পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°िश्वs-चaiन्छाप्छौ কপিলন্তবস্তুও বলা হইত। সপ্তপ্রাচীর দ্বারা এই নগর পরিবেষ্টিত ছিল। কপিলবস্তু এবং প্রাচীন লুম্বিনী বাগান অভিন্ন। কাহারও কাছারও মতে শাক্য রাজধানী কপিলবস্তু এবং বস্তি জেলার উত্তর দিকে অবস্থিত পিপ রাবা অভিন্ন। সুপ্রসিদ্ধ চৈনিক পবিত্ৰাজক ফা-হিয়ান কপিলবস্তু পরিদশন করিয়াছিলেন । তিনি বলেন, এই নগরে বহু লোকের বাল ছিল না । তিনি এই নগরের বিভিন্ন স্থানে কতকগুলি স্তস্ত দেখিয়াছিলেন। যথা—যেখানে যুবরাজ সিদ্ধার্থ নগর তাগ করিষ্ঠ চলিয়া যান, যেখান হইতে র্তাহার রথ প্রাসাদে ফিরাইয়া লইয়া যাওয়া হয়, যেখানে মিলিত ঋষি কোটি লিখিয়াছিলেন, ইত্যাদি। আর একজন চৈনিক পরিত্রাজক ইউয়ান্‌ চুয়াং বলেন যে, শাকাদিগের দেশ কপিল বস্ব প্রায় চার হাজার যোজন বিস্তৃত ছিল । খুব অল্পসংখ্যক গ্রাম ছিল এবং বিহারের ভগ্নাবশেষ তিনি দেখিয়াছিলেন। দুইটি দেবমন্দির ছিল এবং কতকগুলি বিহার ছিল। এই নগবেব জলবায়ু স্বাস্থ্যক প ছিল এবং এখানে প্রচুর ফসল হইত। এই নগরে ধনুৰ্ব্বিস্থা শিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালম ছিল । শাক্যগণ কপিলবস্তুর সংস্থাগারে (Mou LIull) রাজনীতি শাস্ত্র আলোচনা কল্পিত । কপিলৰস্তুর শাক্যগণের মধ্যে এই প্রথা ছিল যে, পুত্র জন্মাইলে তাহাকে ঈশ্বর দেবের মন্দিরে লইয়া গিয়া ভগবানের নিকট দান করা হইত। শাকা নারীগণ মহাপ্রজাপতি গৌতমীর সহিত বুদ্ধদেবের নিকট গমন করিয়া প্রার্থনা করেন যে, স্ত্রীলোকগণকে ভিক্ষুণী চইতে আদেশ দেওয়া হউক । ৰুদ্ধদেব ইহাতে সন্মতি প্রদান করেন। কপিলবস্তুর শাক্যগণের জাতি-মর্যাদা-জান খুব বেশী ছিল। কোশলরাজ প্রসেনজিৎ যখন একটি শাক্য বালিকার পাণিগ্রহণ করিতে ইচ্ছা করেন, শাকাশণ শাক্যকঙ্কার পরিবর্তে বাসবক্ষত্রিয়া নামে একটি দাসীকঙ্কাকে প্রদান করেন। এই দালীকন্যার গভে বিড় ঢ়ভের জন্ম হয়। যখন ৰিড় ঢ়ভ জানিতে >br&8 পারিলেন, শাক্যগণ :র্তাহার পিতাকে এইভাৰে প্রতারণা করিয়াছে, তিশি তৎক্ষণাৎ শাক্যদেশ আক্রমণ করেন এবং বহু শাক্যের প্রাণনাশ করেন । কুশীনগর ও পাৰ৷ মল্লনামে পুৰ্ব্ব-ভারতে একটি বলশালী জাতি ছিল । মল্লরা দুইভাগে বিভক্ত ছিল। একদলের বাজধানী ছিল "কুশীনারা’ এবং অন্তদলের রাজধানী ছিল ‘পাবা’ । জৈন এবং বৌদ্ধ ইতিহাসে ইহাদের প্রাধান্ত পরিলক্ষিত হয় । মহাভারতের সভা পর্বে দেখিতে পাওয়া যায় যে, দ্বিতীয় পাওব ভীমসেন পূৰ্ব্ব-ভাবত জয়কালে মল্পদিগের নেতাকে পরাস্ত করেন । গোরখপুর জেলার পূৰ্ব্বদিকে কাশিয়া গ্রাম কুশীনারা নামে পরিচিত। কিন্তু কেহ কেহ বলেন, কুশীনারা নেপালে অবস্থিত ছিল। পাব। এবং পাৰাপুরী অভিন্ন । বুদ্ধদেব কুশীনারায় মই পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করেন। কুশীনারার মল্লর চৈত্য উপাসক ছিলেন। জৈনগুক মহাবীরের মৃত্যুর পর পাবা নগরে তাহার শিষ্যগণ দুইদলে বিভক্ত হইয়াছিল। বুদ্ধদেব চুন্দেল গুহে নিমন্ত্রণ খাইয়া আমাশয় বোগে আক্রান্ত হন। তাছার অন্তিমকাল নিকটবৰ্ত্তী জানিযা তাহার প্রধান শিষ্য আনন্দের নিকট লোক পাঠান। কুশীনারার সমস্ত মল্ল—আবলবুদ্ধবনিত সকলেই বুদ্ধদেবের পদধূলি গ্রহণ করেন । তাছার পর তিনি তাহার শেষ ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিয়া নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন। বুদ্ধদেবের দেহাবশেষের অংশের জন্ত পাবার মল্লর দাবী করে। তাছার বলে, “আমরাও ক্ষত্রিয়, বুদ্ধদেবও ক্ষত্ৰিয় । অতএব তাহার দেহাবশেষের অংশ পাইবার আমাদের অধিকার অাছে।” কুশীনারা ও পাবার মল্লরা কিছু দিন পরে বুদ্ধদেবের দেহাবশেষেব উপর এক মুদ্রগু স্তপ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। --