পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- রাজামশাইয়ের ক্ষমতার প্রশংসা করতো, তখন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারতে না যে, অন্ত সব অধীন দেশের লোকদের কি রকম দুর্দশার বিনিময়ে তাদের দেশ ঐ রকম স্বন্দর করে’ সাজানো হয়েছে। সেই রাজাও, তার প্রচুর অর্থ, সোণা, রূপা ও হীরে-মণি প্রভৃতি দেখে ভাবতেন,- ওঃ, আমার কি রকম পরাক্রম ! কিন্তু আমার আরও চাই, আমার ঐশ্বর্যা আরও বাড়াতে হবে ; পুথিবীর সকলের চেয়ে আমি ধনী হলো । এই ভেবে ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর সকল রাজাকে তিনি হারিয়ে দিলেন, আর তাদের সমস্ত ধনরত্ব নিজের রাজ্যে বয়ে আনালেন। অধীন দেশের রাজারা প্রতি বছরেই তার কাছে উপহার, খাজনা প্রভৃতি নিয়ে আসতেন । রাজামশাই সোণার উচু সিংহাসনে বসে থাকতেন,আর সেই সব পরাধীন রাজার হাটু গেড়ে তাকে অভিনন্দন করতেন। রাজামশাইয়ের একদিন খুব সখ হ’লে যে, দেশে দেশে, ঘরে ঘরে র্তার নিজের পাথরের মৃত্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি যেই হুকুম দিলেন আর অজস্র শিল্পী র্তার মূৰ্ত্তি গড়তে আরম্ভ করলে। এক মাসের মধ্যেই সাদা পাথরের হাজার হাজার মূৰ্ত্তি তৈরী হয়ে গেলে: রাস্তার ধারে বাগানের মধ্যে, ও সব বড় বড় প্রাসাদের মপো তার মূৰ্ত্তি বসান হ’তে লাগলে একদিন সেই রাজা তার কয়েকটি পাথরের মূৰ্ত্তি একটি বড় গাড়ীতে বোঝাই করে নিয়ে বেরুলেন। তার উদ্দেশু ছিলো যে, তিনি / l - च्द-खिम्टन्ङ्कन्कृत्व विफुछ...बञ्पा - পুরোহিতদের সেই উত্তর শুনে রাজামশাই বললেন --বেশ, আমি স্বর্গের দেবতাদেরও পরাস্ত করবো । দেবতাদের জয় করবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আপনারা বেশ ভাল কাজ করেছেন। স্বর্গের দেবতাদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্ত রাজামশাইয়ের নির্দেশ অনুসারে খুব তোড়জোড় আরম্ভ হলো। খুব অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্যের সঙ্গে রাজামশাই যুদ্ধের জন্তপ্রস্বত হ’তে লাগলেন। এরোপ্লেন তখনো আবিষ্কার হয়নি তাই তার হুকুমে বহু টাকা খরচ করে একটি প্রকাও জাহাজ তৈরী হলে । সেই জাহাজের উপর হাজার হাজার তীর-ধনুক, বর্শ প্রভৃতি অন্ত্র সাজানো হলে । আর ঠিক হলো, রাজামশাই তার সৈন্যদল নিয়ে সেই জাহাজের মধ্যে থাকবেন। তারপর প্রায় দশ হাজার ঈগল পাখী সেই জাহাজে যোতা হলো, কারণ জাহাজটার তো ওড়া চাই ! নির্দিষ্ট দিনে সৈন্তসামস্ত, অস্ত্ৰ-শস্ত্র প্রভৃতি নিয়ে, ঈগল পার্থীরা সেই জাহাজটিকে নিয়ে আকাশে উড়লো। জাহাজটা এrমশ: পৃথিবী থেকে দূরে যেতে লাগলো, এবং খানিক পরেই পৃথিবীর সব জিনিষ ঐ মূৰ্ত্তিগুলি দেশের সব দেবমন্দিরের মধ্যে বসাবেন। মন্দিরে গিয়ে রাজামশাই পুরোহিতদের বললেন, আমি চাই যে, সব মন্দিরেই আমার মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা হয়। আর আমি এও চাই যে, ঠাকুরের পুজার সঙ্গে সঙ্গে আমারও যেনো পুজা হয়। পুরোহিতেরা সকলে জোড়হাত করে বললেন,— মহারাজ ! আমরা স্বীকার করি যে,আপনার ক্ষমতা অসীম । কিন্তু আপনার চেয়ে স্বর্গের দেবতার। অনেক বেশী বলশালী। আমরা আপনার আজ্ঞা পালন করতে ভয় পাচ্ছি, কারণ, তাহলে স্বর্গের দেবতারা আমাদের শাস্তি দেবেন। _ _ e-o-o-o-o-o-o ছোট দেখাতে লাগলো। কিন্তু উড়তে:উড়তে সেই জাহাঙ্গটা এত উপয়ে উঠলে যে, লেখান থেকে পৃথিবীর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। জাহাজটা যখন নীল আকাশে অনেক উচুতে উঠলো, তখন সেই অহঙ্কারী রাজা চারিপাশে দেবদূতদের চলাফেরা করতে দেখলেন। তাদের দেখেই রাজামশাই হুকুম দিলেন তাঁর ছুড়তে। হাজার হাজার ধনুক থেকে অনর্গল রাশি রাশি তাঁর ছোড়া হতে লাগলো কিন্তু রাজা আশ্চর্যা হয়ে দেখলেন যে, একটিও দেবদূতদের গায়ে লাগছে না, বরঞ্চ সেই Ֆ ՑՏՊ