পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

------- +--- +--- সমাট উদয়ন সব কথা শুনিয়া অত্যন্ত তু:খিত হইলেন। মহারাণী বাসবদত্তা ও মঙ্গী যৌগন্ধরায়ণের জন্ত তাহার প্রাণ অস্থির হইয়া পড়িল । মঞ্জীর এই চতুরতা সকলেই জানিত । এমন কি, মহারাণী বাসবদত্ত ও ইহা জানিতেন । মঙ্গীর উপরোপে এবং রাজ্যের মঙ্গলের জন্ত তিনি এইরূপ কষ্ট স্বীকার করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। উজ্জয়িনীরাজকমার গোপালক ও মন্ত্রীর এই চতুরতা বুঝিতে পারিয়া কাতর হইয়া পড়েন নাই। মহারাণী বাসবদত্তার এইরূপ শোচনীয় মৃত্যুতে কেহই তেমন কাতর কহয় পড়েন নাই, বরং সকলেই গোপনে গোপনে কি এক মতলব করিতেছে মনে করিয়া মহারাজ উদয়ন যেন কেমন এক ধাধায়ু পড়িয়া গেলেন । এদিকে মন্ত্রী যোগন্ধরায়ণ মহারাণী বাসবদত্তাকে গঙ্গয়া মগধরাজ্যে উপস্থিত হইলেন । মোগন্ধরায়ণ মহারাণীকে ব্ৰাহ্মণীর বেশ পরাইয়। মগধরাজপুত্ৰী পদ্মাবতীর নিকট গিয়া বলিলেন, রাজকুমারী। আমি তীর্থ পৰ্য্যটক বাশাপ ; আর ইনি আমার ভগিনী অবস্তিক। "হার স্বামী ই হার কোন খোজ-খৰয় লন না। এজন্য ইহাকে আপনার নিকট রাখিয়। যাহতেছি । তীর্থ হইতে ফিরিয়া আসিয়। আমি বাসবদত্তা মগধরাজপুত্রীর নিকট রহিয়া গেলেন। এই সময়ে গুপ্তচর গিয়া মগধরাজ প্রস্তোতকে মহাপ্রাণী বাসবদত্তার এইরূপ শোচনীয় মৃত্যু-সংবাদ দিল । যৌগন্ধরায়ণ প্রেরিত দূতও এই সময় মগধরাজো গিয়া মহারাজ উদয়নের সহিত মগধ-রাজকুমারী পদ্মাবতীর বিবাহ প্রস্তাব উত্থাপন করিল। বাসবদত্তার মৃত্যু সংবাদ পাইয়া মহারাজ উদয়নকে কন্যাদানের পক্ষে মগধরাজের আর কোন বাধা রহিল না। মহারাজ প্রদ্যোত এ বিষয়ে সহৰ্মে অনুমতি দিলেন । এই প্রস্তাবের পর সপ্তমদিনে মহাসমারোহে রাজকুমারী পদ্মাবতীর সহিত মহারাজ উদয়নের বিবাহ হইয়া গেল। বিবাহের দিনে বাসবদত্ত। সেই অমান পুষ্পমালা ও পুষ্প-মুকুট নিষ্মাণ করিয়া রাজকুমারী পদ্মাবতীকে পরাইয়া দিয়াছিলেন । পদ্মাবতীর গলায় সেই অম্লান কুসুমের মালা ও মাথায় মুকুট দেখিয়া মহারাজ উদয়নের হৃদয়ে জাগিয়া উঠিয়াছিল, এই মালা ও মুকুট বাসৰদত্ত বাতীত আর ত কেহ তৈয়ারি করিতে জানে না। তবে কে এ মালা ও মুকুট প্রস্তুত করিল ! যথাসময়ে মহারাজ উদয়ন ও মগধরাজকুমারী পদ্মাবতী কৌশাম্বীতে আসিলেন। অবস্তিক নামে সখীও রাজকুমারী পদ্মাবতীর সহিত কৌশাম্বীতে আসিলেন। বাসবদত্তার চক্ষুর সম্মুখে তাহার স্বামীগৃহের সকলই জাগিয়া উঠিল । বাপৰদত্তা গোপনে মহারাণী পদ্মাবর্তীর সহিত মহারাজ উদয়নের মিলন-দৃপ্ত দেখিলেন। তাহার চোখের কোণে একবিন্দু অশ দেখা দিল । কে বলিতে পারে, এ অঞ তার মুখের, ন দুঃপের । কয়েক দিন পরে উজ্জয়িনী হুহতে ধাত্রী বস্কন্ধরা দুই খানি ছবি ও অনেক যৌতুক উপণর লক্ট্রয়। কৌশাম্বীতে উপস্থিত হইল। ধাত্রা ছবি ছহ থানি মহারাজ উদয়নকে দিয়া বলিল, রাজন ! মহারাণী অঙ্গ রবর্তী আপনাদের বিবাহ দেখিতে পান নাই, এজন্য তিনি আপনার ও রাজকুমারীর ছবি আঁ। কা হয় তাহাদের বিবাহ দিয়াষ্টিলেন । এই ছবি দুষ্ট খানি ও তৎসহ এই যৌতুক আপনি গ্ৰহণ ক1ন । রাজকুমারীর অদৃষ্ঠে গাছ ছিল, তাহা হইয়াছে , তার জন্ম তিনি বিশেধ দুঃখিত, তথাপি তিনি আপনাদের এই যৌতুক আমার হাত দিয়া পঠাইয়া দিয়াছেন । রাজা বিস্মিত হইয়া মহারাণী বাসবদত্তার ছবি দেখিতেছেন–চোখের কোণে অশ গড়াইয়ু পড়িতেছে একন সময়ে মগধ রাজকুমারী সেই ছবি দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন,এ ছবি যে আমার সর্থী অবস্তিকাল! রাজা উদয়ন এই কথা শুনিয়া বলিলেন, তোমার সখী কোণায়, মগধরাজপুত্ৰী ! পদ্মাবতী গৃহ স্তর BDJB BBB BBS B BBB BBSBB BBS gJJB আসিতে দেখিয়া ধাত্রা বলিয়া উঠিল, ইনি যে আমার বাসবদত্ত । রাজা ও বাসবদত্তাকে দেখিয়া আনন্দে বিভোর হইয়া পড়িলেন । এমনি আশ্চয্যভাবে উভয়ের মিলন হইল । এই সময়ে একজন প্রতিহারী আসিয়া বলিল, এক ব্রাহ্মণ মগধরাজপুত্রীর নিকট হইতে র্তাহার ভগিনীকে লহতে আসিয়াছেন। রাজা প্রতিহারীকে ললিলেন, ব্রাহ্মণকে সসন্মানে লইয়। আইল । প্রতিহারী ব্রাহ্মণবেশী যোগন্ধরায়ণকে লইয়া আসিল । যৌগন্ধরায়ণ আসিয়া পদ্মাবতীর নিকট বলিলেন, আমার ভগিনী অবস্তিকা কোথায় ? পদ্মাবতী হাসিয়া বাসবদত্তার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন। বাসবদত্তার সলজ্জ মুখখানির ঈষৎ হাসির মধ্য দিয়া এত বড় একটা সমস্তার সমাধান হইয়া গেল । - ՏdՀԵ * * * * * *