পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: fostes-etoot ইছারা অনেক প্রতিমূৰ্ত্তি স্বদেশে আনিয়াছিল। ইহারা মনে করিত বৃষ্টির জন্য একজন, বিপদাপদের জন্ত, জীবিকার জন্য একজন, এইরূপ প্রত্যেক বিষয়ের জন্য এক এক পৃথক দেবতা আছেন। তাহারা বৃষ্টির দেবতাকে 'ছাকিয়া' বিপদাপদের দেবতাকে 'Effrai” (IIafiga) জীবিকার দেবতাকে ‘রাজিকা" এবং রোগশাস্তির দেবতাকে 'ছালিমা” বলিত । হজরত ইছার (যীশু খৃষ্ট ) জন্মের প্রায় ২৫ •• বৎসর পূৰ্ব্বে এই আঙ্ক বংশে হজরৎ ছদ আলীয়জন্ম হয়, তিনি আল্লার আদেশে এই পথভ্রষ্ট জাতির নিকট ইছলামের সত্যবাণী প্রচার করিলেন । এবং তাহাদিগকে এই সকল কল্পিত দেব দেবীর উপাসনা ছাড়িয়া সমগ্র বিশ্বজগতের স্বষ্টি ও পালনকর্তা এক আল্লার উপাসনা করিতে আহবান করিলেন। কেহই র্তাহার কথায় কর্ণপাত করিল না। বরং তঁাহাকে নানারূপ বিদ্রুপ ও অত্যাচার করিতে লাগিলেন। স্বাৰ্থ-ই অনৰ্থেব মূল । কেহ বা জ্ঞানের অতাবে সত্যাসত্য নির্ণয় করিতে অক্ষম হইয়া পূৰ্ব্বপুরুষদের অনুকরণে অসত্যকে আঁকড়াইয়া বরিয়া থাকে ; আবার কেহ বা লোকলজ্জাতয়ে চিরাচরিত রীতি পরিত্যাগ করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন ; কেহ বা স্বার্থের দায়ে জেদের বশবর্তী হইয়া নিজের ভ্রান্ত মতকেই আঁকড়াইয়া ধরিয়া থাকে। আদ জাতির অবস্থাও তাহাই হইল। আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও হুদের শিক্ষায় আশানুরূপ ফল ফলিল না। সামান্ত কয়েকজন মাত্র র্তাহার প্রচারিত ইছলাম কবুল করিল। কিন্তু পৌত্তলিকগণ ইহাতে বিচলিত হইয়া পড়িল । তাহাঙ্গেরই ভ্রাতাভগ্নিগণ পিতৃধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া ছদের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিবে ইহা তাহাদের সহ হইল মল মুতরাং স্বার্থের সহিত ধৰ্ম্মের সংঘর্ষ বাধিল । তাহারা ছদ ও তাহার অনুগামিগণের প্রতি নানারূপ অত্যাচার আরম্ভ করিল। ‘হুদ’ নানারূপে নিৰ্য্যাতিত হইয়া উাহার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করিলেন "হে আল্লহ, বহু চেষ্টা করিয়াও আমি আমার জাতিকে তোমার বাঞ্জিত সরল পথে আনিতে পারিলাম না। তুমি আমাদিগকে রক্ষা কর।” দৈবাদেশ হইল “হে হুদ, তোমার জাতিকে বল, তাহাধের উপর অচিরে আমার শাস্তি বধিত হইবে।” হুদ তাহার জাতির নিকট আল্লার এই সতর্ক-বাণী প্রচার করিলেন, কিন্তু ইহাতে তাহারা তাহাকে আরও অধিক বিদ্রুপ করিয়া বলিতে লাগিল “কি হে হয়, তোমার আল্লাহ কি শাস্তি দিবে শীঘ্র দিতে বল ।” দেশে অনাবৃষ্টি আরম্ভ হইল। একে তাহাজের দেশ মরুময়, তাহাতে আবার ক্রমাগত তিন বৎসর ধরিয়া অনাবৃষ্টিতে দেশে হাহাকার উপস্থিত হইল । হজবং হুদ দেশবাসীগণকে বলিলেন, “হে আমার দেশবাসিগণ, তোমাদের উপর আল্লার অভিসম্পাত নামেল হইয়াছে ; এখনও যদি আমার বাণী মা শুন এখনও যদি তোমাদের কল্পিত দেবদেবীর উপাসনা ছাড়িয়া, সমস্ত বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লার উপরে ঈমান না আন, তাহার উপাসনা না কর, তাহা হইলে ইহা অপেক্ষাও কঠিনতর শাস্তি নামেল হইবে। হুদের কথায় কেহ কর্ণপাত করিল না । কাবার ঘর একেশ্বরবাদের বীজক্ষেত্র হইলেও সাময়িক তত্ত্বাবধায়কের অভাবে উহাতে পৌত্তলিকতার আগাছা জন্মিবার যথেষ্ট অবসর পাইয়াছিল। হজরত মূহের প্লাবনে কাবার ঘর ভূমিসাং হইয়া যায়। র্তাহার বংশধরগণ আৰ্ম্মেনিয়া হইতে পুৰ্ব্ব উত্তর ও পশ্চিম দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়ে। দক্ষিণ দিকে কেনান অতিক্রম করিয়া কেহ আর বেশীদূর অগ্রসর হয় নাই। আবার ওদিকে আরবের মরুভূমির পূর্বপাশ্বস্থ ইরাক রাজ্যের পশ্চিম সীমা ও অতিক্রম করিবার আবশুক হয় নাই। এই নিমিত্ত কাবার ঘরের তত্ত্বাবধানে কেহই মনোযোগ দেয় নাই। বিশেষতঃ তাহার তিরোধানের পর তাহার বংশধরগণ আবার পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবিয়া যায়। সুতরাং কাবার সংস্কার কার্য্যে বহু দিন হইতে কেহই হস্তক্ষেপ করিতে পারে নাই। তথাপি তাহারা পূৰ্ব্বপুরুষদের আচরণ ভুলিয়া যায় নাই। পূৰ্ব্বপুরুষদের মত এক আল্লার উপাসনা না করিলেও তাহারা কাবার খরকে পবিত্র মন্দির বলিয়াই জানিত ; এবং কোন উদ্দেশু সিদ্ধির জন্য তথায় গিয়া তাহাজের দেবতার নিকট প্রার্থনা করিত। দেশ যখন অনাবৃষ্টিতে উচ্ছন্ন হইবার উপক্রম হইল, তখন আদের বংশের কতিপয় ব্যক্তি মক্কায়


بسیاسS----