** শিক্ষক { জলে লীন হইতেছে। পক্ষান্তরে, সামাজিক নিয়মানুসারে সদ্বংশজ ব্যক্তিগণ বাহ্যিক সন্ত্রম প্রাপ্ত হইয় থাকেন ; কিন্তু যোগ্য পাত্র না হইলে কে না তঁহাদিগকে অন্তরের সহিত স্থণ করে ? - সাহস, বাহাড়ম্বর, কৃত্রিম দেশহিতৈষিতাদিতেও প্রকৃত সভ্রম উপলব্ধি হয় না। সাহস এবং যুদ্ধ কৌশল যদি অবিচলিত সম্মানের দ্বার হইত, তবে দিগ্বিজয়ী আলেকৃজণ্ডার, নৃশংস মামদ, উন্মাদ কালাপাহাড় এবং রক্তপায়ী বেসমার্ক পৃথিবীর কলঙ্কস্বরূপ হইত না। কৃত্রিমতার বিষয় বর্ণনা বাহুল্য। আত্মার প্রতি সত্যাচারী না হইলে যে, প্রকৃত সন্ত্রম উপলব্ধি হয় ম, তাহ একরূপ বিবৃত হইল। সত্য ব্যবহারের প্রথম ফল, কৰ্ত্তব্যসাধন ; দ্বিতীয়, আত্মপ্রসাদ ; তৃতীয়, প্রশংসা ; সুতরাং এই ত্রিগুণাত্মক প্রকৃত সন্ত্রমের একমাত্র প্রস্থ সত্য । আত্মার প্রতি সত্য ব্যবহার করিতে হইলে ভূয়িষ্ট জ্ঞানের আবশ্যক। কারণ, ঘটনার ঝঞ্জাবাতে সত্যাসত্য অনেক সময়ে এরূপ ভাবে মিশ্রিত হইয়া যায় যে, জ্ঞানী ব্যক্তি ভিন্ন কেহই তাহার প্রভেদ করিতে পারে ম। কিন্তু একমাত্র জ্ঞানের উপর নির্ভর করিয়াও সত্যুবৃক্ষে আরোহণ করা যায় না; সাহস, প্রতিজ্ঞ এবং অবিচলিতচিত্তত ইহার আর তিনটি প্রধান সোপান। র্যাহার হৃদয় অতীত, মন দৃঢ় প্রতিজ্ঞারূঢ় এবং কিছুতেই দোহুল্যমান নহে, তিনিই কেবল সত্যব্যবহারী হইতে পারেন । a২ নভোর প্রিয়ানুবর্তী হইলে কখন কখন পাখির ছঃখ, বস্ত্রণ এবং বিপদ ঘটিতে পারে ; কিন্তু যিনি মনুষ্য নামের প্রকৃত গৌরব প্রতিপাদন করিয়া এবম্বিধ ক্ষুদ্রোপসর্গ তিরোহিত করিতে সক্ষম র্তাহার ন্যায় মুখী ব্যক্তি পৃথিবীতে আর নাই। তিনিই জগদীশ্বরের প্রিয়পুত্র এবং তাহার জীবন সার্থক। কাম, ক্রোধ, লোভাদির সহিত সততঃ যুদ্ধ করিয়াসত্যধনকে রক্ষণ করা কৰ্ত্তব্য ; নতুবা ইহার কখনই তোমাকে সত্যবাদী হইতে দিবে না। আমোদ আহলাদ এবং কথোপকথনে মন্তব্য স্বভাব যে রূপ প্রকাশমান হয় তদ্রুপ আর কিছুতেই নহে; কার্ঘ্যে এবং শিষ্টাচারে অনেক
