পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه-ج۔ -ه--محه যে, আত্মরক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য অন্য কোন রাষ্ট্রের সহিত যুদ্ধ করারও যদি প্রয়োজন হয় তবে তাহাতে যোগ দেওয়া রাষ্ট্রের লোকদের প্রথম ও প্রধান কৰ্ত্তব্য । তাহার মতে যুদ্ধের মধ্য দিয়া এই কৰ্ত্তব্য সম্পাদনে মানুষের যুক্তিসঙ্গত সংকল্পের বিকাশ এবং পরিপোষণই হয়, তাহার সত্তার কোন ক্ষতি হয় না। জাৰ্ম্মাণ আদর্শবাদীদের এই উৎকট নীতি প্রচারই পরোক্ষভাবে গত মছাবুদ্ধের জন্য দায়ী। রাষ্ট্রসৰ্বস্ব মতবাদের মোট নীতিগুলি এখন সংক্ষেপে বলা যাক রাষ্ট্রই হইতেছে মানুষের আত্মার বিকাশের একমাত্র উপায় । রাষ্ট্র আছে বলিয়াই মানুষ তাছার আত্মার চরম স্বাধীনতা লাভ করিবার একটা সুযোগ পায় । রাষ্ট্রের একটা বিশিষ্ট চেতনা আছে এবং এই চেতনাকে অস্বীকার করিয়া কোন মানুষই কোন অধিকারের দাবী করিতে পারে না । রাষ্ট্র যাহা কিছু করে তাছার সবটার মধ্যেই থাকে সকলের সমষ্টিবদ্ধ একটা নৈতিকতা (a collective morality) azt až čafz* si মানুষের স্পষ্ট আর কোন অনুষঙ্গের মধ্যে থাকিতে পারে না। রাষ্ট্র হইতেছে পরম, সৰ্ব্বশক্তিমান এবং भशम् । এই মতবাদের যুক্তিগুলি বিশেষভাবে পর্যালোচনা করিলে দেখা যায় যে, ইহার আপাতঃ সভ্যতার পশ্চাতে অনেকখানি গলদ লুকানো আছে। মানুষের স্বভাবই রাষ্ট্রকে একটু সম্মান এবং শ্রদ্ধার চক্ষে দেখা, কিন্তু এই স্বাভাবিক দুৰ্ব্বলতার যে কতখানি স্ববিধ লওয়া যাইতে পারে, নীচুসে, ট্রাইটস্কে ও বাণছাড়ির উৎকট নীতিই তাছার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।. আদর্শবাদীদের নীতি যে, মানুষ এবং রাষ্ট্রের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকিতে পারে না এবং থাকা উচিত নয়, এটা মোটেই সত্য নহে। রাষ্ট্রের বিশিষ্ট এবং মংতী একটা চেগুন আছে, এই উক্তি অনেকখানি কল্পনা-প্রস্থত, কারণ রাষ্ট্র যদি কিছু চিন্তা করে তবে তাহার শাসকমণ্ডলী মামুষদের মস্তিষ্কের মধ্য দিয়াই চিন্তা করে, এবং এই মানুষদের মস্তিষ্ক নিভূল এমন হান্তকর দাবী কেহই হয় ত করিবে না। আসল [D] - রাষ্ট্রসশ্ৰজ্ব মতবাদ কথা হইতেছে এই যে, রাষ্ট্র একটা অনুষঙ্গ মাত্রঅন্যান্ত অনুষঙ্গের মত ইহার যেমন কতকগুলি অধিকার আছে তেমন কতকগুলি কৰ্ত্তব্যও আছে। द्राcड़ेब्र क€वा न→ानिङ रुघ्न थ८डाक भान्नरवद्र ব্যক্তিত্বকে স্বাধীনভাবে বিকশিত হইবার সুযোগ দানে, নিজের শ্রেষ্ঠতার দাবী তাহদের বুকে জগদল পাথরের মত না চাপাইয়া দেওয়ায় । পৃথগাত্ম। ব্যক্তিদিগকে উপেক্ষা করিয়া কাল্পনিক একটা রাষ্ট্রচেতনার দাবীকে বড় করিয়া তোলাট আড়ম্বরপূর্ণ অনাবশ্যক একটা বাহুল্য মাত্র ইহা ও মনে রাখা উচিত যে, রাষ্ট্র অনেক সময়েই ভুল করিয়া থাকে এবং এই ভুল করাটা কোন মারাত্মক অপরাধ নয়। কিন্তু এই ভুল করার সম্ভাবনাটুকু সৰ্ব্বদা মনে রাখা দরকার—তাহ। হুইলেই রাষ্ট্রের অনেক প্ৰগলভ দাবীর পথ রুদ্ধ হইয়া যাইতে পারে।...মানুষের স্বতন্ত্ৰ মনের মত চিত্তাশীল ও স্বচ্ছ চেতন। আর আছে কিনা সন্দেহ, তাই যখনই রাষ্ট্রের সহিত কোন দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ উপস্থিত হয়, তখন এই স্বতন্ত্ৰ মনের বাণী বেশী শোনা উচিত, রাষ্ট্রের একটা কাল্পনিক বাণীর চেয়ে। আসল কথা হইতেছে এই যে, মানুষের প্রয়োজন বিশাল, বিচিত্র এবং বহু ৷ একমাত্র রাষ্ট্রই তাহার সমস্ত ক্ষুধা, আশা, আকাঙ্ক্ষণ মিচাইতে পারে এমন দাবী করাটাই বাতুলত। মানুষ তার নিজেকে বিকাশ করে নানা অনুষঙ্গের মধ্য দিয়া, এবং রাষ্ট্র একটা অনুষঙ্গ মাএ । ইহার প্রয়োজনীয়তা আছে অনেকখানি এবং সময়fবশেষে ইছার দাবীর মূল্য কম নয়, কিন্তু তাই বলিয়া ইহাকে পরম বা সৰ্ব্বশক্তিমান বলা চলে না। ধৰ্ম্ম বn, অর্থনৈতিক প্রয়োজন বল, সমাজের দাবী বল, এ সমস্তই রাষ্ট্রের অপরোক্ষ ক্ষমতার বাহিরে, অথচ মামুষের বাক্তিগত এবং সমাজগত জীবনে এসবই ভয়ানকভাবে দরকার। --মামুযের জীবনে রাষ্ট, একটা সন্মানজনক আসন পাইবার দাবী অনায়াসেই করিতে পারে, সন্দেহ নাই, কিন্তু তাই বলিয়া ইহা সৰ্ব্বস্ব বা পরম এমন নীতি আজকাnকার যুগে কেহই মানিতে রাষ্ট্ৰী হইবে না। Տ Ջ8Q