পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীল ভঙ্গৰুভেঙ্ক শিক্ষা-হিন্দু-মুগ পরে পুত্রকে নিজের বাগাদি সম্প্রদান করিবেন । এই মন্ত্র উচ্চাৰণ করিতে ইৰে । পিতা বলিবেন,— আমার বাকা তোমাতে ধারণ করিতেছি ।" পুত্র বলিবেন, -“আমি তোমার বাক্য ধারণ করিতেছি।” পিতা বলিবেন, মামার জ্ঞান, জ্ঞাতৰা ও কামা তোমাতে ধারণ করিতেছি ।” পুত্র বলিবেন, তোমার জ্ঞান, জ্ঞাতবা ও কামা সকল আমাতে ধারণ করিতেছি।" অনন্তর পুত্র পিতাকে প্রদক্ষিণ করিয়৷ তাছার নিকট হইতে পুৰ্ব্বদিকে গমন করিবেন । তখন পিতা পুত্রকে লম্বোধন করিয়া বলিবেন, “পুত্র, তোমার লোকি কী ও শাস্ত্রীয় কীৰ্ত্তি এবং ব্ৰহ্মতেজ লাভ হউক ৷” ইহা হইতে দেখা যায়, বৈদিক যুগের আর্য্যগণ জীবনে স্থখ,সম্পদ, যশ: ও বিদ্যার প্রাচুয্য কামন করিতেন ; তখনও আর্য্য সমাজে দুঃখ বাদের স্থান হয় নাই । জীবনে এই অাদর্শ ছিল বলিয়া শিক্ষণ-বিধানও লোকরূপ ভাবে রচিত হইয়াছিল ।. প্রাথমিক শিক্ষা অতি প্রাচীনকালে শিক্ষা গুহে পিতার নিকট আলস্ত হইত। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈহু জাতির শিশুগণের তিন ৰৎসর বয়সের মধ্যে চুড়াকরণ হইত। এই সংস্কার শেষ হইলে পাঠ আরম্ভ করিতে হইত । কৌটিলোর বিধান অনুসারে চুড়ার পর লিপি ও অঙ্ক শিখিতে হইত এবং উপনয়নের পর ৰেদ পড়িতে ছইত । পরবর্তী যুগের প্রাথমিক শিক্ষা কিরূপ ছিল, তাছার কিছু কিছু বিবরণ আমরা নানা গ্রন্থ হইতে জানিতে পারি। "ৰিস্কালম্বকে 'লেখশালা’ ৰল। হুইত, ছোট ছোট ছেলেরা ৰে সব গল্প শুনিতে ভালবাসিত, সেগুলিকে ‘পরিকথা” বলা হইত ; লিখিবার জন্তু যে cणथनैौ वाचशम्र कब्रn रुइङ. ठांशग्न मांभ झिग 'फूला' এবং অঙ্ক শিখাইবার জন্ত "জনিত্র’ ব্যবহৃত হইত। কাঠের পাটায় লেখা কহত, তাহার নাম ছিল "ফলক" এবং কলমকে বলা হইত বর্ণক” । ইহা হইতে আমরা বুঝিতে পারি যে, প্রাথমিক শিক্ষার লিখন, পঠন ও অঙ্ক শিখাইবার সুন্দর বন্দোবস্ত ছিল । সেকালে শিশুদিগের নানারূপ খেলার পরিচয় কোন কোন পুস্তকে পাওয়া যায়। এইরূপ একটি খেলার নাম ছিল ‘অকুখরিকা’ । ইহা বৰ্ত্তমান কালের অক্ষর দ্বারা শব্দ রচনা খেলার মত। তখনকার ছাত্রেরা এখনকার ছাত্রদের মতই কলরব করিয়া অধ্যয়ন করিত ; -- এইজনা বেদের একটি মন্ত্রে ছাত্রদের কলরবকে বর্ষাকালের ভেকের কোলাঙ্কলের সঙ্গে তুলনা করা কহয়াছে । গুরুকুল সেকালের বিদ্যালয়কে গুরুকুল বলিত । কিন্তু হই। পড়াঙ্গ বার জন্য প্রাণহীন প্রতিষ্ঠান মাত্র ছিল না । নগর বা রাজসভা হইতে দূরে প্রকৃতির শান্তিময় ক্রোড়ে মানুষ এমন কি গাছপালা ও পশু-পক্ষীদেরও লহয়; এক সঙ্গে বাস করিবার জনা যেন এই সব গুরুকুল স্থাপিত হত। এই বিদ্যালয়গুলি আশ্রম নামেও অভিহিত হইত। সরল জীবন যাপন ও উচ্চ চিস্তার পক্ষে এরূপ স্থানের অাবস্তকতা বোধ হয় কেছ অস্বীকার করিতে পারেন না। এইরূপ গুরুকুল বn আশ্রম প্রাচীন ভারতবর্ষের একটি বিশিষ্ট বস্তু Tছল। এইগুলি সমাজের এক প্রাস্তে প্রতিষ্ঠিত হইলেও সমাজেরই এক অঙ্গ ছিল ; শুধু তাহাই লয়, এই অপশ্রমের চিন্তাশীল মস্তিষ্কই সমাজের সকল অঙ্গ চালাইত। এইরূপ আশ্রমে গুর ও গুরুব পরিবারের মধ্যে বাস করিয়া সেকালের ছাত্রগণ বাড়ীর অভাব বুঝিতে পারিত না । কিন্তু পরবর্তীকালে বৌদ্ধধগে সন্ন্যাপী-পরিচালিত বৌদ্ধ-বিহারগুলি এই সামাজিক আবেষ্টন হইতে দূরে লরিয়া গিয়াছিল। বৈদিক যুগের ছাত্রেরা গুছী গুরুর সঙ্গে বাস করিতে অসামাজিক ভাৰে গড়িয়া উঠিত না । এই সব গুরুকুলে ৰছসংখ্যক ছাত্র থাকিঙ্ক বলিয়। জানা যায়। গুরুকুলের অধ্যক্ষকে ‘কুলপতি’ বলা হইত। পৌরাণিক যুগে নৈমিষারণ্যের তপোবনের কথা ৰছ গ্রন্থে পাওয়া যায়। এইখানে ভারতবর্ষের উত্তর, দক্ষিণ, পুৰ্ব্ব, পশ্চিম বইতে মুনির আলিয়। একত্র হইতেন এবং বেদ, পুরাণ প্রভৃতি আলোচনা করিতেন। এই আশ্রমের কুলপতি ছিলেন শৌনক ; তাছার প্রশ্ন অনুসারে সৌতি মহাভারত-কথা শুনাইয়াছিলেন । গুরু সেকালে বিদ্যা ছিল আচাৰ্য্যগত ; ছাত্রেরা র্তাহাদের কাছে উপস্থিত হইয়া এৰং বুদ্ধি ও সেবা দ্বার। তাহাদিগকে সন্তুষ্ট করিয়া বিদ্যালাভ করিত। শুধু নিজে নিজে পাঠ করিয়া কেহ বিদ্বান বলিয়া পরিচিত হইতে পারিত না । গুরুর অনুগ্রহের উপর বিদ্যা নির্ভর করিত। গুকও নিজের পুত্রের মত Տ ՑԳ>