পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । ১৭ গপচ্ছলে ও আমরা নানাবিধ মিথ্য বলিয়া থাকি । ইহার কারণ কি ? মিথ্যার কোন নৈসর্গিক ক্ষমতা নাই, যাহাতে মনুষ্যকে পরাভূত করে ; তবে মায়াৰী রাক্ষসীর দ্যার উহার একটি মোহিনী শক্তি আছে। মিথ্য, ভবিষ্যদালোচনার কবটে দৃঢ় অর্গল দিয়া অপবুদ্ধি মানবের সমীপে বর্তমান রঙ্গভূমি সুচিত্রিত করিয়া রাখে। স্বার্থ, নিদা, অভাব, লজ্জা, আমোদ, সাময়িক প্রতিপন্নতাদি কতিপয় কারণে লোকে মিথ্য ব্যবহার করিয়া থাকে। অনেকে আশু পকারক বলিয়া মিথ্যা ব্যবহারকে সময়ে সময়ে আবশ্ব)ক বলিয়া বিবেচনা করেন ; একটি মিথ্যা বাক্য বলিলে জীবন রক্ষা পাইত, একটি মিথ্যাচরণ করিলে ভূম্যধিকার নষ্ট হইত না, অথবা একটি মিথ্যা কাৰ্য্যামৃষ্ঠান করিলে বহুল সম্পত্তি হস্তগত হুইত—এগুলি সামান্য প্রলোভন নহে যথার্থ বটে ; কিন্তু ভবিষ্যতের দ্বার উীলন করিয়া বিবেকের পরামর্শ গ্রহণ কর। পার্থিব কুত-কাৰ্য্যতাই যদি জীবনের মুখ্য উদেশ্ব হুইত, তবে মিথ্যাচরণ বড় দূষণীয় বলিয়া পরিগণিত হইত না। পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে, একের জন্য জগৎ নহে ; সকলই পরম্পরাধীন । এই স্বাধীনতামূলক নৈসর্গিক অধীনত্ব প্রতিপাদন জন্য জগদীশ্বর সাধারণ নিয়ম সংস্থাপিত করিয়াছেন । তৎ সমস্ত প্রতিপালনে জনসাধারণের এবং স্বকীয় প্রকৃত মঙ্গল সাধন হয়। যদি সকলেই মিথ্য এবং কৃত্রিমতার পাণ্ড হইত, তবে জগৎ কখনই চলিত না ; অপিচ, জগদীশ্বর মনুষ্যকে ঈদৃশ স্বভাবাপন্ন করিয়াছেন যে, সকলেই ইচ্ছা করে যে, অন্যে তাহার প্রতি সত্য ব্যবহার কৰুক। সুতরাং সত্য আত্মমূলক ও সাৰ্ব্বভৌম। যদি সাংসারিক লোকের স্বার্থকেই জীবনের প্রকৃষ্ট উদ্দেশ্ব বলিয়া বিবেচনা করেন, তাহ হইলেও সত্য ভিন্ন স্বার্থ রক্ষার উপায়ান্তর নাই ; কারণ আত্মার মঙ্গলই প্রকৃত স্বার্থপরতা। মনের মধ্যে এমত এক মহাপুৰুষ আছেন, যিনি প্রত্যেক মিথ্যাচরণে অামাদের প্রতি রক্ত-কষায়িত লোচনে দৃকপাত করেন। র্তাহার বশবর্তী হইলে মিথ্যার কুহকে পতিত হইতে হয় না। - প্রাগুল্লিখিত কারণাবলির বশাধীন হইয়৷ লোকে সাধারণতঃ O