পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- --- ছৰি ৪ তাহার চোখ এড়ায় নাই। প্রথম হইতেই রুশোর বাণী তাহার চিন্তাধারাকে প্রভাবান্বিত করিয়াছিল— গুরু কাণ্টএর মত তিনিও রুশোর নীতিকেই আদশ বলিয়া মানিয়া লইয়াছিলেন। তারপর হইল নেপোলিয়ন বোনাপাট এর অভু্যদয়। অসামান্ত প্রতিভার বলে তিনি ফরাসীদেশের বিপ্লবচাঞ্চলা দমন করিয়া সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করিলেন এবং সমস্ত ফরাসীরাজ্য সানন্দে ও সগৌরবে তাহাকে অধিনায়ক পদে বরণ করিয়া লইল । কিন্তু তাহার অদম্য যশোলিপস। তাছাকে প্রণোদিত করিল আশেপাশের সব রাজা ফরাসীপতাকার অধীনে লইয়া শাসিতে এবং তিনি নজর দিলেন বহুধাবিভক্ত জাৰ্ম্মাণ দেশের দিকে -সংহত এক জাতীয় রাষ্ট্রশক্তি সেখানে না থাকায় ফরাসীবাহিনী সেখানে আসিয়া অনায়াসেক্ট রাজ্যের পর রাজা জয় করিয়া ফেলিল এবং তদ্বারা নিজেদের রাষ্ট্ৰশক্তির ক্ষমতা ও উৎকৰ্ষ প্রমাণিত করিল। এই সব দেখিয়া ফিকৃটের মতবাদের ধারা অনেকখানি বদলাইয়া গেল। তিনি দেখিলেন যে, জাম্মাণ পরাধীনতার প্রধান কারণই হই তাছাদের একতাবিহীনতা-সংহত এক জাতীয় রাষ্ট্রশক্তির অভাব। তাংরি মনে হইতে লাগি লcধ, মানুষের ব্যক্তি গত স্বাধীনতার চেয়েও বেশী কামা হইতেছে জাতীয় ংগঠন, রাষ্ট্রের ক্ষমতা। ধীরে ধীরে নূতন এক পণে তাহার চিন্তাধারা চলিতে লাগিল। তিনি বলিতে আরম্ভ করিলেন যে, হগঠিত রাষ্ট্ৰ ৰাতিরেকে মামুষের সৰ্ব্বাঙ্গীণ কল্যাণ কিছুতেই সাধিত হইতে পারেন এবং রাষ্ট্রকে স্বগঠিত ও সংহত করিবার জন্য পৃথক পৃথক ব্যক্তিকে যদি থানিকটা স্বাধীনতা ও বিসজ্জন দিতেছয়, তৰে তাছাতে তাংদের হত স্তন্তঃ করা উচিত নয় কারণ রাষ্ট্র হইতেছে সকলের সমষ্টি এবং সমষ্টির কল্যাণ শুধু একজনের কল্যাণ নহে, তাং সকলের কল্যাণ। ফিকূটের এই নূতন চিন্তাধারায় পুরাতন গ্ৰীক আদশৰাদীদের অনেকখানি প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । কিন্তু তিনি তাহার নীতি সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করিতে পারেন নাই। তাছার পরে বিখ।াভ জাৰ্ম্মাণ দাশনিক ছেগেল (Hegel) অতি বিশদভাবে রাষ্ট্রের মাহাত্মা এবং প্রাধান্ত বর্ণনা করিতে শুরু করিলেন। এ হইতেছে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের কথ। । হেগেল ছিলেন পুরারকমের আদশবাদী ও দার্শনিক। তাছার মতে পৃথিবীর চরম সত্য হইতেছে আধ্যাত্মিক একটা জিনিষ, যাঙ্কার নাম {त्तानि नेिङ्ग'ছিলেন “যুক্তিসঙ্গত একটা সঙ্কল্প”(a rational will) এই লঙ্কর পূর্ণরূপে বিকশিত হইয় ওঠে নানা বিরোধী ভাবের সামঞ্জস্তে। মানুষের মনে স্বাধীনতালিঙ্গা এবং অল্পবৰ্হিতা, স্থিরতা এবং চাঞ্চলা ইত্যাকার অনেক বিরোধী ভাবের সমাবেশ আছে-এই সমস্ত বিরোধীভাব যখন সুগমঞ্চস একটা সঙ্কল্পে পরিণতি লাভ করে, তখনই মানুষ পূর্ণতা পাইয়াছে, এমন কথা বলা যাইতে পারে। হেগেলের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, এই পরিণতি আপিতে পারে তখনই, যখন একটি রাষ্ট্রকে নিজেদের যুক্তিসঙ্গত সঙ্কল্পে অভিব্যক্তি বলিয়া মানিয়া লওয়া হয়। মানুষের ব্যক্তিগত বিবৰ্ত্তনের(evolution}শেষ গোপনি হইতেছে অসীম শক্তিশালী রাষ্ট্র। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও সকলের সঙ্ঘবদ্ধ ইচ্ছা উভয়েরই পরিণতি ও পরম বিকাশ হয় রাষ্ট্রশক্তির মধ্যে। রাষ্ট্রের বাহিরে মানুষের পৃথক কোন স্বাধীনতা নাই—রাষ্ট্রের মধা দিয়া সে আত্মপ্রকাশের যে স্থযোগ পায়, তাছাই তাহার পক্ষে আদশ স্বাধীনতা । o ফিঙ্কটে এবং হেগেলের চিন্তাধার। অচিরেই জাপাণি। হইতে বাহিরে ছড়াইয়া পড়িল এবং তাহার ধাক্কা ব্যক্তিত্ববাদী ইংলণ্ডের গায়েও আসিয়া লাগিল । তখন উনবিংশ শতাব্দীর শেষাদ্ধ চলিতেছে। এই শতাব্দীর প্রথম ভাগে পূণ স্বাধীনতার যে একটা নীতি ইংলণ্ডের সমস্ত শিল্প ও বাণিজ্যক্ষেত্র জুড়িয়া বসিয়া ছিল, তাহার একটা প্রতিক্রিয়া স্বরু ইয়া গিয়াছিল। লোকে দেখিতে পাইতে ছিল যে, রাষ্ট্র যদি নিশ্চেষ্ট্র গুইয়া বসিয়া থাকে তবে পৃথগাথা বাক্তিরা আপন ক্ষমতায় অনেক কিছুষ্ট করিতে পারে না, রাষ্ট্রকেই অগ্রসর হইয়া অনেক দায়িত্বের বোঝা ঘাড়ে লইতে হয়। রাষ্ট্রের এই পুনঃপ্রবেশকে উদ্বোধিত করলেন वौन् ও ৰোগাংকোয়েটু। গেগেলের নীতিবাদ অনুসরণ করিয়া গ্রীন বলিলেন যে রাষ্ট্র একটা জড় নিৰ্বাক বস্তু নহে, তাছার পিছনে আছে চিরন্তন একটা । চেতনা—যাছা প্রতোক মামুষের অস্তরে একটা সাড়া , দিতে সমর্থ এবং যাহাকে সম্পূর্ণভাবে জাগাইয়া তুলিতে হইলে প্রত্যেক মানুষের অম্লান বদনে রাষ্ট্রশক্তির । নির্দেশ পালন করা দরকার। রাষ্ট্র আছে বলিয়াই । মাম্বষ কতকগুলি মৌলিক অধিকারের দাবী কল্পিতে | পারে-রাষ্ট্র না থাকিলে তাঙ্গার সমস্ত দাবী শতধা ৷ জ্ব মভলাল-- -- ծՀ 8Հ,