পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

---


[সেকালের জীবজন্তুদের কথা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে প্রাণীর কথা বলা হইবে । ] এখন বর্তমান জগতের পশু-পক্ষী ও অন্যান্য সমুদয় প্রাণী-পরিচয় আমরা চারিদিকে নানাজাতীয় প্রাণী দেখিতে পাই। পশু পক্ষী . কীট-পতঙ্গ প্রভৃতি কত জাতীয় يې أكبر প্রাণী যে আছে, তাহা কি কেই গণিয়া শেষ করিতে পাবে ? বিজ্ঞানের সে শাখার সাহায্যে আমরা নানা প্রাণীর কথা জানিতে পারি, তাeার নাম প্রাণী-বিজ্ঞান। পূৰ্ব্বে প্রাণীদের বিষয়ে তেমনভাবে আলোচনা হঠত না। কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে প্রাণী-বিজ্ঞানের যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে। এখন নানা নুতন নুতন তথ্যের সাহায্যে আমরা প্রাণীদের পূর্ণ পরিচয় দিতে পারি। কি ভাবে উeা সম্ভবপর হঠয়াছে এবং কি ভাবে প্রাণিগণের বিবিধ শ্রেণী-বিভাগ হইয়াছে, এখানে তাছার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হইল। ইছা হইতে তোমরা প্রাণীদের সহিত অতি সহজেই পরিচয় লাভ করিতে পারিবে । আমরা প্রাণীদের নাম দিয়া তাহাঁদের পরিচয় দেই। যেমন কুকুর। কুকুর বলিতে তোমরা বিশেষ একজাতীয় প্রাণীকে বুপিয়া থাক, যদিও বহু জাতীয় কুকুর আছে। তোমরা শুনিয়া আশ্চর্যা হইবে যে, এক গিরগিটি জাতীয় প্রাণীর সংখ্যা হবে কুড়ি পচিশ হাজার । বল দেখি, যদি আমরা ঐ সমুদয় গিরগিটির প্রত্যেকটির এক একটা ভিন্ন ভিন্ন নাম দেই, তাহ। হইলে সেই হাজার হাজার নাম একজন শ্রুতিধরের


শ্রেণী বিভাগ AAAA SAS A SAS SSASASTTAAASA SAASAAAS 2. tr of H# * • • چ সলেক্টeে পক্ষেও মনে রাখা কঠিন। এজন্যই একটা সাধারণ নাম দিয়া এক এক জাতীয় প্রাণীর পরিচয় দেওয়া হয়। অনেক জাতীয় প্রাণীর আবার কোন নামই থাকে না, আমরাও তাছাদের সকলের নাম দিয়া উঠিতে পারি না—তবে আকৃতি ও প্রকৃতি দেখিয়া এক একটা সাধারণ সংজ্ঞার মধ্যে ফেলিয়া দেই । আমরা ঘাটেমাঠে ছোট-বড় কত রকমের প্রাণী দেখিতে পাই তাছাদের সকলেরই কি নাম জানি ? দেশভেদে জীবজন্তুরও নানারূপ নাম হইয়া থাকে। বিড়ালকে কেহ বিড়াল বলেন, কেহ বলেন “মেকুর”। কাজেই বুঝিতে দেশভেদে বিভিন্ন পারযে,একই প্রাণী দেশের বিভিন্ন নাম অংশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। এক বিড়ালেরই নানাদেশে নানা নাম। ইংরাজী cat, সংস্কৃত মার্জার, বাঙ্গলা বিড়াল, বিলাই, মেকুরআরও কত নামেই না অভিহিত হইয়া থাকে। এই ভাবে আমরা এক জাতীয় জন্তুরই নানা বিভিন্ন নাম । পাই । এই নামের দ্বারা আমরা বিজ্ঞানের শ্রেণী বিভাগালুরূপ প্রকৃত পরিচয় পাইতে পারি না। প্রাণিবিজ্ঞানবিং পণ্ডিতেরা প্রাণীসমূহের দেহের গঠন-প্রণালী দেখিয়া তাছাদের জাতিনির্ণয় করেন। তোমরা লক্ষ্য করিলে দেখিতে পাইবেযে, কতকগুলি