পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী -- ধীবর তাহার এই শপথে বিশ্বাস করিয়া দৈত্যকে আবার মুক্ত করিয়া দিল ! এইবার দৈত্য ধীলবকে সঙ্গে করিয়া লইয়া চলিল। তাহারা দুইজনে এক কৃষ্ণবর্ণ পৰ্ব্বতশ্রেণীর পশ্চাতে এক হ্রদের নিকটে আসিল । হ্রদের জল স্ফটিকের মত স্বচ্ছ। জলের ভিতরে নানা রঙ-বেবঙেব মাছেবা পেলিয়া বেড়াইতেছিল। দৈত্য কছিল—তুমি প্রত্যহ হ্রদের জলে একবার জাল ফেলিবে। জালে প্রত্যহ চারিটি করিয়া মাছ ধবিতে পাবিবে। এই মাছ চারিটি মুলতানের নিকট বিক্ৰয করিলে তোমার আর অর্থের কোনও অভাব থাকিবে না। কিন্তু সাবধাণ ! কথনও লোভে পড়িয়া যেন একবারের বেশি জাল ফেলিও না। তাছা হইলে কিন্তু তোমার ভয়ানক অনিষ্ট হইবে। ধীবর তাঁহাই কবিল এবং প্রথম দিনই চারিটি কবিয়া বিভিন্ন বর্ণের মৎস্ত পাইল। সেই চারিটি মৎস্ত স্বলতানের নিবট বিক্রয় করিয়া সে প্রচুব অর্থ লাভ করিল। সেদিন হইতেই তাহাব অর্থেব অভাব ঘুচিতে আরম্ভ করিল। সুলতান কৌতুহলী হইয়া সেই কৃষ্ণবর্ণ পৰ্ব্বত-বেষ্টিত হ্রদের নিকট যাইযা চারিদিক পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া অনেক আশ্চৰ্য্য আশ্চৰ্য্য ব্যাপার লক্ষ্য করিলেন। এই হ্রদ যেখানে, সেখানে ছিল এক সময়ে এক জনবহুল প্রসিদ্ধ নগরী। অতি প্রাচীন কালে যাদুবিদ্যার প্রভাবে এই সহর ও এই সছরের লোকজনেরা প্রাণ হারাইয়াছিল। মুলতানের আশ্চৰ্য্য আবিষ্কারের প্রভাবে ক্রমে আবার সেই সহরের উদ্ধার হইল এবং নগরবাসীরাও তাছাদের প্রাণ ফিরিয়া পাইয়াছিল। ধীবরের জন্তই এইরূপ একটা মহৎ কার্য্য সুসম্পন্ন হইল বলিয়া সুলতান তাহাকে অনেক ধন-রত্ন দান করিলেন। ধীবর অতুল ধন-রত্বের অধিকারী হইয়া বাকী জীবন স্ত্রী-পুল লইয়া পরম মুখে বাস করিতে লাগিল । দৈত্যকে দেপিয়া ধীবর পিছাইয়া গেল

  • X8b"