পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! क्लिङ्ख یہ . উন্নতি একবারে জমিদারের হস্তে ন্যস্ত করিলেন। যদি ঘটনা স্রোত সেখানেই থামিত তবে অনেকটা ভাল ছিল ; কিন্তু তৎপরে গবর্ণমেণ্ট বিবিধ বৈজাত্যভাবপূর্ণ অনুপযোগী আইন দ্বারা ভূম্যধিকারী ও প্রজার মধ্যে বিষম মনোবাদের বীজ বপন করিয়া দিয়াছেন। সেই বীজ অঙ্কুরিত হইয়া এক্ষণ বিষ বৃক্ষের উৎপত্তি হইয়াছে । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পূৰ্ব্বে—ইংলিশ গবর্ণমেণ্ট মুসলমানদিগের ন্যায় বৎসর বৎসর ভূমির উৎপন্নানুসারে রাজকর নিৰ্দ্ধারিত করিতেন । ইংরাজগণ এদেশে তখন নবাগত ; দেশের আভ্যন্তরিক অবস্থা কিছুই জানিতেন না, বুঝিতেনও না, সুতরাং তাহাদিগের নিৰ্দ্ধারিত রাজস্ব বৎসর বৎসর ক্রমেই বৃদ্ধি হইত। জমিদারগণ বৰ্দ্ধিত করে প্রপীড়িত ছইয়। রাজস্ব আদায়ে পরাখুথ হওয়ায়, গবর্ণমেণ্ট মছাল খাস করিয়া লইতেন অথবা ইজার দিতেন । ইহাতে জমিদারগণের স্থায়িত্ব পদ্মপত্রস্থ জলের ন্যায় হইয়াছিল। গবর্ণমেণ্ট দ্বারা প্ৰপীড়িত হওয়ায় জমিদারগণ প্রবৃদ্ধ করের জন্য প্রজাদিগকে পীড়ন করিতেন ; এইরূপে তৎকালে গবৰ্ণমেণ্টের অনবধানতায় সমগ্র সমাজ বিলোড়িত ও বিশৃঙ্খল হইয়াছিল । পরে গবর্ণমেণ্ট চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করিলেন, কিন্তু জমিদারগণ করভারে নিতান্ত পীড়িত হইলেন। মুসলমানদিগের রাজত্ব কালে করাধিক্য ছিল ; কিন্তু তৎকালে রাজস্ব আদায়ের কঠোর বিধি ন থাকায় জমিদারগণের অনেক সুবিধা ছিল । ইংলিশ গবর্ণমেণ্ট এমন আইন করিলেন যাহাতে রাজকর অবধারিত সময়ে আদায় না করিলে অবশুই জমিদারী বিক্রয় হইবে ; কিন্তু জমিদার প্রজার নিকট কিরূপে কর আদায় করিবেন তাহার কোন বিধি করিলেন না। আবার তৎসময়ের প্রজাদিগকে তখনকার প্রচলিত করে স্থায়ী পাট দিতে ভূম্যধিকারী বাধ্য হইলেন। নিজে রাজকরাধিক্য হেতু শ্বসগত প্রাণ, কিন্তু প্রজার নিকট কর আদায় করা কঠিন, বৃদ্ধি করা ত একরূপ অসম্ভব ; এই ভয়ানক ব্যাপারে প্রায় জমিদারের জমিদারী বিক্রয় হইয়া গেল। যাহারা থাকিলেন ডাহারা ঋণগ্রস্ত ও নিজীব হইয়া পড়িলেন। নবাগত