পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষক । . بوده দ্বিখ্যা ব্যবহার করে। কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখিলে প্রতীত হইৰে যে, মিথ্যাচরণে কোন উপকার নাই, প্রত্যুত ভূয়িষ্ট অপকার হইয়। থাকে। মানসিক আনন্দ এবং শান্তি যদি প্রকৃত সুখের কারণ ছয়, তবে সত্য ব্যতীত তাহ কিছুতেই অনুভূত হয় না। “ মিথ্যাবাদী ” শব্দটি কাছার নিকট না বিষবৎ বলিয়া বোধ হয় ? মিথ্যণবাদী বলিলে কাহার হৃদয় না শেল সম দুঃখে বিদ্ধ হয় ? যিনি মিথ্যাকে অভ্যাসগত করিয়া অঙ্গের ভূষণ করিয়াছেন, যিনি মিথ্যাচরণ দ্বারা বহুবিধ পার্থিব প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছেন, র্তাহাকেও মিথ্যাবাদী বলিলে তিনি তাছ অসছ বোধ করেন। ইহার কারণ কি ? এটি সৰ্ব্ববাদী সম্মত যে মিথ্য ঐহিক ও পারত্রিক মুখের কণ্টক স্বরূপ ; মিথ্য সৰ্ব্বানিটের মূল । সুতরাং মিথ্যাবাদীকে লোকে অন্তরের সহিত ঘৃণা করে ; তাহাকে কোন কার্য্যে, কোন কথায়, বিশ্বাস করে না ! পক্ষান্তরে, জগদীশ্বর আমাদের মন ঈদৃশ বৃত্তি সমূহ দ্বারা ভূষিত করিয়াছেন যে, সৰ্ব্বপ্রকার পাপাচারেই আত্মগ্লানির উদয় হয়। অপিচ, মনুষ্য সাধারণতঃ সন্ত্রমপ্রিয় ; সভ্রান্তি প্রাপ্তি লালসায় সৰ্ব্বপ্রকার কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করে, সুতরাং মিথ্যাচার দ্বারা ধন ও প্রতিপত্তি সঞ্চয় করার গুহ্য কারণ সন্ত্রমলালসা, কিন্তু লোকে যখন তাহাকে সভ্রম না করিয়া বরং নিন্দ করে তখন তাহার মনে নিদাৰুণ কষ্টের উদয় হয়। কেহ কেহ এই কষ্টদায়ক চিন্তাতে মিথ্যাপথ ত্যাগ করে; কেহ বা পরিবেষ্টিত চাটুকারদিগের প্রশংসা-বাদে ভুলিয়া থাকে। অপরন্ত, আত্মপ্লানি যখন ভীষণবৎ ঘন্ত্রণ দেয়, তখন মিথ্যাবাদী আর অসদাচরণ করিব না বলিয়। প্রতিজ্ঞ করে ; কিন্তু সেই সময় উত্তীর্ণ হইলে উপার্জন মদে মত্ত হইয়। আবার স্বীয় প্রিয়পথ অবলম্বন করে । এই রূপে মিথ্যা অপরিত্যজ্য, স্বভাবগত হইয়া যায়। তখন অভ্যাস দোষে অসত্য ব্যবহার করে, কিন্তু বস্তুতঃ তাহাতে কোন মুখ থাকে না। প্রত্যুতঃ তাহার গৃঢ় জীবন নানাবিধ যন্ত্রণার আগার হইয় উঠে। কি প্রধান, কি নিকৃষ্ট, কি ধনী, কি দরিদ্র সকলেরই মনে সন্ত্রমলালসা বলবতী। এই লালসাটা বাল্যকাল হইতে হৃদয়ে কাৰ্য্য করে।