পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

弓頭tてョ考1 হঠাৎ তিনি যেন দৈববাণী শুনিতে পাইলেন, “রাবেয়া, ছঃখ করিও না, তোমার সন্মুখে উজ্জল মহৎ ভবিষ্যৎ ।” রাবেয়া ভাঙ্গা হাত লইয়া প্রভুর গৃহে ফিরিয়া আসিলেন। তিনি সমস্ত কাজ শেষ কবিয়া যখনই একটুকু অবসব পাইতেন, আমনই ঈশ্বরের উপাসনা কবিতে বসিতেন। উপাসনার মধ্য দিয়া ভগপানের ণে স্পর্শটুকু পাততেন, তাহাতেহ তিনি পুথিবীর সকল দুঃখ ভুলিয়া যাহতেন । একদিন গতাব রাত্রে রাবেয়াল প্রভু হঠাৎ ধুম হস্ততে জাগিয়া শুনিতে পাইলেন, কোথা হইতে BBBBB BBBB BBB BB SBBS BBBBCC S তিনি কৌতূহলী হইয়ু শব্দ অনুসরণ করিয়। দেখেন, ঠাইপ কৗতদাসী অনন্তমণে ভগবানের উপাসনায় নিরত, ঠাহাব সঞ্চাঙ্গ ঘিৱিয় এক অপুর জ্যোতি: | বুঝিতে পরিলেন, র্যাঙ্গকে তিনি ক্রীতদাসী মনে gBBS BBSBBS B BBBB BBBB BSBDDBBS তিনি মহিল নন, তিনি দেবী। পবদিন সকালবেল তিনি পাবেপার নিকটে ক্ষম। চাহিদা বলিলেন, “তুমি কি চ ও পল । আমি আঞ্জ ইহঁতে তাহাঙ্ক কবিব ।” রাবেনার কোনও বস্তুব উপরেই কোন ও আকর্ষণ নাই। তিনি চাছিলেন শুধু মুক্তি ভগবানকে আরাধনা করিবাব ও তাহারই মধ্যে জীবন সার্থকভাবে ফুটাইর। তুলিবার জন্ত স্বাধীনত। প্ৰভু তাছাই করিলেন । মুক্তি পাইয: পাবেয়া একটি আশ্রমে যাইয়া সাধন ভজন আরম্ভ কপিলেন । বাবেয়ার স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম প্রাণত৷ দেখিতে দেখিতে "ত্ত্বি পাইতে লাগিল। অল্পকালের মধ্যে সমস্ত মুসলমান নরনারী বুঝিতে পারিলেন, ইছার মত মহাপ্রাণী নারী মুসলমান সমাজে কমই জন্মিঘছেন। দলে দলে পুরুষ ও নারী রাধেয়ার কাছে ধন্মের উপদেশ লইবার জন্ত আলিয়। উপস্থিত হইল। রাবেয়ার বয়স তখনও খুবই অল্প। অনেক বিখ্যাত ও সন্ত্রান্ত যুবক, এমন কি বসেরার শাসনকৰ্ত্তা পর্য্যস্ত তাহাকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিলেন। কিন্তু তিনি সকলকেই প্রত্যাখ্যান করিলেন। তিনি সঙ্কল্প করিলেন, চিরকাল কুমাকী থাকিয়া ব্রহ্মচৰ্য্যকেই জীবনের ব্ৰত করিয়া লইবেন, কারণ শুধু ব্ৰহ্মচর্য্যেব পথেই তিনি তাহাব ঈশ্বরেব দেখা পাইতে পারেন। শোনা যায়, তখনকার দিনের সব্বশ্রেষ্ঠ সাধুপুরুষ হেলেন বসোরী ও র্তাহার কাছে বিবাহের প্রস্তাব →-*-**→-**ー*一*-*ー* b^22 লইয়া মালিয়াছিলেন। অক্ষান্ত সাধুগণও হোসেনকে বিবাহ করিবার জন্ত তাহাকে অনুরোধ করিলেন। কিন্তু রাবেয়া বলিলেন, “ভাই সব, একলা থাকার আনন্দই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ । কারণ আমার যিনি প্রিয়তম, তিনি সৰ্ব্বদাই আমার কাছে। তাহার প্রেমের মত এমন প্রেম আমি আর কোথাও খুজিয়া পাইব না এবং তাছার পেমের মাপকাটিতেই আমি সমস্ত মানুষকে বিচার করি।” হাজার হাজার ভক্তশিস্য রাবেয়াকে দিনরাতঘিরিয়া থাকিতেন। কাছারও কোনও সমস্ত মনে আসিলেই তাছার মীমাংসা করিতে হইত রাবেয়াকে । একদিন এক ব্যক্তি তাছাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি ভগদকে তো ভালবাসেন ?" রাবেয়া পলিলেন, “বাসি” । "আপনি শয়তানকে শত্ৰ মনে করেন " রাবেয়া উত্তর করিলেন, “না।” আশ্চম্য হইল। প্রশ্নকারী বলিলেন, “সে কেমন ? বাবেয়া উত্তর দিলেন, “ভগবানকে আমি এত ভ{ল বাপ যে, শয়তানেল প্রতিও ঘৃণা করিবার স্থান আমার মনে আর নাই ।” রাপেপ্পা পুথিবীতে থাকিধ ও পুথিবী হইতে দূরে ছিলেন। তাই1র দেহ ও মনের সম্পর্ক সম্বন্ধে তিনি বড় সুন্দর করিয়া বলিয়াছেন "আমার কাছে থাকিতে যাহারা ভালবাসে, তাহাদিগকে মুখী করিবার জন্য আমার দেহকে রাখিয়াছি। অামার হৃদয়গানি শুধু তোমাপই জন্য প্রভু ! আমার দেহ আছে দর্শকের সাথীরূপে, কিন্তু আমার হৃদয়ের সার্থী একমাএ আমার প্রিধতম তুমি । রাবেয়ার জীবনের শেষ দিনগুলির কথা সব ভাল করিয়া জানা যায় না। শুধু জানিতে পারি, শেষদিন পর্য্যন্ত ঠাহীর মহিম ক্রমেই বাড়িয়া চলিয়াছিল । ধৰ্ম্মপ্রাণ মুসলমান নর-নারীগণ রাবেয়াকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষদের সমান আসনে বসাইয়। পূজা নিবেদন করিয়াছিলেন। তারপর যেদিন ৭৫২ খৃষ্টাব্দে রাবেয়া দেহত্যাগ করিয়া ভগবানের কোলে বিলীন হুইয়া গেলেন, সেদিন ভক্তগণ র্কাদিয়া অভ্যাকুল হইলেন । তাহার পুণ্যময় দেহখানি জেরুজালেম নগরের পূৰ্ব্বগ্রাস্তে টরপৰ্ব্বতের চুড়ায় সমাধিস্থ করিয়া রাখা হইল । এখনও পর্য্যন্ত তাহা অগণ্য মুসলমান নরনারীর নিকটে তীর্থক্ষেত্র হুইয়। রছিয়াছে।