পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! - এক দিন রাণী মৃগাবতীর এক অদ্ভুক্ত ইচ্ছা হইল । তিনি রাজার নিকট, মানুষের রক্তে স্নান করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। সমাট সহস্রাণীক মহিষীর ইচ্ছা পূর্ণ করিবার জন্য আলতা গুলিয়া একটি পুকুরের জল রক্তবর্ণ করিয়া দিলেন। রাণী ঐ পুকুরে স্নান করিতেছেন, এমন সময়ে মাংসপিণ্ড মনে করিয়া এক প্রকাও পক্ষী ছে। মারিয়া রাণীকে লইয়া আকাশে উড়িয়া গেল। সমাট এই সংবাদ পাইয়া মূচ্ছিত হইয়া পড়িলেন। মহিষীর শোকে লমাট হাহাকার করিতে লাগিলেন । এমন সময়ে ইন্দ্রের সারথি মাতলি আসিয়া বলিল,—মহারাজ ! আপনি স্বৰ্গ হইতে আলিবার সময় অপসরা তিলোত্তম। আপনার সহিত কথা বলিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন, কিন্তু আপনি তাহা ন! শুনায় তিনি আপনাকে এহ অভিশাপ দিয়াছিলেন—আপনার সহিত আপনার পত্নীর চৌদ্দ বৎসর কাল বিচ্ছেদ ঘটিৰে । সেই অভিশাপের জন্যই আপনাকে এই বেদন সহ করিতে হইল। মম্বিগণ সমাটকে অনেক বুঝাইলেন, কিন্তু রাজার মন কিছুতেই প্রবোধ মানিল না। রাজা ঐ শাপাবসানের চতুৰ্দ্দশ বা কাল প্রতীক্ষা করিয়া দু:থে কাশযাপন করিতে লাগিলেন । |이 এদিকে ঐ পক্ষী যখন বুঝিতে পারিল যে, সে ছে7 মারিয়া যাহা অানিয়াছে, তাহা মাংসপিণ্ড নয়--একটা জীবন্ত মানুষ, তখন সে আহাকে নামাইয়া দিলার ইচ্ছা করিল। সেই সময়ে ঐ পক্ষী উদয়াচলের নিম্নে রাখিয়া দিয়া উড়িয়া গেল । সেই জনশূন্ত স্থানে রাণী মুগাবতী ভয়ে ও শোকে আকুল কষ্টয়া কাদিতে eাগিলেন। রাণী সহসা দেখিলেন, এক অজগর সর্শ তথায় আসিয়া তাহাকে গ্ৰাস করিবার উপক্রম করিতেছে। ইহা দেখিয়া তিনি অতিশয় ভযু পাইয়া গেলেন। কিন্তু হঠাৎ তথায় এক স্ববেশ-স্বন্দর পুরুষ আসিয়া সেই অজগরকে বিনাশ করিয়া চলিয়া গেল । আবার পাছে কোন বিপদে পতিত হন এই আশঙ্কা করিয়া মহারাণী মৃগয়ালতী আত্মহত্যা করিবার ইচ্ছায় এক মত্ত হস্তীর নিকট উপস্থিত হইলেন। কিন্তু—ঐ হস্তীও তাহার কোন অপকারই করিল না—ধীরে ধীরে তথা হইতে চলিয়। গেল । জনশূন্ত বিজন প্রান্তর । রাণী কাদিয়া আকুল হইলেন। রাণীর ক্ৰন্দনে পৰ্ব্বত, =ত্ৰাসনৰলঙ্গতজ্ঞা ہممممم- - مام۔ دمةt)د --م۔ امام۔ متمتمام م۔م۔م۔ প্রাক্ষর, বনভূমি মুখরিত হইয়া উঠিল। এই সময়ে এক ঋষিকুমার ফুল তুলিবার জন্য সেই বনে আসিয়া ছিল । রাণীর ক্ৰন্দনের শব্দ শুনিয়া ঋষিকুমার তথায় উপস্থিত হইয়া বলিল, ম, কাদিবেন না, নিকটেই জমদগ্নি মুনির আশ্রম : আপনি আমার সঙ্গে আসুন। শোকাকুল। রাণী মুগালতী ঋষিকুমারের সঙ্গে জমদগ্নি মুনির আশ্রমে আসিলেন। রাণী ঋষিকে প্ৰণাম করিলেন। ত্রিকালজ্ঞ মুনি জমদগ্নি রাণীকে বলিলেন, Tv-–--- z \) --~ || o - - W W . In „^{ *x o \ へWて - - %ーミ & ...” পক্ষী রাণীকে উদয় চলে রাখিয়া উড়িয়া গেল মা ! তুমি আমার আশ্রমেই থাক-আমি যথাসাধা তোমার যম করিব। তোমার এক সুন্দর পুত্র জন্মিবে এবং এই আশ্রমেই স্বামীর সহিত তোমার মিলন হইবে। এ যে বিধাতার বিধান, মা ! কিছুদিন তোমাকে আশ্রমেই থাকিতে হইবে । স্বতরাং কাদিয়া ত কোন ফল হইবে না । আশায় বুক বাধিয়া রাণী মৃগাবতী জমদগ্নি মুনির আশ্রমে বাস করিতে লাগিলেন। যথাকালে তাছার স্বর্যোর মত তেজস্বী এক পুত্র সস্তান জন্মগ্রহণ করিল। সহসা দৈববাণী হইল, বৎসে । শোক করিয়ো না। তোমার এই পুত্রের নাম হইবে উদয়ন’ । তোমার