পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

امام متم{G] --- “বাৰা ! আমি একখানি নুতন ক্ষেত পাইয়াছি, সেই ক্ষেতের চাষ আরম্ভ হইয়াছে, নুতন নূতন অঙ্কুর বাহির হইয়াছে, এই সময়ে আমাকে সৰ্ব্বদা সতর্ক থাকিতে হক্টতেছে। এমন সময় আমার আস্তের ক্ষেতের প্রতি দৃষ্টি দিবার অবসর নাই, তাছার ভারও লইতে পারি না।” এইভাবে নানক তাকার ধৰ্ম্মামুরাগের বিষয় পিতাকে নানারূপে বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন। সংসারী পিতা তাহার ভাবের গভীরত। পঝিতে পারিলেন না । তিনি নানককে অকৰ্ম্মণ্য মনে করিলেন । নানকের পিতা তাছাকে সংসারের কাজে লাগাইবার জঙ্গ আর একবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি তাহার ছাতে কিছু টাকা দিয়া তাহাকে ললিলেন—“এক গায়ে মুন কিনিয়। আর এক গায়ে বিক্রয় করিয়া এস " নানক টাকা লইয়া বালসিন্ধু নামক এক তৃতাকে সঙ্গে লইয়া নুন কিনিতে গেলেন। এমন সময়ে পথের মধ্যে কতকগুলি ফকিরের সঙ্গে তাছার সাক্ষাৎ হয়। সাধুদিগকে দেখিয়৷ নানকের মনে খুব আনন্দ ছইল। ফকিরদের সfছত ধৰ্ম্মালাপ করিবেন ভাবিয়া তিনি তাহীদের কাছে গেলেন । কাছে গিয়া দেখেন তিন দিনের উপবাসে তাহাদের কথা কহিবার ক্ষমতা নাই । তাছাদের এইরূপ ক্লেশ দেখিয়া নানকের মনে দয়। *ঠল। তিনি কাতরভাবে বালসিন্ধুকে বলিলেন"আমার পিতা কিছু অর্থ লাভের জন্য মুনের বাবলা করিতে আদেশ দিয়াছেন; কিন্তু সে লাভের টাকা কতদিন থাকিবে ? অামার বড় ইচ্ছা হইতেছে, এষ্ট টাকা দিয়া দরিদ্র সাধুদিগের দুঃখ দূর করি।” বালসিন্ধু নানকের এই প্রস্তাৰে সন্মতি দান করিলেন। নানক সমস্ত অর্গ ফকিরদিগকে দান করলেন। তাহারা আংরাদির পর সুস্থ হহয়। নানককে মধুর ধৰ্ম্মকথা শুনাইলেন। নানকের অতুল আনন্দ হইল। নানকের পিতা পুত্রের এই দানে কিছুমা এ সস্তুষ্ট হইলেন না। তিনি এইজন্ত নানককে শাস্তি দিয়াছিলেন। নানক এখন আর ছেলেমামুন নছেন। তাছার পয়স বিশ বছর হইয়ছে। ৰয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহার ঈশ্বর-প্রীতি বাড়িতেছিল। পিতার একান্ত চেষ্টায়ও তাছার মন সংসারের দিকে গেল না। তিনি সন্ন্যাসী ও ফকিরের সহিত মিশিতেই ভালৰাসিতেন। আর একবার তিনি জনৈক সন্ন্যাসীকে একটি foss-ustoe) - সোণায় অঙ্গুরী ও পালপাত্র দান করেন । পুত্রের aई नाप्नद्र कथी त्रिष्ठा तनिदागाज उघ्नांनरू क्लक হইয়া নানককে গুহ হইতে তাড়াইম্বা দিলেন। কালু তালবণ্ডী গ্রামের ভূ-স্বামী রায় বুলারের অনুগত কৰ্ম্মচারী। বুলার নানককে পরম সাধুজ্ঞানে ভক্তি করিতেন। তিনি এই সময়ে নানককে তাহার একমাত্র ভগিনী নানকীর নিকটে সুলতানপুরে পাঠাইয়া দিলেন । ভগ্নীপতি জয়রাম নৰাৰ দৌলত ধী লোদীর অধীনে রশদ বিভাগের মুদিখানার কর্তা ছিলেন। কিছুকাল নানক এই মুদিখানার কার্য করিয়া ছিলেন। তিনি যাহা উপার্জন করিতেন, সাধুসেৰাতেই তাছা ব্যয় করিতেন। কিছুতেই নানকের মন সংসারের দিকে আকৃষ্ট হইতেছে না দেখিয়া পিতা কালু এই সময়ে স্থলখনচেীণী নামে এক শুন্দরী বালিকার সহিত র্তাহার বিবাহ দিলেন। বিবাহ করায় নানকের মনের গতির কিছুই পরিবর্তন হইল না। তিনি আগে যেমন ছিলেন, তেমনি সংসারের প্রতি উদাসীন ভাবে আরও কিছু কাল মুদিথানার কাজ করিতে লাগিলেন। এই সময়ে এক দিন তাছার জীবনে হঠাৎ এক পরিবর্তন ঘটিল। একটি ঘটনায় তিমি তাহার জীবনের উচ্চ লক্ষ্য বুঝিয়া ফেলিলেন । একদিন বাবা নানক তাহার মুদিখানায়ু বলিয়া আছেন, এমন সময়ে এক সন্ন্যাসী আসিয়া লেখানে উপস্থিত হইলেন। তিনি কথা-প্রসঙ্গে নানককে বলিলেন,-“ভগবান আপনাকে অতি মহৎ কার্য্যের ভার দিয়া সংসারে পাঠাইয়াছেন। আপনার নাম ‘নানক নিরহঙ্কারী ; আপনি কি ঈশ্বরের নাম কীৰ্ত্তন করিবেন, না মুদিথানার কার্যে জীবন পাত করিবেন ? সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া তাহার হৃদয়ে অপূৰ্ব্ব পরি: ৰক্তন আসিল । তিনি ৩২ বৎসর বয়সে সংসার ত্যাগ করিয়া চলিলেন। তাছার পত্নী স্থলখন, চারিৰৎসর বয়স্ক পুত্র শ্ৰীচাদ, শিশু পুত্র লক্ষ্মীদাস, পিতা, মাত, আত্মীয়-স্বজন কেহই তাহাকে ফিরাইতে পারিল না। লালকের চরিত্রের একটা আশ্চৰ্য্য আকষণী শক্তি ছিল । তিনি সকলকে ছাড়িয়া চলিয়াছেন, কিন্তু সকলে তাহাকে ছাড়িতে চাহে না। চাকর ৰালসিন্ধু ( ভাই ৰালা ) তাহার সঙ্গী হইলেন। পিতা কালু নানকের গৃহ-ত্যাগের খবর পাইয়া মৰ্দ্দান مdt8ثالا § - §