পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ১ भिन्नुकठ् । করা অভিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেরই কর্তব্য । যে কাৰ্য্যামৃষ্ঠানে মানসিক নিৰ্ম্মলানন্দ অনুভূত হয় তাছাই চিরসুখপ্রদ ; নতুবা সাময়িক উত্তেজনায় কে কোন কালে আত্মপ্রসাদ প্রাপ্ত হইয়া থাকে ? কৰ্ত্তব্যাম্বষ্ঠা আত্ম প্রসাদের প্রস্থ । দীনহীন দরিদ্রকে ঘোর বিপদ হইতে উদ্ধার করিলে যে আনন্দ অনুভূত হয়, কোন ইন্দ্রিয় সেবায় তাদৃক্ষ মুখের শতাংশের একাংশও হইয় থাকে ? ন্যায়ানুগত নিয়ম দ্বারা অপত্যনির্বিশেষে প্রজা পালন, আর মিথ্যা প্রবঞ্চনা, ইহার কোন্‌টা মুখদায়ক ? দেশ হিতৈষিত। আর অসদৃষ্টান্ত দ্বারা অমঙ্গল সাধন, ইহার মধ্যে কোন্ট মনুষ্যত্বের চিহ্ন ? এবংবিধ কৰ্ত্তব্য কার্যের ভিত্তি ভূমি সত্যাচরণ ; ইহা ত্ৰিবিধ, যথা (১) আত্মার প্রতি, (২) মমৃষ্যের প্রতি ; (৩) কাৰ্য্যের প্রতি । - (১) আত্মার প্রতি। অনেকে বিবেচনা করেন সত্যবাক্য প্রয়োগ করা অপায়াস সিদ্ধ। বস্তুতঃ এটা নিতান্ত ভ্রান্তিমূলক। র্যাহার মন নীতিশাস্ত্রের সুনিয়ম দ্বারা শাসিত হয় নাই, তিনি কখন সত্য বাক্য প্রয়োগ করিতে সক্ষম হইতে পারেন না। স্বার্থ, লজ্জা, ভয়, অনুরোধাদি বহুতর প্রতিবন্ধক পরাজয় করিয়া সত্য বলা অতি সহজ ব্যাপার নহে। কিন্তু এই বহু আয়াসসাধ্য সত্য-ধন যিনি একবার কোষস্থ করিয়াছেন, তিনিই তাহার মুল্য বুঝিতে সক্ষম। সত্য বলা যে কি ভূমানন্দের বিষয় তাহ সত্যবাদী ভিন্ন কে জানিতে পারে ? যিনি আত্মাকে বিমল রাখিয়া চিরস্থ থানুভব করিতে বাসন করেন, র্তাহার পক্ষে সত্য ব্যতীত আর কিছুই অবলম্বনীয় নহে। মিথ্যা ব্যবহার মানসিক দৌৰ্ব্বল্যের কার্য্য। বিবেচনা করিয়া দেখিলে প্রতীত হইবে, মিথ্যাবাদীর ন্যায় নীচ এবং ভীৰু জগতে আর নাই। সৰ্ব্বশক্তিমান জগদীশ্বরকে অবজ্ঞা করিয়া সামান্ত মনুষ্যকে ভয় করা, আর মিথ্যা ব্যবহার করা একই বাক্য ; কারণ মিথ্যা বাক্য ঈশ্বরের নিয়ম ও ইচ্ছা বিরোধী। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে মনুষ্য গৃঢ়ামুসন্ধান না করিয়া বর্তমান কার্ঘ্যে মত্তত নিবন্ধন অনায়াসে মিথ্যা বাক্য প্রয়োগ করে। বোধ হয় যেন মিথ্য আমোদের অপরিত্যজ্য অঙ্গের ভূষণ একটি সামান্ত