পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। אאשי কারণ, প্রজ এবং ভূম্যধিকারীর মধ্যে বৰ্ত্তমান অসদ্ভাব। আবহমান কাল হইতে অস্মদেশে একটা সংস্কার ছিল যে, প্রজার সুখ সংবর্ধন এবং মনোরঞ্জন করা রাজার মুখ্য উদ্দেশ্ব ; যিনি এই উদ্দেশ্ব সংসাধনে, অমনোযোগী হইতেন, তিনি পাপী রাজা বলিয়া বাচ্য হইতেন । প্রজারঞ্জন করা রাজাদিগের এতাধিক গুৰুতর কার্য্য বলিয়া নির্দিষ্ট ছিল যে, রামচন্দ্র প্রজার জন্য স্বীয় প্রিয়তম স্ত্রীকেও ত্যাগ করিয়াছিলেন । তখন দেশের মঙ্গল জন্য রাজার। সৰ্ব্বদা ব্যগ্ৰ থাকিতেন ; কিন্তু ভুর্ভাগ্যক্রমে এক্ষণ সে সব কিছুই নাই। বরং প্রজা এবং ভূম্যধিকারীর মধ্যে বিষম মনোভেদের সঞ্চার হইয়াছে। যে গৃহে পিতা, পুত্র, ভ্রাতা, ভগিনী নিৰ্ব্বিবাদে বাস করে সে গৃহ স্বৰ্গতুল্য মুখের স্থান—সে গৃহে পরস্পরের মঙ্গলেস্থ ও পরম্পরের প্রতি স্নেহ থাকায়, কষ্টের নাম মাত্র থাকে না, বস্তুতঃ একতাগুণে কেহ সেই পরিবারের অমঙ্গল সাধনে সফলযত্ব হইতে পারে না, হইলেও তাহ বহুদিন স্থায়ী হইতে পারে না। ভূম্যধিকারী ও প্রজ এক পরিবার বলিলে অযোগ্য উক্তি হয় না। প্রজার ধন, সম্পত্তি ও স্থখ স্বাচ্ছদ্য নিকদ্বেগে রক্ষার নিমিত্ত ভূম্যধিকারী প্রথমে নিযুক্ত হয়েন ; নতুবা ভূমিতে অপরাপেক্ষ তাহার গৃঢ়তর স্বত্ব নাই। প্রত্যেক ব্যক্তিই জন্মাবধি মরণ পৰ্য্যন্ত বাসস্থান, জীবিকার জন্য কৃষিকার্যের স্থান ইত্যাদিতে স্বাভাবিক অধিকারী—এ অধিকারটা ঈশ্বর দত্ত । কিন্তু মনুষ্য সামাজিক জীব, অথচ কিয়ৎ পরিমাণে স্বাধীন জীব ; . সুতরাং কেছ বলপূৰ্ব্বক কাহাকে স্বাভাবিক স্বত্ব হইতে, শ্রমার্জিত বস্তু হইতে বঞ্চিত করিতে না পারে এই জন্য সকলে সমবেত হইয় এক জনকে প্রধানত্ব পদে নিযুক্ত করায় তিনিই ভূম্যধিকারী নামে পরিচিত। র্তাহার কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম দুষ্কৰ্ম্ম নিবারণ, সম্পত্তি রক্ষা, সুবিচার ও সৰ্ব্বতোভাবে হিত-সাধন। এই গুৰুতর কার্য্যভার যাহার উপর ন্যস্ত তাহাকে জীবনোপারের স্বরূপ যাহা দেওয়া হইয়াছে তাহার নাম রাজকর। এইরপে ভূম্যধিকারী ও রাজার সৃষ্টি হইয়াছে। রাজকর আদে আর কিছুই নহে; প্রজার মঙ্গল সাধন না করিলে তাহাতে Gr