পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

---------- f_1ஆ.க fആ: ভী দেখিতে গেল। গিয়া দেখে—এক ডোম্নী বুড়ি একটি মেয়ের হাত ধরিয়া বাগানের পিছনে দাড়াইয়া আছে। جیجغیچہ ٹکیہ ডোম্নী বুড়ী একটি মেয়ে হাত পরিয়া বাগানের পিছনে দাড়াইয় আছে । ডোম্নী পুড় পাজলরেখাকে দেখিতে পাঠয়া বলিল-- মা, তোমার দাসী চাহ ? নাও না, আমার এই মেয়েটিকে কিনে । আমার দুঃখের কপাল, -মেয়েকে পেটেই ধরেছি, খেতে দেওয়ার উপায় নেই, তাই বেচ তে এসেছি । বনের মধ্যে কাজলরেখার সঙ্গীসাথী নাই। ডোম্নী বুড়ীর কথা শুনিয়া সে ভাৰিল-মেয়েটিকে কিনিতে পারিলে মন্দ কি !—এই বিজন বনে তবু একজন সঙ্গী হইবে । সে ডেম্‌নী বুড়ীকে জবাব দিল-- “মেয়েটিকে পেলে তো আমার ভাল হয় । কিন্তু ওকে কেনার পয়সা যে আমার নাই।’ ডোম্নী বুড়ী কাজলরেখার হাতের দিকে চাহিয়৷ বলিল—‘কেন. তোমার পয়সার দুঃখ কি মা ! তোমার হাতে দেখচি সোনার কঙ্কণ,--ত্র কঙ্কণই আমাকে দাও না, অামার মেয়েকে তোমায় দিয়ে যাচ্ছি ।


>२२ * - -- ডোম্নী বুড়ীর কথায় কাজলরেখা হাতের কঙ্কণ দিয়া ডোম্নী মেয়েকে কিলিয়। রাখিল । নিজে নাইয়া-ধুইয়া ফলমূল খাইয়া ফিরিতে দেরী হইবে, তাই সে ডোম্নী মেয়েকে মন্দির দেখাইয়। দিয়া বলিল “তুমি ঐ মন্দিরের মধ্যে গিয়া ৰস । ডোম্নী মেয়ে মন্দিরের মধ্যে গিয়া দেখে লোনার পালঙ্কের উপর শো ওয়া পরম মুন্দর এক কুমার । কুমারের শিয়রে ঘুতের প্রদীপ জ্বলে। সেই প্রদীপের অালো পড়িয়া তাহার মুখে চাদের লহর থেলে । দেখিয়া ডোম্নী মেয়ের চোখের পলক পড়ে না – একদুষ্টে সে কুমারের মুখের দিকে তাকাইয়া রহিল । দেখিতে দেখিতে তাহার নজরে পড়িল-কুমারের হাত নড়ে, পা নড়ে, বুকের নিশ্বাস পড়ে, কিন্তু চোখের পাতা কেন বন্ধ ? ডোম্নী মেয়ে ঠাওর করিয়া দেপে কুমারের চোখের পাতায় বিধানে। দুইটা স্তচ। সে গুচ দুইট। ধরিয়৷ টান দিতেই তাছা গলিয়। আসিল । সঙ্গে সঙ্গে কুমার ও ৮েtথ মেলিয়া উঠিয়া বসিল । বার বছরের ব্যাপার—রত্নেশ্বর কোথায় অাছে, কেন আছে, কিছু তাছার মনে নাই ; আর চন্দ্র স্বগোর অদেপা গভীর বনের কুমারচ যে রত্নেশ্বর তাছাছ বা তাছাকে বলিয়া দিবে কে জাগিয়। উঠিয়া রত্নেশ্বর ডোম্নী মেয়েকে সামনে দেখিয়া তাহার দিকে চাহিয়া ভাবিতে লাগিল -- কে এ ? রত্নেশ্বরের ভাল দেখিয়া ডোম্নী মেয়ের মনে কুবুদ্ধি হইল । সে রত্নেশ্বরকে বলিল—“আমাকে কি চিনতে পারছ না ? আমি যে তোমার চোখের স্বচ খুললাম, আর তাতেই যে তুমি জেগে উঠলে ? স্থচের কথা শুনিয়া রত্নেশ্বরের সন্ন্যাসীর কথা মনে পড়িল। তাহার দশ বৎসর বয়সের সময় এক সন্ন্যাসী তে বলিয়াছিলেন —আয়ু ফুরাইলে গায়ের স্বচ ফুটাইয়া চন্দ্রস্তুর্যোর অদেখা এক বনে তাহাকে রাখিয়া দিতে হুইবে । রত্নেশ্বর ভাবিতে লাগিল এই মেয়েটি তাহার গায়ের সেই স্থচ তুলিয়া ফেলিয়াছে, আর তাহাতেই হয়তো সে বঁাচিয়া উঠিয়াছে। যে এমন উপকার করিয়াছে তাহীকে কি দেওয়া যায় ? ভাবিতে ভাবিতে সে মনে ঠিক করিল এই মেয়েই তাহার স্ত্রী হওয়ার যোগ্য । রত্নেশ্বর ডোম্নী মেয়েকে বলিল আগে তোমাকে চিনতে পারিনি। এখন বুঝলাম, তুমি আমার প্রাণ বাচিয়েছ। যে প্রাণ তোমার জন্ত পেয়েছি তার" - اسم-هم- حمام