পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- পোড়ায় ও না ও বন্ধু অক্সিজেনকে বেশী লাফালাফি করতে দেয় না । আমরা নিঃশ্বাস নিই অক্সিজেন । কিন্তু যেটা নাক দিয়ে ছাড়ি, সেটার প্রাচীন নাম অপান বায়ু । সত্যি সেটা কয়লা পোড়া ধোয়া মাত্র । কাঠ. কেরোলিন, কয়লা পোড়ালে যে ধোয়া বেরোয় এ সেই পদার্থ। বায়ুমণ্ডলের এও একটা প্রধান উপাদান। কিন্তু একে টেনে কোন প্রাণী বঁাচে না । ধোয়ার ভরা ঘরে কাউকে বেঁধে রাখলে সে দম বন্ধ হয়ে মরে যাবে। আচ্ছা, তোমাদের ত এটা মনে হতে পারে যে, বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন ক্রমাগত খরচ হতে হতে একদিন ফুরিয়ে যাবে, সব জীবজন্তু মরে যাবে! বছ পুরাকালে হয় ত এ রকম একটা ভয় ছিল । কিন্তু যেদিন প্রকৃতি দেবী তার রাজো সবুজ গাছপালা এনে উপস্থিত করলেন, সেদিন সব স্বব্যবস্থা হয়ে গেল। গাছগুলো কয়ল-পোড়া গ্যাসের কয়লার ভাগটা নিজের দেহে টেনে নিয়ে অক্সিজেনের ভাগট। ছেড়ে দিতে লাগল। হা ওপার অক্সিজেন যেমনকার তেমনি রইল। আবার যদি এমন দিন অালে যে, মানুষ সব গাছ-পাল কেটে ফেলবে আর আকাশে ক্রমাগত ধোয়া ছাড়বে, তখন এই ভূম গুলে প্রাণীর যুগ শেষ হয়ে যাবে। পৃথিবী চাদের মতন একট। মরা গ্রহ হয়ে থাকবে । হাওয়াতে আর এক পদার্থ প্রচুর পরিমাণে আছে। সে হচ্ছে জলের ভাপ | অtগে বলেছি যে, জল ফোটালে লাম্প হয় । কিন্তু শুধু তাই নয় । জলের একটা গুণ এই যে, সে সৰ্ব্বদা শুকিয়ে যাচ্ছে । অর্থাৎ যত গরমই হোক, কি যত ঠাণ্ডাই হোক, অনবরত তার দেহের খানিকটা ভাপ হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে । অথচ মজা দেখ, পুথিবীর জল কমে যাচ্ছে না! কেন, তা তোমরা জান ? বায়ুমণ্ডলের জলের বাষ্প যে ক্রমাগত শিশির, বৃষ্টি, শিল, তুষার হয়ে আবার পুথিবীতে পড়ছে! পুথিবীর সপ্তসিন্ধু আর আকাশের মন্দাকিনী, দুই বজায় রয়েছে। সেকালে কবি কালিদাস গেয়েছিলেন -সহস্ৰ গুণ ফিরিয়ে দেবার জন্তই স্থৰ্য্য পৃথিবী থেকে রস টেনে নিচ্ছেন ! তা, সহস্ৰগুণ না দিলেও য। নিচ্ছেন তা ফিরিয়ে দিচ্ছেন এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সপ্ত-সিন্ধু বলতে মনে হল, সমুদ্রের জলে কি আছে তা কি তোমরা জান ? বিশুদ্ধ জল, অর্থাৎ হাইড্রোজেন অক্সিজেনের যোগফল, ত আছেই, কিন্তু আর কি ASAAAAS AAASASAAAAASA SSASAS SSAS S0KS -eভত্ত্ব প্রথ্রিলাল্ল কথা আছে ? মুখে দিয়ে দেখ, সমুদের জল ভমানক নেন। লাগবে। আমাদের অবিহু কীয় মুনের বেশীর ভাগ ত সমুদ্রের জল শুকিয়ে নিয়েই তৈরী হয় । কিন্তু এই লুন কি পদার্থ ? এক চিমটি মুন গনগনে BBBB LL BSB JBB DS C MBB BBB YYJY দুৰ্গন্ধ গাস বেরোবে। সে গ্যাস তোমাদের চোখে গেলে চোখ জালা করবে, গলায় গেলে কাশি মালবে এই গ্যাগের নাম ক্লোরিন । এটা একটা মৌলিক পদার্থ, সোডিয়ম ধাতুর সঙ্গে মিশে ঘন হয় । তোমার চুলোর তাপে মুনের উপাদান দুটো আলাদা হয়ে গেল। কোরিন গেল উড়ে, সোডিয়মটা অন্ত পদার্থের সঙ্গে মিশে চুলের ছাইয়ের মাঝে রইল পড়ে। তাপের এই গুণ অাছে। যৌগিক পদার্থকে প্রয়োজন মত তাতালে তার মৌগিক উপাদানগুলো ক্ষমালাদ৷ অtলাদা হয়ে যায়। হুর্য্যের দেহে সেই জন্য কোন ধৌগিক পদার্থ নেই । মৌলিক পদার্থগুলো (আমাদের সবশুদ্ধ বিরানব্বইটা জানা আছে। সেই প্রচণ্ড তাপে গাস হয়ে রয়েছে। যখন পৃথিবী স্তর্যের দেহ পেকে ছিটকে বেরিয়ে এলেন তখন তারও ঐ অবস্থা। অর্থাৎ, তার দেহের মধ্যে বিরানৰবইটা মৌলিক পদার্থ তেতে বাষ্প হয়ে রয়েছে । তার পর সেটা জুড়োতে আরম্ভ হল । জল, স্থল, অকাশের স্বত্রপাত হল । কিন্তু ভেতরে কি আছে ? আগেই বলেছি ঠিক জানা যায় না। নানা মুনির নাম মত। তবে কি করে ভূগর্ভের স্বরূপ সম্বন্ধে একটা আন্দাজ করা হয়েছে তা বলি । পুপি দীর ওজন নিউটন স্থির করে গেছলেন। তার আয়তন ও জানা জিনিস। ভূপৃষ্ঠের মাটি পাথরের ওজন ও জান। আছে । হিসেব করে দেখা গেছে যে ভেতরটাও যদি শুধু মাটি পাথর হত তাহলে পৃথিবীর ওজন ঢের হালকা হত । তাঙ্গলে, ভে ওরে যা আছে লেটা খুব ভারী জিনিষ, পণ্ডিতরা বলেন, প্রধানতঃ লোহা ও নিকেল (যে ধাতু দিয়ে আনী, দুয়ানী, সিকি তৈরী হয়)। লোহা ও নিকেলটা কিন্তু প্রচণ্ড তাপে, আর উপুরের মাটি পাথরের চাপে, তরল হয়ে রয়েছে। জালামুখী পাহাড়ের গহবর দিয়ে গল। পাথরের সঙ্গে সেই তরল ধাতু যখন বের হয় তখন অ৷ মাদের সঙ্গে তার সাক্ষাং পরিচয় হয় । পৃথিবীকে তাহলে চার ভাগ করা যাক। বায়ুমণ্ডল ক্ষিতি-মণ্ডল, জল-মণ্ডল মার ভূগর্ভ। ভূগর্ভের কথা ত শুনলে, আমর। বিশেষ কিছু জানি না। বায়ুমণ্ডলের --