পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f_iஅ.கiஒs পড়ান। ইছার কোন একটি পদ গেলে বিদ্যা সম্পূণ বলিয়া মনে করা হহত না । ধনসম্পত্তি, আত্মীয়স্বজন, পয়স, কন্ম ও বিদা, ইহাদের মধ্যে বিদার গৌরব সকলের অপেক্ষা দেশী ছিল । জীবনের যেদিন নিজে বিদ্যাচচ্চর্ণ না করিয়া ধ। অন্ত কাহাকেও ন৷ পড়াইয়া অতিবাহিত হুইত, সে দিনকে পুথী মনে করা হইত। বিদn fবনামূলে দান করিবার জিনিষ বলিয়া গণ্য হঠত । গো, ভূমি ও বিদn-দান ‘অতিদান" বলিয়া কথিত হইত। ইছাদের মধ্যে অন্তগুলি অপেক্ষা বিদ্যাদান শ্রেষ্ঠ ছিল। টাকা পয়সা লইয়া পড়ান অতি নীচ কাজ বলিয়া মনে কর। হুইত । কোন রকমে বিদ্বান বাক্তির যশ: নষ্ট করিলে বা তাহার অজ্ঞাতসারে তাহার বিদ্যাকে নিজের কাজে লাগাইলে বিদ্যাচুরি করা হইল, এইরূপ ধারণ ছিল। যে গ্রামের ত্রাক্ষণেরা বিদ্যাচচ্চর্ণ না করিত, রাজা সেহ গ্রামকে শাস্তি দিতেন। কেননা, সেই গ্রামের সমাজ, অর্থ ও খাদ্য দ্বার। সেই সব বাহ্মণকে বৃথা পোষণ করিত , তাকাতে যেন চোরকে ভাত দেওয়া ६के * । যে গ্রামে বিদ্যা-উপাৰ্জ্জনের কোন সুবিধা পাকিত না, সে গ্রামে পাস করা ব্ৰাহ্মণের পক্ষে নিষেধ ছিল। বিদ্যালাভ করিবার জন্ত ব্ৰাহ্মণ ও অবাক্ষণের দ্বারস্থ ইহঁতেন। "শ্রদ্ধাযুক্ত হইয়। ইতর লোকের নিকট হইতেও বিদ। গ্রহণ করিবে ।” “অতি অস্ত্যজ অর্থাৎ নীচ চগুলি প্রভূতির নিকট হইতে পরম ধৰ্ম্ম লাভ করিলে।” ৰাধা হয়। অব্রাহ্মণকে গুরু বলিয়। স্বীকার করিতে ইহলে সেই গুরুকে সম্মান দেখাইতে ইচত । “ বাহ্মণ-ব্রহ্মচারী আপৎকালে অব্রাহ্মণ ৰণাদির নিকট অধ্যয়ন করিতে পাবেন এবং যে পৰ্য্যস্ত আধায়ন কবিলেন সে পলা ও প। ধোয়ান ও উচ্ছিষ্ট লওয়া ছাড়া অন্য রকমে তাহার শুশ্ৰুষা কfরবেন।” পিতা-মাতা শিশুর শিক্ষা স্বাভাবিক ভাবে আরম্ভ eয় পিত।মাতাপ দ্বার। বৈদিক স্গে শিশুর জন্মের পুৰ্ব্বে ও পরে নানা রকমের সংস্কার বা অগুষ্ঠান পিতা-মাত। দ্বারা করা হইত। এই উপলক্ষে পি * যে মনের কামনা প্রকাশ কfরতেন তাহাতে হিন্দুর জীবন ও শিক্ষার অাদশ জানা যায় । সে যুগের শিক্ষার বাবস্থা কিরূপ ছিল, তাই বুঝিতে হইলে এই অঞ্চদশ সম্বন্ধে একটু ভাৰিয়া দেখিতে হয়। শিশুর জন্মের পূৰ্ব্বে পিতা এই উপনিষৎ-মন্ত্র উচ্চারণ করিতেন— । “আমার এমন এক পুত্র হউক যে পণ্ডিত, প্রখ্যাত ও সভায় বিচার-সমর্থ হুইবে, রমণীয় বাক্য উচ্চারণ করিবে, সব্ববেদ অধ্যয়ন করিবে এবং পূর্ণায়ুঃ প্রাপ্ত হইবে।” "আমার পণ্ডিত। দুহিতা উৎপন্ন উক ও পূর্ণায়: 2ाश्व श्ष्टक्र ।” “পুত্র জন্ম গ্রহণ করিবার পর পিতা অগ্নি প্ৰজলিত করিয়া তাহাকে ক্রোড়ে ধাৰণ করেন এবং কাংস্ত- : পাত্রে পধিমিশ্রিত বুত রাখিয়া তাহ। অল্পে অল্পে আহুতি দেন এবং এই মন্ত্র উচ্চারণ করেন আমি এই পুত্র দ্বারা নিজের গহে বন্ধিত হইয়। সহস্ৰ মানব ও পশুকে যেন পোষণ করিতে পারি। ইহার ৭°শে প্রজা ও পশু যেন অবিচ্ছিন্ন থাকে। স্বাহ ! হে পুত্র, অামাতে যে প্রাণ আছে তাই। আমি মন দ্বার। তোমাতে আহুতি দিতেছি । স্বাহ৷ ” শিশুর নামকরণ সংস্কারের সময়ে পি s| ৩াeাপ মাতাকে সম্বোধন করিয়া বলিতেন—“হে বীরে । তুমি বীর পুত্র প্রসব করিয়াছ, তুমি আমাদিগকে বীর বাণ করিয়াছ। তুমি বীরবতী হও । এই শিশুর বিষয়ে লোকে থেন এইরূপ বলে, তুমি পিতাকে অতিক্রম করিয়াছ, তুমি পিতামহকে অতিক্রম করিয়াছ।” পুত্রবান গ্রহী প্রাথনা করিতেন—“আমি যেন পুত্র সম্বন্ধীয় গুঃখে রোদণ না করি।” পুত্রকে কাছে BSBBH 0 SSBBB SBBB SKK BBSBBS BBS বলিতেন—“হে পুত্র, তুমি আমার প্রত্যেক অঙ্গ কহঁতে নিগত ও হৃদয় ইহঁতে সমুৎপন্ন ইহঁয়াছ । হে পুত্র, তুমি আমার নিজের মত ও আমার রক্ষাকারী। তুমি শত পৎসর জীবন ধারণ কল । তোমার নাম অমুক । এই বলিয়া পুত্রের নাম বলিবে । তুমি পাষাণের মত দৃঢ় হও! তুমি কুঠারের মত তীক্ষ হ ও "---হত্যাদি বলিয়া তিনবার পুত্রের মস্তক আঘাণ করিতে হইবে । নিজের মৃত্যুর পূৰ্ব্বে পিতা পুত্রকে কাছে ডাকিৰেন। “নবীন তৃণ দ্বারা গুহ আচ্ছাদন পূৰ্ব্বক অগ্নি স্থাপন করিয়৷ পূৰ্ণপাত্র সহিত জলপূৰ্ণ কলস স্থাপন ও তদুপরি নুতন বস্ত্র আচ্ছাদন করিয়া স্বয়ং শ্বেত মালা ও বসন পরিধান স্তর সমাগত পুত্রের সহিত সন্মলিত হহলেন । নিজের ইন্দ্রিয়সমূহ দ্বারা পুত্রের ইঞ্জিয়সমূহ স্পর্শ করিবেন । অনস্তুর পুত্রের সম্মুখে উপবেশন করিবেন। ՏՎԻԳԵ