পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہمممممم مـ[5] কাজলঙ্কে থা তিন দিন তিন রাতের মধ্যে কাজলরেখার চোগের জল আয় থামে না । তিন দিন পরে চোখের জল হাতে মুছিয়া সে উঠিয়া বসিল। তারপর পালঙ্কের কাছে গিয়া কুমার দেখিতে লাগিল। কাজলরেখা কুমারের গায়ের দিকে চায় আর তাঙ্গার মনে হয়—কুমারের শিরায় শিরায় যেন তর তর করিয়া রক্তের স্রোত চলে ; কুমারের চোখের দিকে চায় আর তাহার মনে হয়-চোখের তারা যেন টলমল করে । কিন্তু কুমার তবু চোখ মেলিয়া চায়ুষ্ট না বা কেন, আর কপী কয়ই বা না কেন ? সেই মন্দিয়ের ভিতরেই আছে । মন্দিরের পিছনে প্রকাও এক ফল-মূলের বাগান, আর বাগানের মধ্যে ফটিক টলমল জলের এক সরোবর। কাজলরেখা সমস্ত দিন কুমারের কাছে বলিয়। থাকে ; সন্ধ্যার আগে সরোবরে নাইতে যায় ; नाश्ग्रा भूहब डाप्रभद्र बाशाप्नद्र कणभूण थाश्ग्रा কাটায় । এগার বছরে কুমারের গায়ের এক লাথ স্থচের প্রায় সবই তুলিয়া ফেলা হইয়াছে। কেবল চোখের পাতায় ফোড় দুষ্টটি হুচ তোলা বাকী। সেই দুই দেখিতে দেখিতে তাতার নজবে পড়িল - কুমারের টিতে চোখের পাতা বন্ধ থাকায় কুমারের চোখ মেলার গায়ে বিধানে এক লাথ স্বচ । কাজলরেখা একটা BB BBB BSBB BBB BBS gBBS DSBB BBB কমারেল গা দিয়। ঝির ঝির করিয়া রক্ত পাহিব হইল। পাজ লরেগা শুচ ফেলিয়া তাড়াতাড়ি আঙ্গুল দিয়া কমারের গা টিপিয়া ধপিল । কিন্তু তাজ শল্পীপেল রক্ত – আঙ্গলের চাপেই কি তাহ বন্ধ ছয় । আর কোনো উপায় না দেখিয়া শেষে কুমারের গারে মুখ দিয়া চুধিয়া চুধিয়া পত্ত বন্ধ ઋfતઠા । পরদিন কাজলপেথ। কুমারের গায়েল আর একটা স্থচ গলিয়া ফেলিল; আর একদিনও আগের মত তাছার গা দিয়া ঝির ঝির করিমু রক্ত বাহির হইল , কাজলরেখা কুমাপের গয়ে মৃগ দিম। চুযিয়া চমিয়া সে রক্ত বন্ধ কলিল । কাজলরেখা দেখে কুমারের গায়ের যেখান হঠতে শুচ খুলিয়া ফেলে, সেখানের রক্তমাংস যেন নড়িয়া উঠে । এই স্থচের ফোড়েই কুমারের তপে এই দশা--ইহা ভাবিয়া সে ঠিক করিল তাছার গায়ের সমস্ত স্থচ পুলিয়া ফেলিতে হুইবে । কিন্তু স্থচ খুলিলেই যে রক্ত পড়ে, তাই এক একদিন দুই একটার বেশী স্থচ খুলিতেও সাঙ্কস হয় না । কাজলরেখা প্রত্যহ দুই একটা স্বচ খোলে, মার কুমারের গায়ে মুখ দিয়া চুষিয়া চুৰিয়া রক্ত বন্ধ করে। তখন তাহার নাকের নিঃশ্বাস কুমারের গায়ে লাগে। এই ভাবে বার বছর প্রায় কাটিয়া গিয়াছে। এই বার বছরের এগার বছর কুমারকে লইয়া একলা সে --- x & Xs উপায়ু নাই। কিন্তু গায়ের সুচ না থাকায় শ্বাসপ্রশ্বাস পড়িতে আরম্ভ হইয়াছে। দেখিয়া কাজলরেখার মনে আনন্দ ধরে না-চোখের দুষ্টটি স্বচ খুলিলেই তো কুমার জীয়ন্ত হইয়া উঠিলে! আর এট কুমারই তো তাহলে স্বামী ...কিন্তু স্বামী চইলেও অার এক বছলের মধ্যে ঠাকাকে তো তাহার পরিচয় দেওয়া মানা— ছTাৎ করিয়৷ চন্দ্রধরের এই কথা কাজলরেখার মনে পড়িল । চোখের স্বচ খুলিলেই কুমার জাগিয়া উঠিয়া যদি তাহার পরিচয় চায় তবে সে কি বগিবে ? মুখে যাই) তাহার বলা মান, মনে মনে তাহণ সে বলিয়! রাখিল । চন্দ্রস্থলের আদেখা পনে চন্দ্র স্বর্যোর সাক্ষী মিলে ন। —কাজলরেখা পালঙ্কের কাছে হাটু গাড়িয়া বসিয়া মনে মনে বলিল – "চন্দ্রগুলোর অদেখা বনে সাক্ষী করে মানি । আমার স্বামী এই কুমার, জমিও বনের প্রাণী ॥ এই বলিয়া সে কুমারের হাতের হীরার অtংটটি খুলিয়া নিজের আঙ্গুলে পরিল, আর নিজের হাতের সোণার আংটটি কুমারের আঙ্গুলে পরাইয়া রাখিল। তারপর আমার আর দিনের মত এদিনও বাগানের মধ্যে ফটিক টলমল জলের সরোবরের নাইতে গেল । কাজলরেখা রোজই সেই সরোবরে নায়, কাক পক্ষীরও সাড়া পায় না। একদিন সরোবরের ঘাটে সে পা দিয়াছে, শোনে বাগানের বাইরে কে বলে— ‘দাগী চাই গো, দাসী চাই ?” বাগানের ৰাইরে কে ও দাসীর কথা বলে - কাজলরেখা তাড়াতাড়ি সরোবরের ঘাট হইতে উঠিয়া - - - -- - -