পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| JIwIJMTV.........................................................................QEJ............... голдолд MUTUI: M-wJ.-w. I. 1- . .w. w.w-. বেদ কতকাল আগে রচিত ছইয়াছিল, ঠিক করিয়া বলা কঠিন ; তবে সে বহু সহস্ৰ বৎসর আগেকার কথ। তথন মাক্ষলিখিতে শিখে নাই, সুতরাং পড়িবার ও দরকার হইত না। কিন্তু কথা কহিতে মাঙ্গুষ তখনও পারিত এবং এই বিশ্বব্ৰহ্মাগুেণ - নানা বিষয়ে চিন্তাও করিত। বেদের সময় মানুষ পৃথিবীটাকে যেমন দেখিত, এখন হয়ত আমরা ঠিক তেমনই দেখি না। তখনকার মানুষের জীবনধারাও অনেকটা অন্ত রকমের ছিল ; খাওয়াপরা, চাল-চলন সবই অন্য ধরণের ছিল। ৰেদ পড়িলেই আমরা জানিতে পারি, সে সময়কার লোকের রীতি-নীতি কিরূপ ছিল ; সব বিষয়ে হয়-ত স্পষ্ট ধারণা আমরা করিতে পারি না; কিন্তু তথাপি মোটামুটি সে সময়কার লোকের জীবন-পদ্ধতি সম্বন্ধে একটা ধারণা আমরা করিতে পারি। আর সে সময়কার লোকে এই বিশ্ব-সম্বন্ধে কি ভাবিত, তাহাও আমরা বেদ হইতেই জানিতে পারি। বেদ কতকগুলি মন্থের সমষ্টি । এইসব মন্ত্র বিভিন্ন দেবতার উদ্দেণ্ডে রচিত স্তব। এই সকল স্তৰ এক সময়ে একইস্থানে একই বাক্তিরস্কার রচিত হয় নাই। অনেক দিন ধরিয়া বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ব্যক্তিকর্তৃক এই সকল রচিত হইয়াছিল। তখন লোকে লিখিতে জানিত না ; সুতরাং এই সকল মন্ত্র লোকের মুখে মুপে প্রচারিত হইত এবং ক্রমশ: এক শ্রেণীর লোকের আবির্ভাব ছয়—লাহারা এই সব মুখস্থ করিয়া রাখিতেন। পরবর্তী কালে ই হারাই ব্রাহ্মণ বলিয়া সমাজে সম্মান লাভ করেন। যখন এই সকল মানুষের সংখ্যা বহু হইয়া যায়, তখন একজন মনীষী এই সমস্ত সংগ্ৰহ করিয়৷ চারি ভাগে বিভক্ত করেন বলিয়া শোনা যায়। এই ভাৰেই চারি বেদের উৎপত্তি হয়। যে মহাপুরুষ বেদকে চারি ভাগে বিভক্ত করিয়া দেন, র্তাহার নাম বেদবাস। অনেক সময় তাহাকে ব্যাসদেবও বলা হয়। 'বেদব্যাস’ ঠিক তার নাম নয় ; বেদকে ব্যস্ত’ বা বিভক্ত করিয়াছিলেন বলিয়া তাহাকে ঐ আখ্যা দেওয়া হইয়াছিল। পরাশরের ছেলে বলিয়া তাহাকে ‘পারাশরি’ বলা হইত। এছাড়া, মাতার নাম অনুসারে এবং পিতামহের নাম অনুসারে তাহার আরও নাম আছে। কিন্তু তিনি বেদব্যাস নামেই পরিচিত বেশী। চারি ভাগে বিভক্ত হওয়ার পরও বোধ হয় বেদ মুখে মুখেই চলিয়া আলিতেছিল। তার পর যখন লিখন-পদ্ধতির আবিষ্কার হইল, তখন উহা ক্রমশ: fल*िनक रहेज । श्रांद्र'e *८द्र ग५न मांश्व दर्दे ছাপিতে শিথিল, তখন বেদও ছাপা হইতে লাগিল। এখন আমরা হাতের লেখা বেদ আর বড় পড়ি না, ছাপারই পড়িয়া থাকি। | §} §;