পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । २ & আদেশে যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন দান করিতে লাগিল । ষাট জন অস্ত্রধারী রক্ষী তাহার দেহরক্ষকের কার্য্য করিত । তিনশত অশ্বারোহী সৰ্ব্বদ র্তাহার আদেশপালনের নিমিত্ত প্রস্তুত থাকিত । গুরু হরগোবিন্দ মোগলসমাটু জাহাঙ্গীরের অনুচর হইয়াছিলেন । কিন্তু অল্পকাল মধ্যে তিনি সমাটের বিরাগভাজন হইয়া গোয়ালিয়র দুর্গে বন্দী হইলেন। ক্ষুদ্র সম্প্রদায়মধ্যে মহা হুলস্থল পড়িয়া গেল । গুরুভক্ত শিখেরা গোয়ালিয়রে সমবেত হইল। তাহারা দুর্গের দ্বারদেশে নতজানু হইয় গুরুর মুক্তি প্রার্থনা করিত । শিখদের বিস্ময়কর গুরুভক্তি দর্শনে সমাটু প্রীত হইয়া হরগোবিন্দকে মুক্তি দিয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন, হরগোবিন্দ দ্বাদশ বৎসর বন্দী ছিলেন । কারামুক্ত হইয়া দ্বিতীয়বার তিনি মোগলসম্রাটের চাকুরী গ্রহণ করিয়ছিলেন । নানা কারণে পুনৰ্ব্বার সমাটের বিষ নয়নে পতিত হওয়ায় তিনি পলায়ন করিয়া অমৃতসরে আসিয়াছিলেন। হরগোবিনের এক শিষ্য তুর্কিস্থান হইতে গুরুর নিমিত্ত কয়েকটি মূল্যবান অশ্ব ক্রয় করিয়া আনিয়াছিলেন। মোগলসমাটের অনুচরেরা বলপূৰ্ব্বক অশ্ব কয়েকটি কাড়িয়া লইয়াছিল । লাহোরের মুসলমান বিচারকত্ব দিল্লীশ্বরের নিকট হইতে উহাদের একটি অশ্ব উপহার পাইয়াছিলেন । হরগোবিন্দ ক্রয়ের ভান করিয়া সেই অশ্বটি লইয়া যান । এই সামান্ত ব্যাপার লইয়া হরগোবিন্দের সহিত মোগলসমাটের বিরোধ উপস্থিত হয় । মোগলসমাটের প্রেরিত সৈন্তদিগকে তিনি তিনবার যুদ্ধে পরাজিত করিয়াছিলেন । যুদ্ধবিদ্যায় তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়া ছিলেন। র্তাহার বীরত্বে মুগ্ধ হইয়া দলে দলে লোক শিখধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেছিল। যুদ্ধবিদ্যাবিশারদ হরগোবিন্দ কখন কখন স্বেচ্ছায় মুসলমানদিগের সহিত বিবাদে প্রবৃত্ত হইতেন । তিনি অনেকবার