পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাল ও সেনলাল্লাঙ্ক লং শ বিদ্যাচর্চায় মনোনিবেশ করেন। সে সময়ে সংস্থত ভাষারই চর্চা হইত। তাহার রাজসভা পণ্ডিত ও কবিতে অলঙ্কত হইযা উঠিয়াছিল। হলায়ুধ নামে একজন বিখ্যাত পণ্ডিত প্রথমে তাহার বাজপণ্ডিত, পরে ধৰ্ম্মাধিকারী বা বিচারপতি হুইযাছিলেন। হলায়ুধ সংস্কৃত ভাষায় অনেক গ্ৰন্থ রচনা কবেন। তাহাদেব মধ্যে ব্রাহ্মণ-সৰ্ব্বস্ব নামে গ্ৰন্থই প্রসিদ্ধ। হলায়ুধের দুই ভ্রাতা ঈশান এবং পশুপতিও বড় পণ্ডিত ছিলেন। পাঁচজন সুপ্রসিদ্ধ কবি লগণসেনেব রাজসভায থাকিতেন। তাছাদেল নাম উমাপতি ধর, জযদেব, BBS SBBBBHHHB C BBBSK TTBBB Bm S ইচাবা সকলেষ্ট সংস্থত কবিতা রচনা করিতেন। বিজযসেনেল প্রহ্লামেশ্ববেব মন্দিবে তাছাব যে কাfsকপা লিখিত হুইযাছিল উচ্চ উমাপতি ধবের বচনা। “গ গোবিন্দ" নামে বাধারুষ্ণেব লীলাগানে পূর্ণ সুললিত সংস্কৃত কাব্য কৰি জযদেবকে চিবস্মপণীয করিয়া বাপিয৷ছে । বীরভূম জেলায় কেন্দুবিল্ব ব৷ কেঁদুলীগ্রামে জযদেশেৰ বাসস্থান ছিল। প্রতি বৎসল পৌষ সংক্রাস্তিতে এপলও সেখানে তাহাল নামে একটি মেলা বসিযা থাকে শবণেবও অনেক সুন্দব স্ব-দল কবিতা দেখিতে পাওযা যায । গোবৰ্দ্ধনাচার্য্যের ‘আর্য্যাসপ্তশতী’ নামে একখানি সংস্থত কবিতাগ্রন্থ আছে। উছাতে সাতশত সুমিষ্ট কবি তা সংস্থত আর্যfাছন্দে লিগিত চইয়াছে । ধোয়ী কলিও একজন শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন। তিনি লক্ষ্মণসেনেব নিকট হইতে অনেক উপহাব ও কপিরাজচক্ৰৰ ই উপাধি লাভ কপিধা ছিলেন। “পবনদূত' নামে তাহার একখানি স্বমধুর কবিতায় পূর্ণ সংস্থত কাব্য সুপ্রসিদ্ধ কবি কালিদাসেব ‘মেঘদূত’ নামে কাব্যেব অল্পকরণে বচি ত গুইযাছিল। ‘মেঘদূতে কালিদাস মেঘকে একজন যক্ষেব দূত করিয়া তাহার পত্নীর নিকট পাঠাইযাছিলেন। আব “পবনদুতে ধোয়ী কবি মলয়পৰ্ব্বত হইতে মঙ্গয পবনকে কুবলম্ববতী নামে একটা গন্ধৰ্ব্ব-কস্তার দূত করিয়া বিজয়পুর বা নবদ্বীপে লক্ষ্মণসেনের নিকট পাঠাইয়াদেন। লক্ষ্মণসেন নিজেও একজন স্বকবি ছিলেন । তাহার অমাত্য বটুদাসের পুত্র শ্ৰীধর দাস প্রসিদ্ধ কৰিগণের কবিতা সংগ্ৰহ করিয়া, “সন্ধুক্তি কণামৃত” ۹وی ge নামে একপানি গ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছিলেন। গছক্তি কর্ণামৃতের’ ‘স্বক্তিবর্ণামৃত" নামও আছে। এইরূপে লক্ষ্মণসেনের রাজসভা পণ্ডিত ও কবিতে পরিপূর্ণই থাকিত । ইহার রাজকাৰ্য্যেও রাজাকে উপদেশ দিতেন। মালদহ জেলায় পাণ্ডুয়ায় এক পুরাতন মসজিদের মালিকের নিকট একখানা সংস্কৃত পুথি পাওয়া যায়, উহার নাম “সেক শুভোদয়” । উহাতে এক মুসলমান পীবের জীবন-কথা আছে। এই মুসলমান পীর নাকি লক্ষ্মণসেনের সভায় উপস্থিত ছিলেন । এই ৰই খানিতে লক্ষ্মণসেনের স ভাব নানা রকম মজাব গল্প আছে, গল্পগুলি সত্য কি না বলা যায় না। লক্ষ্মণসেনের এক শালা ছিল। সে ছিল ভাবি দুষ্ট, লোকজনেব উপর সে বডই পীড়ন করিত। একবাব সে একটি বেলের মেয়েব প্রতি অশিষ্ট ব্যবহাৰ করিলে, সে ছুটিয়া আসিয়া রাজসভায উপস্থিত হইল ও রাজার শালার নামে নালিশ কবিল। রাজা শালাকে ধরিয়া আনিবার আদেশ দিলেন। বাণীর নিকট সে সংবাদ পছছিলে তিনি তাড়াতাডি বাজসভায আসিয়া বলিযা উঠিলেন যে কাহার সাধ্য তঁtহাব ভাইকে শাস্তি দেয়। রাণীর কথায সভাশুদ্ধ লোক অবাক হইয়া গেল। তখন গোবৰ্দ্ধনাচার্য্য র্তাহাব হাতের দণ্ড দেখাইয়া বলিলেন যে, যে রাজসভার বিচারে বাধা দিৰে, তিনি তাহাকে সেই দণ্ডাঘাতে তাড়াইয়া দিবেন। তাহাব পর তিনি রাজাকে বলিলেন যে তাহাব রাজ্যে পাপ প্রবেশ করিযাছে। শীঘ্রই তাহ ধবংস হইবে । আচাৰ্য্য রাজ্য পলিত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইতেছেন বলিলেন। তাচাব পব তিনি সভা পরিত্যাগ করিয়া যাইতে উদ্যত হইলে, রাজা লক্ষ্মণ সেন সিংহাসন হইতে নামিয়া আসিয়া তাহার চরণ পরিয়া তাঙ্কণকে শাস্ত করিলেন। লেনের মেয়ের নালিশেৰ শুবিচাব হইল। বাঙ্গালার শিল্পের উন্নতি পাল ও সেন বংশের রাজত্বকালে বাঙ্গলাদেশে শিল্পের অনেক উন্নতি হইয়াছিল। ইহার পাথরের শিল্প সে সময়ে সমস্ত ভারতবর্ষে প্রশংসা লাভ করে। হিন্দু ও বৌদ্ধ নানা দেবদেবীর ও অন্তান্ত অনেক -o-o-o-o