পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Iロ|*→一 মুছিতে সে রত্নেশ্বরকে বলিল—“আমার আবার পরিচয় কি ! যে দাসী হ’য়ে এ বাড়ীতে এসেছি, সেই দাসী হ’য়েই যেন এখানে জন্ম কাটাতে পারি।’ কাজলরেখার এই জবাব শুনিয়া রত্নেশ্বরের মন পলোধ মানে না। রোজই সে কাজলরেখাকে ধরিয়া পড়ে নিশ্চই তুমি দাসী নও, তোমার আসল পরিচয় কি, বলে । কাজলরেখা রোজই একটা না একটা কিছু জবাব দিয়া এড়াইয়া যায়। এই রকম করিয়া কিছুদিন গেল। কিন্তু বার বছর যেদিন শেষ হইল, সেদিন কাজলবেথা রত্যুেশ্বরের কাছে পরিচয় আর গোপন রাখিতে পারিল ন। এদিনও রত্নেশ্বর যখন তাহাকে জিজ্ঞাস। করিল "তোমার আসল পরিচয় কি, বলে। তখন সে রমেশ্বরের পায়ের গোড়ায় লুটাইয়া পড়িয়া বলিল "বার বছরের দু:থ আমার পেয়ে না চোথের জলে । বুকের মাঝে চিতার আগুন জলছে পলে পলে। ৮° গোর অদেখা বনে সাক্ষী কারে মানি । আমার স্বামীর সাম্নে আমি, জানে বনের প্রাণী ॥ ‘কি ? কি বলিলে, তুমি ? রত্নেশ্বরের বুকের মাঝে হাতুড়ির শব্দ হইতে লাগিল। এতদিনের স্বপ্ন গাজ সফল হইয়াছে রত্নেশ্বর দুইহাত বাড়াইয়া কাজলরেখাকে বুকে চাপিয়া ধরিল। কাজলরেখা বলিল 'এমন যে সীতা-সতী, তারও পরীক্ষা হয়েছিল। আমারও পরীক্ষণ হোকৃ। বার বছর য। মুখ বুঝে প’য়ে রয়েছি, আজ মুখের কথায়ই সে দাবী চলবে কেন ? এই বলিয়। সে নিজের হাত উচু করিয়া রত্নেশ্বরের চোখের সামনে ধরিল । রত্নেশ্বর চাহিয়া দেখে তাহার হাতের হীরার আংটা কাজলরেখার হাতে। সঙ্গে সঙ্গে নিজেব হাতের দিকে ও নজর করিয়া সে .দখে তাহার হাতে সোনার আংটী, আর তাহাতে লেখা কাজলরেখা । কাজলরেখা আবার বলিল "এ তো গেল এক পরীক্ষা । আর এক পরীক্ষা হোক আমার বাপমায়ের সামনে, তারা না এলে আমার আসল পরিচয় দিবেই বা কে, আর তা বিশ্বাস হবেই বা কেন।” -- > ՀՀ8 রত্নেশ্বর বলিল 'কাজল, আগেই তোমার তিন পরীক্ষা হইয়। গিয়াছে। আর পরীক্ষার দরকার নেই। তবে তোমার বাপ-মার কাছেও তোমার খবর দেওয়া উচিত। বলে, তোমার বীপের নাম কি, এখনই তার কাছে লোক পাঠাচ্ছি।” কাজলরেপ; রত্নেশ্বরকে চন্দ্রপরের নাম বলিল । রত্নেশ্বর তখনই চন্দ্রধরের কাছে লোক পাঠাইলেন । বার বছর পরে চন্দ্রধর মেয়ের খোজে চন্দ্রস্বর্যোর অদেখা বনে যাইবেন, ঘাটে সাত ডিঙ্গা সাজানো, এমটি সময় রত্নেশ্বরের লোক গিয়া উপস্থিত । চন্দ্রধর মেয়ের পবর পাহয় তখনি সকলকে লইয়া ডিঙ্গায় উঠিলেন । দেড়শো মাঝি দেড়শো দাড় বাহিয়া সাত ডিঙ্গা ঝড়ের মত চালাইয়া দিল । রত্নেশ্বর চন্দ্রধরের মুখে কাজলরেখা সমস্ত পরিচয় পাহল । আর সন্নাসীর কথায়ঠ তাহাপে যে চন্দ্রগুলোর অদেখা পনে রাখিয়া আসিতে ইহঁয়াছিল, કાકા 8 t|ના ૭ બાનિ | fক ডোমনী মেয়ের পরিচয় তখনও তাeার জান। হয় নাই । তাঙ্ক রত্নেশ্বর কাজলরেখাকে জিজ্ঞাসা করিণ---এতদিন যাকে নিয়ে ঘর করলাম, সে কে ? চন্দ্রস্থল্যের আদেথা পনে তোমর। দুজনেই তো একসঙ্গে চিলে, নিশ্চয় তুমি তার পরিচয় জান। বলে, কে সে ? কাজলরেখা ডোমনী মেয়ের পরিচয় দিল নিক্তের খাতের কঙ্কন দিয়; সে-ই তাeাকে কিনিয়াছিল । সমস্ত ধ্যাপী বুঝিতে পারিয়। রমেশ্বন্ধের মনের পাপা ঘুচিয়া গেল । ডোম্নী মেয়ে মাটির নীচে যে আধার-কুঠিতে ঠাই লষ্টয়াছিল সেখান হইতে তাহলে আর বাহির হইতে দেওণা হইল না। আপার-কুঠির দরজায় কুলুপ আ টিয়া জন্মের মত তাকে সেখানে বন্ধ করিয়া রাখা হইল । অার কাজলরেখা সন্ন্যাসীর কথামত ৰার বছর তাছাকে চন্দ্রস্থৰ্য্যের অ-দখা বলে স্বামীর সঙ্গে বিধবার মত কাটাইতে হইয়াছে। তাহার ফলে তাহার কপাল ফিরিল । স্বামীর ঘরে স্থান পঠিয়া সে জন্ম এয়োস্ত্রী হইয়। মনের সুখে ঘর সংসার করিতে লাগিল ।