পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী সম্মুখে আবিসিনিয়া দেশকে আক্রমণ করিয়া পরাজিত করিলেন এবং অন্যান্ত দেশের প্রতিবাদ বা পরামর্শে ভ্ৰক্ষেপও করিলেন না। সঙ্ঘ আবিসিনিয়াকে বিশেষ কোন সাহায্য জাৰ্ম্মেণীর নেতা হের হিট্‌লার কfরল না। অবশেষে সঙ্ঘের দুৰ্ব্বলতার সুযোগ পাইয়া জাৰ্ম্মেণীর নেতা হিটলার সমস্ত সন্ধি ও চুক্তি উপেক্ষা করিয়া রাই ন ল্যাণ্ডে জাৰ্ম্মাণ বাহিনী প্রেরণ করিলেন। কিন্তু তবু সঙ্ঘ বিশেষ কোন প্রতিবাদ করিল না। আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের অন্তনিহিত সমস্ত শক্তি যে প্রায় নিঃশেষিত হইয়া আসিতেছে জাপান, ইটালী ও জাৰ্ম্মেণীর মত তিনটি প্রতাপশালী দেশের অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যই তাহার প্রমাণ । কিন্তু তাই বলিয়া আন্তর্জাতিকতার আদর্শ আসার বা অলীক নহে । আদর্শ হিসাবে এই দুৰ্ব্বল আন্তর্জাতিক সঙ্ঘও সভ্যতা ও শক্তির একমাত্র আলোক। বর্তমান সঙ্ঘ যথোপযুক্ত শক্তিসম্পন্ন হইতে না পারে কিন্তু তাহার অর্থ এই নয় যে, পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক একটা সঙ্ঘের কোনই প্রয়োজনীয়তা নাই। যুদ্ধের মত নৃশংস ও বৰ্ব্বরোচিত পন্থাকে যাহারা কলহ মীমাংসার উপায় মনে করে, তাহাদের হাতে দেশ-শাসনের ভার ছাড়িয়া দিলে বৰ্ত্তমান সভ্যতা অতি অল্প সময়ে বিধ্বস্ত হইয়া যাইবে । এই পরিণাম হইতে মানুষকে ও পৃথিবীকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় এমন একটা শক্তিসম্পন্ন আন্তর্জাতিক সংসদ স্থাপন করা, যেখানে পৃথিবীর সমস্ত রাজ্য সভ্য হইতে পারিবে এবং যাহার আশ্রয়ে দেশ-বিদেশের পরস্পরের কলহ শাস্তিতে মীমাংসা হইয়া যাইবে । যতদিন এই প্রকার সম্পূর্ণ ও শুষ্ঠ, একটা সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হয়, ততদিন আন্তর্জাতিকতা প্রত্যেক দেশের শান্তিকামী লোকদের আদর্শ ও লক্ষ্য হইয়। থাকিবে । ” ماہ Sچ