বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=ि <se-च>tन्हृतप्ड>ी • সৰ্ত্তে এইরূপ লেখা হ’ল যে – আমি যে সকল দেশ আবিষ্কার করবে।— বা দ্বীপ মাধিস্কার করবো, সে সকলেও প্রতিনিধি শাসনকৰ্ত্ত হব আমি, যে সকল জিনিষপত্র, ধন-রত্ন পাওয়া যাবে তার দশ ভাগের এক ভাগ আমার হবে। ভবিঘাতের কোন ও অভিযানে যে বায়ু চলে, সে বায়ের এক-অষ্টমাংশ আমি বহন করবে। এলং লাভের হিসাবেও এক-অষ্টমাংশ पञ[*बांद्र 2it wiा *८५ ।। রাণী ইসাবেলা আমার এই অভিধান ব্যাপারে এতদুর উৎসাহ প্রকাশ করলেন যে, যদি ব্যয় সংকুলানেৰ জন্য অর্গের প্রয়োজন হয়, তা হ'লে তিনি নিজের গায়ের অলঙ্কাব বিক্রয় করে কিংবা বাধা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতেও কার্পণা করবেন না। ক্রমে ক্রমে আমাদের নৌ-বহুর তৈরী হয়ে গেল। আমার জাহাজখানিব নাম দেওয়া হ’ল “লাস্তা মেরিয়া” (Santa Maria)। ছোট জাহাজখানি কেবলমাত্র ১ • • টন মাল বহন করবার উপযোগী ছিল । পিণ্ট। (pinto) ao sa azt faal (Nina) 5fs- sa stot বহনোপযোগী ছিল। আমি কিছুতেই নিবাশ হলাম না ছ’ক না ছোট আমার এই নৌ-বহর, তবু কি ভয় ? আমার দলে মাত্র ৯৬ জন নাবিক ছিল। এর কেউই অজ্ঞাতের সন্ধানে এই যে যাত্রা, তাহ প্রীতিব চক্ষে দেখে নাই—দেখা সম্ভবপর ৪ নয়। আমার এই যাত্রা আনন্দের যাত্র হয়েছিল এমন কথা বলা চলে না। যে সকল নাবিক আমার সহযাত্রী চয়েছিল, তাদের অশ্রুধার সকলকে বিচলিত করেছিল । তারা ভেবেছিল, এই যাত্রা—অস্তিমের মাত্রা ; এই যাত্রার পরে আর কারে সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হবে না। ধীরে ধীরে বন্দর ত্যাগ কবে আমাদের জাহাজ সাগরের দিকে ভেসে চললো। মাটির চিহ্ন যখন চোখের আড়ালে পড়লো-তখন দেখা গেল যে, 'পিণ্টার’ একটি অংশ ভাঙ্গা। বোধ হয় কেহ ঐভাবে পালাতে চেষ্ট। অরেছিল তাই, পিন্টার এই অবস্থা। সে যাকু সপ্তাহ তিন পরে কেনাকী দ্বীপে গিয়ে আমি জাহাজের এই ভগ্নাংশ মেরামত করতে পেরেছিলাম। ৭ই সেপ্টেম্বর তারিখে আমরা কেনারাজ দ্বীপপুঞ্জ ত্যাগ করে পশ্চিমদিকে জাহাজ চালাতে স্বরু করলাম। টেনেরিফ পার হবার সঙ্গে সঙ্গে আবার এক বিপদে পড়লাম। এ সময়ে ওখানকার আগ্নেয় গিরির মুখ হতে ধোয়া আর গলিত ধাতুনিঃশ্রাব সৰ রাণী ইগারেলার উৎসাহ - - বেগে নির্গত হচ্ছিল। নাবিকেরা এরূপ অগ্ন্যুৎপাতকে কুলক্ষণ বলে মনে করে,—তারা বিদ্রোহী হয়ে উঠ লো—এ যাত্রায় আমাদের কখখনো স্বফল হবে না। একবার একট। হাওয়া খুব জোরে এসে আমাদের জাহাজগুলোকে দোলাতে সুব করলে,—জাহাজের নাবিকেরা সেই ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে ছেলেমামুষের মত কাদতে মুরু করে দিল । অনেকে ত আমার পায়ের কাছে লুটোপুটি খেয়ে বলতে লাগলো—আমদের পাড়ে পৌছিয়ে দিয়ে এস । এইরূপ নানা বাধা-ৰিপদ অতিক্রম করে চলতে স্বরু করলাম, এক নিমেঘেব জন্ত ও আমি কৰ্ত্তব্যভ্রষ্ট হুই নাই । আমি এই সমসে মামাদের যাত্রাব হিসাৰনিকাশের দু’টো থাত করেছিলাম,একটাতে মিথ্যাভাবে হিসাব লিখতাম আমার একটাতে সত্যিকার সব কথা লিখতাম । নাবিকদের সেই মিথ্যা খাতাখানা দেখাতাম । কিন্তু কিছুতেই এই দুৰ্দ্দাস্ত নাবিকদের মন পাওয়া যেত না, তারা সৰ্ব্বদাই মুখ ভাঁর করে থাকতো । এসময়ে কম্পাসটা আশ্চর্দাভাবে ঘুরতে স্বরু করে দিল। ধ্রুবতাবার দিকে পূব মুখোন নড়ে কেবলই পশ্চিমেব দিকে ঝুকে পড়তে লাগলে।। শেষবার আমরা সাবাগোনা(Saragona)সাগরে এসে পৌঁছলাম। এ সময়ে জাহাজের খাদ্যসম্ভার ফুরিয়ে এল, বাতাস ও বিরুদ্ধ হ’ল, নাবিকেরা আমির বিপক্ষে একটা ষড়যন্ত্র করতে আরম্ভ করলো, আমাকে মেরে ফেলাই হ’ল তাদের উদ্দেশু। আমি তাদের বেশ কান্ত-কৌতুকের ভিতর দিয়ে নানাভাবে উৎসাহিত করতে আরম্ভ করলাম। এ সময়ে ডাঙ্গার কাছাকাছি যে আমরা এসে পড়েছি তাব অনেক নিদর্শন পেলাম। পাঁচ সপ্তাহ কাল নানা অশাস্তিব ভিতর দিয়ে কেটে গিয়ে অবশেষে শান্তির নাগাল পেলাম। ১৭ই অক্টোবর তারিখে নাবিকে বা বিদ্রোহী হয়ে বল্লে—কোথায় মাটি ? আমবা সব ফিরে যাব-জাহাজ ফিরিয়ে নেব। অামি তাদের বুঝিয়ে বল্লুম, এতদূর এগিয়ে এসে এখন ফিরে যাওয়া কি ভাল ? ফিরে যেতে যেতে আমরা হয়ত পথেই মারা যাব, তাব চেয়ে এগিয়ে চলাই কি ভাল নয় ? অামার কথার উপর বিশ্বাস করে যে তারা চুপ করে থাকতো, তা নয় ; হঠাৎ এমন স্থযোগ এল, যে জন্য বিধাতার কাছে আমি মুক্তকণ্ঠে কোটি কোটিবার নমস্কার জানাচ্ছি। সাগরে জলে একটুকুর। কাঠ আর একটা গাছের ডাল দেখে সকলেরই নিশ্চিত বিশ্বাস হ’ল ছে, ডাঙ্গা কাছেই আছে। এইবার Տ8Հ