পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ਿ੧੪ਬੁਢੜੀ , তিনি মনে করিতেন। ইহাদের তিববতী অনুবাদ ও পাওয়া যায়। মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রা মহাশয় যে সকল গান বা দোঙ্গা পাইয়াছিলেন, তাহণ ১৩২৩ বঙ্গাব্দে বঙ্গায় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত কষ্টয়াছে। তাহার পর নেপালে আরও কয়েকটি প্রাচীন গানের সন্ধান মিলিয়াছে। সুতরাং আমবা অনুমান করিতে পারি, দেশের অন্যত্র এরূপ গান আরও ছড়াষ্টয়া আছে ; সময়ে তাঙ্গাদের সন্ধান মিলিতে পারে। নীচে অনুবাদ সহ দুইটি গান উদ্ধত করা হইল। চুলি দুহি পিট ধবণ ন জাই রুপেব তেগুলি কুম্ভবে পাঅ। আঙ্গন ঘরপণ স্থন ভে বিআতী। কানেট চোবি নিল অপবাতী । স্বস্ব। নিদ গেল বলুউ জাগঅ। কানেট চাবে নিল কা গই মাগঅ। দিবসহ বহুড়ী কাড়ই ড:র বা আ রীতি ভইলে কামরু জাঅ । অইসন চয্য কুকুরীপএ গাইড। কোড়ি মঝে একুহিঅহি সমাইড়। কচ্ছপ দেহন করিয়া তাহা আর ভীড়ে ধরে না ; বৃক্ষের তেঁতুল কুম্ভীরে খাইয়া যায়। ঘরের দিকে আঙ্গিনা, হে বিভূষি, অৰ্দ্ধবাত্রে চোর আসিয়া কানের ভুল চুরি করিল। শ্বশুর ঘুমাইয়াছিল, বধূ ছিল জাগিয়া ; ছল চুরি করিয়া লইয়া গেল, কোথায় গিয়া খুজিব । দিন দুপুরে বধ ভয়ে চীৎকার করিতেছে, রাত্রি হইলে সে কামরূপে যায়, কুকুরীপাদ ( কবির উপাধি ) এইরূপ চৰ্য্যা গাহিলেন ; কোটীর মধ্যে এর জনের হৃদয়ে তাহা প্রবেশ করিল। বাস্তবিকই চর্য্যার ভাষা এমনি জটিল, সোজা কথায়, এমন সব ভাব লুকাইয়া আছে যে, কোটতে গোটি বা একজন ইহার তৎপর্যা বুলিতে পারিত। এখন অবশ্য > X > টীকা বা অর্থ ছাপান হইয়াছে, সুতরাং বুলিবাৰ কষ্ট দূর হইয়াছে। আর একটি চর্য্যাপদ নীচে দিলাম। ইহার ভাযায় হেঁয়ালীব ভাব অনেকটা কম। জো মণ গে অব আল জাল আগাম পোপ ইষ্টামল । ভণ কই সে সহ স্ন বোল বা জাঅ। কায়বাক্চিশ জাস্থ ৭ সমাঅ। আলে গুক উত্পই সীস পাকুপথ। তাত কাতিব কীস। জে ঠে ই বোলী তে তালাটাল গুর্ক বোৰসে সীসা কাল ৷ ভণই কাহ্ন জিম লক্ষণ বি কষ্টস। কালে লোল সংবোহিঅ জইস ॥ তাঙ্গ গোলমেলে, তাহাই— যাহা শাস্ত্রগ্রন্থ অর্থাৎ মনের এবং গোলমেলে। গোচল, জপের মালা ও সহজকে কি করিয়া প্রকাশ করি বল, যাঙ্গতে কায়বীকৃচিত্ত প্রবেশ করে না ? গুরু শিষ্যকে বৃথাই উপদেশ দিতেছেন, যাহা বাকৃপথের অতীত, তাহা কি করিয়া বলা যায় ? সুতরাং যে বলে সে নষ্ট কলে, গুরু বোবা, শিষ্য কালা । কাণু বলেন, জিন রত্ন কেমন ? না, কালাকে বোবা বোঝাইলে যেমন হয়। দুরূহ অর্থ হইলেও এই পদটির ভাব বুঝিতে পাবা তেমন কঠিন নহে। ‘আলী জাল' কথাটি পূর্ববঙ্গের চলিত ভাষার 'আলা নালা’ হইয়া পড়িয়াছে। এই দুইটি পদ হইতে বৌদ্ধ দোহা— প্রাচীন বাঙ্গলার প্রথম যুগের গান যে কিরূপ ছিল, তাহার সম্বন্ধে একটা ধারণা জন্মিবে। তত্ত্বকগণ লইয়াই তখন লোকে সাহিত্য রচনা করিত, এবং তখনকার ছন্দোবদ্ধ, ভাষার কাঠামো—সকলই ছিল সরল, অথচ গভীর অর্থ তাহার মধ্যে থাকিত। প্রথম যুগের এই কয়টি দোহা আমাদের ভাষার, সাহিতোর এবং জাতির পরম সম্পদ।