পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**.*.*. X. } শিশু-ভারতী করিতে করিতে অবশেষে আরবের অন্তর্গত আরাফ (Arafa) নামক স্থানে আসিয়া উপস্থিত হন। আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিকগণের মতে যবদ্বীপই আদি মানবের উৎপত্তিস্থান। সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, কো-আনের টীকাকারগণের উক্তিতে ও আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিকগণের মতে বিশেষ পার্থক্য নাই। সিংহলে বা য বদ্বীপে, যেখানেই হউক ভারত মহাসাগরীয় একদ্বীপে যে আদি মানবের উদ্ভব হইয়াছিল সে সম্বন্ধে এই উভয় મષ્ઠરે હાર যাহা হউক এই আদি মানবের প্রথম উৎপত্তি স্থান লইয়া বিভিন্ন মত রহিয়াছে। কেহ বলেন, ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপে, কেহ বলেন চীনে, আবার কেহ বলেন ভারতে, কেহ বলেন ইউরোপে প্রথম র্তাহার আবির্ভাব হয়। তঁহার এই প্রথম উৎপত্তিস্থান সম্বন্ধে পণ্ডিতগণ একমত হইতে পারিলেন কি মাতাeা ভাবিবার বিলয়। এখন উছার উৎপত্তির কালই আমাদের বিচাৰ্য্য। প্রাণিবিজ্ঞান অচুযায়ী পণ্ড হইতে মানবের উৎপত্তি হইয়াছে। কিন্তু যে স্থান হইতে পশুজীবন শেষ হইয়া মানব জীবনের আরম্ভ হইয়াছে সেই ভেদরেখার পরিকল্পনা যদিও জ্যামিতি শাস্থের রেখার স্তায় অবস্তিবের কুহেলিকায় আচ্ছন্ন, তথাপি অঙ্কশাস্থের স্বগ্ন অঙ্কুশ ঘাতে উছার একটা বাস্তব অস্তিত্ব স্বীকার করিতে হয়। তথাপি এই ভেদরেখার অব্যবহিত পরবত্তী জীবকে মানব নামে আখ্যাত করা হুইবে কি না তাহা জোর করিয়া বলা কঠিন। এই ভেদরেখার পরমুহূৰ্ত্ত হইতেই যে জীবের কল্পনা করা হয় কোরআন তাহাকে মানব নামে আখ্যাত করে নাই। কারণ তখনও পশুত্বই এই শ্রেণীর জীবের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান ছিল। কালক্রমে বহুযুগের পর ক্রমবিবৰ্ত্তনের ফলে, এই শ্রেণীর জীবের মধ্যে যখন বিবেক বুদ্ধির সঞ্চার হইল, ভাষার উৎপত্তি ছইল, অঙ্গাবরণের আপশুকতা উপলব্ধি হইল, বাসগৃহ নিৰ্ম্মাণ, কৃষিকাৰ্য্য প্রভৃতির কৌশল উদ্ভাবিত হইল—এক কথায় ধগণই এই শ্রেণীর জীব মানবোচিত জীবন যাপন করিতে শিখিল, তখন হইতে তাহাকে মানব নামে আখ্যাত করা হইল। ইনিই কো-আনের আদম বা আদি মানব। সুতরাং কো-আনের আদমকে নব প্রস্তর যুগের প্রথম মাছুয বলা যায়। কারণ


------------

S8 * তাহারই সময় পাথরের ব্যবহার ও পাথর হইতে অগ্নি উৎপাদন-প্রথা উদ্ভাবন হয়। রামায়ণে মানব জাতির অপেক্ষাকৃত সভ্য শাখাকেই শুধু মানব নামে আখ্যাত করা হইয়াছে ; অসভ্য শাখাকে তখনও বানর নামে আখ্যাত করা হইয়াছে। কোর-আন বলিতেছে—“যখন তোমার প্রতিপালক স্বগীয় দূতগণকে বলিলেন আমি পৃথিবীতে উত্তরাধিকারী স্থাপন করি, তখন দূতগণ বলিলেন, যাহারা পৃথিবীতে কলহ ধিবাদ স্মৃষ্টি করিবে, রক্তপাত করিবে, আপনি তাহাদিগের উদ্ভব করিতে যাইতেছেন ? আমরাই আপনার উপাসনা অঙ্গনাদি সম্পাদন করিব। তখন আল্লাহ, বললেন, "আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জন না।’ অত:পর তিনি আদমকে সমস্ত দ্রলোর নাম শিখাইলেন। আদম আল্লার নিকট হইতে সমস্ত দ্রধ্যেল নাম শিখিয়া তাহারই আদেশে দূতগণের নিকট ঐ গুলি প্রকাশ করিলেন। দূতগণ লজ্জিত হইলেন। অত:পর তিনি দূতগণকে আদেশ করিলেন, "তোমরা আদমকে অভিবাদন কর"। ইব্লিছ ব্যতীত সকলেই তাছাকে অভিবাদন করিল। তখন আল্লাছ. আদমকে বলিলেন, 'হে আদম, আজ হইতে ই ব্লিছ cઠાઃ બળ ફ્રેન , છૂમિ ૭ જામાત્ર ડ્રો ખરું স্বর্গের বাগণে অবস্থান কর ; যাছা ইচ্ছ। ভক্ষণ কর কিন্তু এই রক্ষের নিকটে যাইও না, তাহা হইলে তোমাদের অধ:পতন হইবে।” আদমকে অভিবাদন করল না বলিয়া আল্লাহ, অসন্তুষ্ট হইয়া, ইরিছকে স্বৰ্গ হইতে বিতাড়িত করিলেন। সুতরাং যাচার জন্ত তাহার এই অধ:পতন, তাহার শক্রতা সাধন করিতে সে আপ্রাণ চেষ্টা করিতে লাগিল। আদমকে আল্লাহ এই’ বুক্ষের ফল ভক্ষণ করিতে নিষেধ করিয়াছেন ; সুতরাং ইব্লিছ এই সুযোগ গ্রহণ করিয়া তাহাকে বিপথগামী করিতে প্রয়াস পাইল । সে তখন সপের আকার ধারণ করিয়া ময়ূরের সহায়তায়, সেই নিষিদ্ধ বুক্ষের নীচে গিয়া করুণস্বরে বিলাপ করিতে লাগিল। বিলাপ শুনিয়া আদম ও হাওয়া সেই বৃক্ষের নীচে গমন করিলেন। শয়তান তখন তাহাদিগকে উদেশ করিয়া অবনত মস্তকে করুণস্বরে বলিতে লাগিল, *আদম, আল্লাহ, তোমাদিগকে এই বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। ইহার -- -k