পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেন্সের সামনে একটা লাল কাচ দিয়া ছবি তুলিবার ব্যবস্থা আছে। লাল কাচে নীল, সবুজ ইত্যাদি অন্ত রঙ, আট কাইয়া যায়—শুধু লাল রঙ ই তাeাকে ভেদ করিয়া যাইতে পারে। আবার লাল রঙটাই কুয়াস কে ভেদ করিয়া যাইতে সব চেয়ে সমর্থ। তাই এই উপায়ে ছবি লক্টলে, যেখানে চোখে কিছুমাত্রও দেখা যায়না, সেখানেও যথেষ্ট স্পষ্ট ছবি উঠিয়া থাকে। আজকাল আবার লাল আলোর চেয়েও বৃহত্তর আলোর তরঙ্গ দিয়া ছবি তুলিবার কৌশল বাহির হইয়াছে। দেখা গিয়াছে যে, কুমাসার কণাগুলি এত বড় যে, লাল আলোও তাঙ্গাকে সম্পূর্ণ ভাবে ভেদ করিয়া অগিতে পারে না . কিছু কিছু তাহাও ছড়াইয় পড়ে । কিন্তু নুতন উপায়ে লাল আলোর চেয়ে বৃহত্তর তরঙ্গের অালো লইয়া ছবি উঠাইলে তাহ সম্পূর্ণ স্পষ্ট হইয় ওঠে । গন কুয়াসা ও তাহার বিশেষ কিছু করিতে পারে না এই যে আলোর কথা তোমাদের বলিলাম, ইহা অবশ্য চোখে দেখিতে প। ওয়া যায় না। সমুদ্রের রঙ, এইবার তোমাদিগকে সমুদ্রের রঙের কথা বলিব । আকাশ যে কারণে নীল মনে হয়, সমুদ্রের নীল হওয়ার কারণ প্রায় তাহাই । অনেক সময়ে আলকাশের নীল ছায়া পড়িয়া সমুদ্র নীল দেথায় এবং সমুদ্রের নীল হুইবার ইহাও একট। কারণ সন্দেহ নাই । কিন্তু আকাশকে প্রতিবিম্বিত করিয়া আমাদের দিকে পঠাইতে কইলে সমুদ্রের উপর খুব সামান্স রকম তরঙ্গ থাকা দরকার। নিস্তরঙ্গ সমুদ্র আকাশকে সব দিকে প্রতিবিম্বিত করিতে পাAে না, অথচ তখনও সমুদ্র নীল । অতএব আকাশের নীলকে শিজের মধ্যে প্লাষ্টিবিম্বিত করা ছাড়া ও সমুদ্র নিজেও আকাশের মত নীল রঙ, ছড়াইতে থাকে। ইচ অধস্ত গভীর সমুদ্রের কথা – যেখানকার জল স্ফটিকের মত স্বচ্ছ, ধূলিকণা-বিহীন। তটের নিকটস্থ সমুদ্রের কথা স্বতন্ত্র । এখানে তটের সহিত অনঃরত সঙ্ঘর্ষের ফলে জলে নানারকমের বস্তুকণা মিশিয়। যায়। এই কণাগুলি নিজেরাই তখন আলো-কে ছড়াইয়া দেয়। সাধারণতঃ শুটের নিকটস্থ জলে অতিশয় স্বগ অবস্থায় বালুকারকণা ভাসিয়া বেড়ায় । এই লালুকণা গুচিব আয়তন এইরূপ যে, তাহারা সবুজ ও তাছা হইতে ক্ষুদ্রতর তরঙ্গের আলো-কে খুব বেশী করিয়া ছড়াইয়া দেয় । সেই জন্ত তটের সমুদ্রের রঙ সবুজ। যদি সমুদ্রের জলে সামুদ্রিক উদ্ভিদের ধবংসাবশেষ স্থ* স্বল্প হইয়। মিশিয়া থাকে, তাছা হইলে তাছারা ও নিজের প্রভাব বজায় রাখিতে চেষ্ট। করে । এই গুলি সাধারণত: নেটে রঙের আলোকেই আমাদের দিকে ছড়ায় । তখন এই মেটেরঙ, বালুকণার সবুজ রঙ, ও নীল রঙ এইসব মিলিয়া মিশিয়া সমস্ত দৃপ্তটাকে অস্তৃতরকম ঘোলাটে করিয়া তোলে। প্রয়াগে (এলাহাবাদে) যেখানে গঙ্গা-যমুনা একসঙ্গে আসিয়া মিশিয়াছে, সেই সঙ্গম স্থলে একটা সুন্দর লা পাব দেখিতে পাওয়া যায় । দুইটি নদীর জল যে ধীরে ধীরে মিশিয়া যাইতেছে, তাহ অতিশয় সুন্দর ভাবে বুঝিতে পারা যায়। এ ক্ষেত্রে ও দুইটি নদীর বিভিন্নভাবে আলোক ছড়াইয়া দিবার ক্ষমতার জন্যই ঐরুপ ঘটনা সম্ভল হইয়াছে। ভূতত্ত্ববিদের বলিয়। থাকেন ধে, যমুনা গঙ্গা হইতে প্রাচীনতবনদী। সেজন্ত ত’হার গভীরত। সাধারণভাবে গঙ্গার গভীৰত ইষ্টতে বেশী । গভীর নদ1ল স্রে ৩ অগভীরের তুলনায় অল্প হল । তাহার পর সমুনা প্রয়া:গর নিকট আসি। প্রথমে একটা হদের মধ্যে পড়িয়াছে এবং এই হ্রদেরই এক অংশে গঙ্গা আসিয়া তাহার সহিত খরস্রোতে মিশিয়াছে । কাজে কাজেই, যমুনার জলে গঙ্গাপ তুলনায় একেবারেই স্রোত নাই। জলে স্রোত বেশ eষ্টলেই তাঁহাতে বৃহদায়তনের কণা সকল ভাসিয়া থাকিতে পারে। তাই স্রোতপুর্ণ গঙ্গার জল তাহার সঠিত অজস্র বড় বড় বালুকণা বহিয়া আনে । এষ্ট বালুকণা সকল স্থৰ্য্যের আলোর প্রায় সবরঙ গুলিকেচ ছড়াইয়া দেয়। এই জন্যই গঙ্গার জলকে ঘোrাটে দেপায় । অপরপক্ষে যমুনারজল স্রোতোধীন বলিয়া হচাতে যে সব কণা ভাসিয়া থাকে, তাহীদের মামু তন অতিশয় ক্ষুদ্ৰ—এত ক্ষুদ্র যে তাহাদিগকে চোখে দেখা যায় কিনা সন্দেহ । এই স্বগা কণাগুলি সমুদ্রতটেল জলে ভাসমান বালুকণার কাজের মত সবুজ ও নীল রঙেই অধিক পরিমাণে ছড়া হয় থাকে । তাই যমুনারদিকে চাহিলেই তাঙ্গাকে সবুজ দেখায়। দুইটা নদী যখন পাশাপাশি আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন তাহার নিজস্ব রঙ, পরস্পরের সহিত তুলনার স্থযোগ হওয়ায় আরও স্পষ্ট হইয় ওঠে। যমুনার জল গাঢ় রঙের হইয় ওঠে ও গঙ্গা দেখায় শুভ্র বর্ণের। > * > * -----" נסו