পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজ-কশৰুের্থা এদিকে চন্দ্র ধরেম কন্যা কাজলরেখা তখন পাচ ৰছরের । চন্দ্র ধর কোলের মেয়ে কোলে থাকিতেই বিয়ে দিবেন ঠিক করিয়াছেন, এমন সময় কোথা হইতে হঠাৎ একদিন এক সন্ন্যাসী তাহার বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সন্ন্যাসী কাজলরেখাকে দেখিয়াই বলিলেন--বিয়ের জল গায়ে পড়লেই এ মেয়ে বিধবা হবে।’ সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া সকলে হায় হায় পরিয়া উঠিল । চন্দ্ৰধর সন্ন্যাসীকে ধরিয়া পড়িলেন মেয়ের কপালের লেখা তাহাকে খণ্ডন করিয়া দিতে হইবে। সন্ন্যাসী বলিলেন—‘কপালের লেখা খণ্ডায় কে ? তবে আমি একটা যজ্ঞ করতে পারি। যজ্ঞের ফলে, বার বছর এ মেয়ে স্বামীর ঘর করতে পারবে । চন্দ্রস্তুর্যোর অদেখা বনের মধ্যে এর স্বামী জোটানো চাই ; আর মরা হোক, জাস্ত হোক, সেই স্বামীর সঙ্গে সেই বনেই থাক। চাই । সেখানে স্বামীর সঙ্গে থেকে ও যদি এ বিধলার মত থাকে, আর স্বামীও লার বছরেখ মধ্যে স্বী বলে পরিচয় না পায়, তবেই এ জন্ম এয়োস্ত্রী হ'তে পারবে।' সন্ন্যাসীর কথায়ু চন্দ্ৰধর যজ্ঞের জোগাড় করিলেন। লয়াপী যজ্ঞ করিয়া কাজলরেখার হাতে একটি সোনার আংটা পরাইয়া দিয়া চলিয়া গেলেন । ইহার পরে দুই বৎসর বাদে সত্যসত্যই রয়েশ্বরের আয়ু ফুরাইল । হীরাধর ছেলের গায়ে এক লাথ হুচ বিধাইয়া হাওয়ার পথ বন্ধ করিলেন। তারপর চন্দ্রস্থয্যের আদেখা এক বনের মধ্যে এক মন্দির বানাইয় তাহার মধ্যে তাহাকে রাখিয়া দিলেন পাচ বছরের কাজলরেখ। তথন সাত বছরের হইয়া উঠিয়াছে। চন্দ্রধর মেয়ের বিয়ের ভাবনায় অস্থির। সন্ন্যাসী ৰলিয়াছেন–চন্দ্রস্থৰ্য্যের অদেখা বনের মধ্যে তাহার স্বামী জোটানো চাই ; আর মরা হোক, জ্যাস্ত হোক, সেই স্বামীর সঙ্গে সেই বনেই তাহার থাকা চাই । কোথায় সে বল, আর কোথায়ই বা এমন বর জোটে । চন্দ্রধর এইরূপ নানা চিন্তায় অস্থির হইয়া সাত ডিঙ্গা সাজাইয়া মেয়েকে সঙ্গে লইয়া বরের খোজে বিদেশে চলিলেন। সাত সমুদ্র তের নদী পার হুইয়া চন্দ্রধরের সাত ডিঙ্গল চলিয়াছে । চন্দ্র ধর এক রাজার রাজা ছাড়াইয়া অার এক রাজার রাজ্যে যান। যেখানেই বনজঙ্গল দেখেন সেখানেই নামিয়া পড়েন-মেয়ের কপালে যদি সেখানে তাহার বর জোটে ! কিল্প রাজ্যের পর রাজা ঘোঁরাই সার, চন্দ্রস্থৰ্য্যের আদেগা বনের খোজ মিলে না, কাজলরেখার বর ও জোটে न । এক দিন হুইদিন তিনদিন করিয়া তিনশ চৌধটি দিন কাটিয়া গেল। তিনশ পয়ষট্টি দিনের দিন সাত ঙিঙ্গ। সাত বাকা এক নদীর সাতবাক ঘুরিয়াছে, চন্দ্রধর হঠাৎ দেখেন--নদীর পারে এক গভীর বন, আর সেই ষভীর বনের মাঝে লতাপাতার ফাকে ফাকে দেখা যায় এক মন্দিরের চূড় ৷ চন্দ্রপর ডিঙ্গা থামাইয়। তখনই নদীর ধারে নামিলেন। তারপর কাজলরেখাকে সঙ্গে লইয়া বনেপ দিলে, চলিলেন । চন্দ্রগুলোর অদেখা সত্যসত্যত সে এক মছাবন সেই মহাবনের মাঝে লতাপাতার ফাঁকে ফাকে দেখা যায় শুধু মন্দিরের চূড়াটি । কিন্তু সে মন্দিরের কাছে আগাইবার পথ কই ? চন্দ্র ধর এদিক দিয়া যান— দেখেন গাছের পর গাছের সারি, ওদিক দিয়া যান— দেখেন কাটা জঙ্গলের বেড়া,-- কোন দিকে হাটার পপ নাই । নিরূপায় ইয়া চন্দ্রধর কাজলরেখার হাত ধরিয়। বনের পাশে দাড়াইয়া পড়িলেন । এমন সময় হাক-ডাক ছাড়িয়া আকাশের দেবতাও ছুটিয়া আসিলেন। হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার করিয়া শো শো শব্দে ঝড় উঠল। মাথার উপর কড় কড় করিয়া বাজ ডাকে, চোখের সামনে মড় মড় করিয়া গাছ ভাঙ্গে-স্থির হইয়া দাড়ায়ই বা কাহার সাধা! চন্দ্রধর ছুটিতে গিয়া আছাড় খাইয়। পড়িলেন। কাজলরেখা বাপের হীত হইতে ছিটকাইয়া গিয়া পড়িল । তারপর ঝড়ের মাঝে যে যেদিকে পারে ছুটিয়া চলিল । কাজলরেখা কোনপথ দিয়া কোথায় যায়, খেয়াল নাই। ছুটিতে ছুটিতে খানিকদূর গিয়া সামনে দেখে এক মন্দির। মন্দিরের দরজায় হাত দিতেই কপাট খুলিয়া গেল। কাজলরেখা তাড়াতাড়ি সেই भनिनcद्रब्र म८५ У - У a i