : Ve