পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

---------- ----শিশু-ভগৱতী ---- →→→→回 এদিকে আর্য্যেরা এই সব ক্রিয়া-কন্মের বিচার করিতে করিতে গঙ্গার তীরে তীরে পুর্ধ্বদিকে অগ্ৰলর ইহতে লাগিলেন। এই সময় ধরিয়াই হয় ত বেদের উত্তর ভাগ, ব্রাহ্মণ ও উপনিষদ রচিত হইয়াছিল। উপনিষদে কাশী এবং বিদেহ-মগধের এত: উল্লেখ পাওয়া যায় যে, মনে হয়, লেদের এই সব অংশ বিদেহ মগধেই (বর্তমান বিছার প্রদেশের উত্তরাংশেই) রচিত গুইয়াছিল । সেখানেই । রচিত হইয়া থাকুক, এষ্ট উপনিষদগুলিতে আমরা গভীর দার্শনিক চিন্তার পরিচয় পাই. আর এই যুগের দার্শনিকদের জীবনধারার সহিত আমাদের পরিচয় সম্ভব হয়। প্রাচীন :বৈদিক যুগের ঋষিদের জীবন পদ্ধতি সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ ; কিন্তু উপনিষদের ঋধিদের জীবনের অনেক কথা আমরা জানিতে পাই । বেদ মূলতঃ চারিটি, এবং ইহাদের মন্ত্র-সংখ্যাও সাধারণভাবে সৰ্ব্ব-সম্মত । কিন্তু ক্রিয়া-কম্মের খুটিনাটি ল হয়। অনেক মতভেদ হয় এবং তার ফলে প্রত্যেক বেদেরই অনেকগুলি শাখা':হঠয়া যায়ু । যাহার। ঋগ্বেদ অনুসরণ করিতেন, তাহাদিগকে ঋগ্বেদী . বলা হইত ; আর যারা সামবেদ অনুসরণ. করিতেন, তাহাদিগকে সামবেদী বলা হইত এই প্রকার চারিবেদ অনুসারে , আর্য্যেরা চারি ভাগে বিভক্ত হইয়। পড়েন। এই বিভাগ বিশেষভাবে ব্রাহ্মণদেরই হইয়াছিল, কারণ, তাহারাই বেদ অধ্যয়ন ও অধ্যাপন করিতেন এবং বৈদিক যাগাদিতেও তাহারাহ নেতৃত্ব করিতেন। তথাপি সাধারণ-ভাবে এই বিভাগ ব্রাহ্মণদের যজমান অন্যান্য জাতিতেও সংক্রান্ত হইয়াছিল। বেদের চারিটি ভাগ অগুসারে যেমন আগা সমাজ চারিটি ভাগে বিভক্ত হইয়াছিল তেমনি প্রত্যেক বেদের শাখ।-বিভাগ অনুসারেও ঐ চতুধর্ণ বিভক্ত সমাজ আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে বিভক্ত হইয়াছিল। এই বিভাগ মূলতঃ এবং প্রধানতঃ ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান এবং আচার লইয়া কইলেও ক্রমশঃ মস্থাদির পাঠে এবং বাখ্যা প্রভূতিতেও ইহার বিস্তার ঘটে। সেইজন্য শাখাভেদ অনুসারে ঠিক বেদ ভেদ না ঘটিলেও ব্রাহ্মণ-ভেদ এবং উপনিষদ ভেদ হইয়াছিল ; আর অনেক স্থলে একই মন্ধেব পাঠান্তরও এই অনুসারে ঘটিয়া যায় । চারি বেদের শাখার সংখ্যা সমান নয় ; এবং সেই জন্য ব্রাহ্মণ ও উপনিষদের সংখ্যা ও সব বেদের এক নয় । মোটের উপর এই চারি বেদের কতটি শাপ। ছিল এবং উহাদের ব্রাহ্মণ ও উপনিষদষ্ট বা কতগুলি s२s8 ছিল, ঠিক জানা যায় না। “মুক্তিকা-উপনিষদ”— নামক একখানা বইয়ে বেদের শাখাগুলির একটা সংখ্যা দেওয়া আছে ; আরও দুই এক জায়গায় এই শাখাসমূহের গণনা করিবার চেষ্টা হইয়াছে। এই সব গণনা অনুসারে চারিবেদের শাখা সৰ্ব্বসমেত এক হাজারেরও উপর ছিল । কিন্তু যে সংখ্যা আমরা পাই, সেগুলির নাম কোথাও মিলে না, এবং তাহাদের অস্তিত্বের কোন নিভুল ঐতিহাসিক প্রমাণও পাওয়া যায় না। ‘মুক্তিক উপনিষদ আরও বলেন যে, প্রত্যেক শাখারই একখানা করিয়া উপনিষদ ছিল। তাহা হইলে উপনিষদের সংখ্যাও হয় এক হাজারের উপর। ইহার অৰ্দ্ধেকেরও নাম ‘মুক্তিকা’ উপনিষদ দিতে পারেন মাই ; আমরাও এত সংখ্যক উপনিষদের কোন উদ্দেশ.এখন পর্য্যস্ত পাই নাই । আধুনিক পণ্ডিতদের অনুসন্ধানের ফলে প্রায় আড়াই শত উপনিষদের নাম পাওয়া গিমুছে ; কিন্তু ইহার মধ্যে বেশীর ভাগই ব্যর্থ অনুকরণ মাত্র ; সাহিত্যিক কিংবা দার্শনিক মূল্য ইহাদের কিছুই নাই। পরবর্তী দার্শনিক আলোচলনায় যে সব উপনিষদের উল্লেখ পাওয়া যায়, তাহাদের সংখ্যা অতি সামান্য। যে সব উপনিষদ প্রামাণা বলিয়। স্বীকৃত হইয়াছে, তাহার মধ্যে বিশেষভাবে নিম্নলিখিত কয়েকটির নাম করা যাইতে পারে:-ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন, মুণ্ডক, মাণ্ডকা, ঐতরেয়, তৈতিরীয়, ছান্দোগা, বৃহদারণ্যক, শ্বেতাশ্বতর, কৌষীতকি ও কৈবলা । এই সব উপনিষদের ভিতর ভারতীয় দর্শন ও দার্শনিক দের যে সব পরিচয় মিলে, তাহা এক অমূল্য সম্পদ । হস্থায় বি স্থত আলোচন করা সম্ভব নয় ; তোমাদের কাছে এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকজন দার্শনিক ও তাহদের দর্শনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আমরা দিব । 'বৃহদারণ্যক নামক উপনিষদে যাজ্ঞবল্কা নামক একজন দার্শনিকের উল্লেখ পাওয়া যায়। ইনি মতি প্রবীণ ব্যক্তি ছিলেন ; হ’হার জীবন এবং দর্শন দুই-ই সম্মানের "যোগ্য । তখন মিথিলার রাজা ছিলেন জনক। ভবভূতি নামক নাট্যকার বলিয়াছেন, ইনিই রামের শ্বশুর এবং সীতার পিতা রাজর্ষি জনক । জনক রাজা দর্শন শাস্ত্রের বড় পক্ষপাতী ছিলেন ; র্তাহার যভায় প্রায়ই বড় বড় দার্শনিকদের সমাগম হইত এবং নানা প্রকার বিচার গবেষণা হইত। ঋষি যা স্ন স্কা হ’হার সভায় পায়ই যাতায়াত করিতেন। একবার জনক রাজা একটা খুব বড় যজ্ঞ করেন। তাহাতে কুরু, পাঞ্চল প্রভৃতি বহু দূর দেশ হইতে DJ]