না। পৈত্রিক সম্পত্তি বিভাগ করিয়া দিবার জন্য তাহারা মনের দুঃখে শিবাজীকে ধরিয়া পড়িল। শিবাজীর সহিত এই পরিবারের দুই-তিন পুরুষের হৃদ্যতা ছিল, এবং পুরন্দর পুণা হইতে মাত্র নয় ক্রোশ দূর। শিবাজী দেওয়ালীর সময় অতিথিরূপে দুর্গে প্রবেশ করিলেন। তৃতীয় দিবসে কনিষ্ঠ দুই ভাই রাত্রে জ্যেষ্ঠকে বাঁধিয়া শিবাজীর নিকট আনিল, আর শিবাজী তিনজনকেই বন্দী করিয়া দুর্গটি নিজে দখল করিলেন ও তথায় মাব্লে-সৈন্য বসাইলেন। কিন্তু কিছুদিন পরে তাহাদের ভরণপোষণের জন্য চাম্লী নামক গ্রাম দান করিলেন, এবং পিলাজীকে নিজ সৈন্যদলে চাকরি দিলেন।
শিবাজীর জাবলী-অধিকার
সাতারা জেলার উত্তর-পশ্চিম কোণে বিখ্যাত মহাবালেশ্বর পর্ব্বতের পাঁচ-ছয় মাইল পশ্চিমে জাবলী গ্রাম। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমে মোরে নামক এক মারাঠা-বংশ বিজাপুরের প্রথম সুলতানের নিকট হইতে জাবলী পরগণা জাগীর স্বরূপ পান এবং ক্রমে পাশের জমি দখল করিয়া প্রায় সমগ্র সাতারা জেলা এবং কোঁকনের কিছু কিছু অংশে নিজ রাজ্য স্থাপন করেন। প্রথম মোরে স্বহস্তে বাঘ বধ করায় বিজাপুররাজ তাঁহার বীরত্বের জন্য “চন্দ্ররাও” উপাধি দেন; এই উপাধি পুরুষানুক্রমে মোরেদের জ্যেষ্ঠপুত্র ভোগ করিতেন। কনিষ্ঠ ভাইগণকে নিকটবর্ত্তী গ্রাম দেওয়া হইত।
আট পুরুষ ধরিয়া যুদ্ধ ও লুঠ করিবার ফলে মোরেদের ভাণ্ডারে অনেক ধনরত্ন সঞ্চিত হইয়াছিল। তাহাদের অধীনে বারো হাজার পদাতিক সৈন্য ছিল, ইহারা মাব লেদের জাতভাই, বলবান সাহসী পার্ব্বতীয় সেনা। ফলতঃ তখন জাবলী-রাজ্য বলিতে প্রায় সমস্ত সাতারা জেলা বুঝাইত। ইহার পশ্চিম দিকে খাড়া সহ্যাদ্রি পর্ব্বত, সমুদ্র হইতে